অমলতাসের বেলা
অমলতাসের বেলা


হার্বাল আবীরটা নিয়ে গোপালের পায়ে দিল নীলাভ। তারপরেই অন্তরার সারা অঙ্গে অঙ্গে ভরিয়ে দিয়ে বলল,
"অমলতাসের রঙ তোমাকে খুব মানায় তোড়া''।
অন্তরা একটু ব্যঙ্গাাত্মক সুরে বলল,
''আজও?''
নীলাভ যেন একটু উদাস হয়ে চুপ করে গেলো। অন্তরা বলল,
''চোখের তলায় কালি, চামড়ায় টান পড়ে কুচকানো, গলার চামড়াটা ঝুলতে শুরু করেছে যে!''
নীল জানে এ সময় কথা নয় শুধু কাছে টেনে আদরে আদরে ভরিয়ে দিলেই তোড়া চুপ থাকবে। তিন বছরের বিবাহিত জীবনে দশ বছরের বড় তোড়ার চাহিদা কি, বুঝে গেছে সে । তোড়ার শারীরিক বয়সটা যাই হোক না কেন মনটাকে রঙিন রাখতে চায় নীল!
সারাদিন সোহাগে, আদরে হুটোপাটির পর দুপুর গড়িয়ে বিকেলের কাছে বাথরুমে ঢুকে আয়নার সামনে উইগটা খুলে দাঁড়ায় অন্তরা।মাথার ভিতরের ইতস্তত সেলাইয়ের দাগগুলোতে হাত বোলায় আর তার প্রথম প্রেমিক এবং স্বামী মানসিক রোগী প্রতীকের দেওয়া পনেরো বছর আগের দোলের সেরা উপহারে হাত দিতে দিতে বলে,
''ভাগ্যিস সেবার পলাশ রঙে সাজিয়ে ছিলি নইলে আমার আকণ্ঠ প্রেমিক নীলকে পেতাম না আমি। হ্যাপ্পি হোলি প্রতীক।''
(সমাপ্ত)