STORYMIRROR

Naziul Mamun

Inspirational Others

4  

Naziul Mamun

Inspirational Others

আর্দশ শিক্ষা

আর্দশ শিক্ষা

2 mins
336

আট বছরের ছোট্ট মেয়ে লিজা।

সে প্রতিদিন কেয়ারটেকারের হাত ধরে স্কুলে যায়।

স্কুলে যাওয়ার আগে তার মা তাকে সুন্দর টিফিন বানিয়ে দেয়।

প্রতিদিন লিজাকে ওর মা একই খাবার বানিয়ে দেয়।

পাউরুটি ও ওমলেট।

প্রতিদিন একই খাবার খেতে লিজার আর ভালো লাগে না।

একদিন লিজা স্কুলে গিয়ে টিফিন খুলে দেখে একই খাবার দিয়েছে তার মা।

লিজার আর ভালো লাগছিলো না একই খাবার দেখে।

লিজা রাগ করে ক্লাস রুমের জানালা দিয়ে খাবার ফেলে দেয়।

সেটা লিজার শিক্ষক দেখে ফেলে।

ক্লাস শেষে লিজাকে ওর শিক্ষক ডেকে পাঠায়।

লিজা তার শিক্ষকের কাছে যায়।

শিক্ষক তাকে বুঝিয়ে বলে, তুমি খাবার ফেলে দিলে তুমি কি জানো তোমার মত কত পথশিশুরা না খেয়ে জীবনযাপন করছে,

তোমার তো খোদার কাছে শুকরিয়া করা উচিত যে তুমি তিন বেলা ভালভাবে খেতে পারছো,

খাবার নষ্ট করা একদম ঠিক নয়

লিজা তার শিক্ষকের।

কথা বুঝতে পারলো লিজা।

লিজা তারপর থেকে টিফিনের জন্য তার মায়ের কাছে খাবার বেশী করে চাইলো।

লিজার আম্মু খুশি হয়ে বেশী করে খাবার বানিয়ে দিলো।

একদিন লিজার স্কুল থেকে লিজার কাছে ফোন এলো।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বললো, লিজা নাকি স্কুলে খাবার খায় না।

লিজার মা চিন্তায় পড়ে গেল,

আরো ভাবতে লাগল মেয়েটা প্রতিদিন এত খাবার কি করে??

তারপর কেয়ারটেকারেরের কাছে সব কথা শুনল লিজার মা।

কেয়ারটেকারের কথা শুনে লিজার মা যেন আকাশ থেকে পড়লো।

কেয়ারটেকার বললো, লিজা স্কুল শেষ করে প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে আসার সময় রাস্তার ক্ষুদার্থ শিশুদের সাথে সময় কাটায় এবং তার টিফিন ভাগ করে সবার সাথে খায়,

আমি বাঁধা দিতাম কিন্তু সে শোনেনি,

তারপর থেকে আমি আর বাধা দেই না।

লিজার মা এই কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলে।

তারপর সে কেয়ারটেকারকে বলে,

তুমি ভালো করেছ আমার মেয়েকে এই কাজে

বাঁধা দাওনি,

আমার মেয়ের কাজে আমিও খুব খুশি।

ঐ দিন লিজা স্কুল থেকে আসার লিজাকে ওর মা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে লিজা বলে, আমার শিক্ষক আমাকে বলেছে, 

খাবার নষ্ট না করতে,

কারন আমার মত অনেক রাস্তায় না খেয়ে আছে,

তারা তিনবেলা খাবার পায় না।

লিজার মুখে এই কথা শুনে সেই শিক্ষকের প্রতি লিজার মায়ের অনেক সম্মান বেড়ে যায়।

সে সেই শিক্ষকের জন্য অনেক গর্ববোধ করল যে সে আমার মেয়েকে এত আর্দশ শিক্ষা দিয়েছেন।

তারপর থেকে লিজার মা লিজাকে প্রতিদিন বেশী করে টিফিন বানিয়ে দেয় আর

লিজা পথশিশুদের সাথে সেটা ভাগ করে খায়।

শেষকথাঃ ভালো ও মহান হতে কোন টাকা পয়সা লাগে না,

নিজে থেকেই ভালো হওয়া যায়।

আর মা বাবার পরে একজন শিশুর কাছে আর্দশ মানুষ হচ্ছে শিক্ষক।

কারন মা বাবা যখন সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করে দেয়।

তখন শিক্ষকই সে শিশুকে আর্দশ শিক্ষায় গড়ে তোলে।

মা বাবার পরে শিক্ষকই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।


সমাপ্ত......


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational