আমি তোকে খুব খুব ভালোবাসি
আমি তোকে খুব খুব ভালোবাসি
"নীল এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না আমাকে আমার ফোনটা দিয়ে দাও"।
"না আমি দেবো না"।
"নীল প্লিজ এইরকম করো না আমার তো কলেজের জন্য দেরি হচ্ছে তো প্লিজ তুই আমার ফোনটা দিয়ে দে"।
" আমার ও তো দেরি হচ্ছে নিশুরানী"। বলে নীল নিশাকে দেখে চোখ মারলো। এদিকে নিশার তো চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেলো। নিশা এবার খুব রেগে গেলো আর নীলের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,
"তোকে তো আমি,,,,,,,,,,,"। বলে নিশা যেই ছুটতে যাবে তখনই ওর পা স্লিপ হয়ে পড়েই যাচ্ছিল। হঠাৎ সে অনুভব করল কেউ যেন ওকে শক্ত করে ধরে আছে। নিশা তো পড়ে যাওয়ার ভয়ে চোখই বন্ধ করে নিয়েছিল। এবার সে চোখ খুলে দেখল নীল ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নিশা এবার একটু ধাক্কা দিতেই নীলের ঘোর কাটলো। নীল বলল,,,,,,,
"নিশু এক কাজ করি তুই আর আমি আজকে কলেজে যাবো না"।
"কিন্তু মা তো খুব বকবে"।
"আন্টি কিছু বলবে না তুই কিছু চিন্তা করতে হবে না"।
"আচ্ছা চল"। বলে নিশা নীলের সাথে চলে গেলো।
ড্রয়িং রুমে,,,,,,,
নিশা আর নীল নীচে এসে দেখে (নন্দিনী দেবী অর্থাৎ নিশার মা) সোফায় বসে আছেন আর ওদের দেখে মিটিমিটি হাসছেন। নিশা তো মায়ের এইরকম কান্ড দেখে কিছুই বুঝলো না। সে সোজাসুজি নন্দিনী দেবীকে বলল,,,,,,,,,,,,
"মা তুমি মিটিমিটি হাসছো কেন??"।
"না রে আমি তো এমনই হাসছি আমি বরং রান্না করতে যাই আর এই যে নীল তুই না কোথায় নিয়ে যাবি নিশুকে নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসিস যেন"।
"Okk মামুনি"। বলে নন্দিনী দেবী চলে গেলেন। নিশা নীল ও বেরিয়ে পড়ল।
পার্কে,,,,,,,,,
নিশা আর নীল দুজনে একটা পার্কের বেঞ্চে ওপর বসে আছে। হঠাৎ নীল নিশার সমানে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল আর বলল,,,,,,,
"নিশু তোকে একটা কথা বলবো"।
"হম বল"।
"আমি তোকে খুব খুব খুব ভালোবেসে ফেলেছি যখন তুই এইটে পড়তিস তখন থেকেই আমার তোকে খুব খুব খুব ভালো লাগতো আর এখন জানি না যে কখন তোর প্রেমে পড়ে গেছি আমি সত্যি বলছি নিশু আমি তোকে খুব খুব খুব ভালোবাসি তুই কী ভালোবাসিস??"। নিশা এতক্ষণ সব শুনছিল আর ওর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছিল। সে নীলকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,,,,,
"আমি তোকে খুব খুব খুব খুব খুব ভালোবাসি আই লাভ ইউ নীল"। নিশার কথা শুনে নীল ওকে কোলে তুলে নিয়ে ঘোরাতে লাগল তারপর বলল,,,,,
"আই লাভ ইউ নিশু"।
"আমাদের ভালোবাসা যেন সারাজীবন এইভাবেই থাকে"।
"আমি,,,,,,,,,তোকে ভালোবাসি ভালোবাসি"। বলে নীল নিশাকে জড়িয়ে ধরল।
শুভ সমাপ্তি💙

