উত্তরহীন ঈশ্বর”
উত্তরহীন ঈশ্বর”
বাংলা কবিতা নম্বর ২৫
"উত্তরহীন ঈশ্বর”
লেখক
প্রফেসর ডাক্তার প্রনব কুমার ভট্টাচার্য।
এম. ডি (কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,): এফ আই সি পি (প্যাথলজি)
ভূতপূর্ব অধ্যক্ষ, কৃষ্ণনগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স ,পালপাড়া মোড় , কৃষ্ণনগর, নদীয়া জেলা , পশ্চিম বঙ্গ ।
পূর্বতন অধ্যক্ষ জে. এম. এন মেডিক্যাল কলেজে চাকদহ। নদীয়া জেলা। পশ্চিম বঙ্গ
পূর্বতন প্রফেসর এবং প্রধান প্যাথলজি বিভাগ পশ্চিম বঙ্গ সরকারের মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিস ক্যাডারের
কবিতার রচনা তারিখ-:.১১.০৫.২০২৫ সন্ধ্যা ৮টা ১৫
এডিট করা -: হয়নি
কপিরাইট-: সম্পূর্ণ ভাবেই প্রফেসর ডাঃ প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের
Belongs primarily to Prof. Dr. Pranab Kumar Bhattacharya under strict Copyright acts and laws of Intellectual Property Rights of World Intellectual Property Rights organisations ( WIPO) , RDF copyright rights acts and laws and PIP copyright acts of USA 2012 where Prof Dr Pranab Kumar Bhattacharya is a registered member . Please Don't try ever to infringe the copyright of the manuscript to protect yourself from criminal offences suit file in court of law in any places of india and by civil law for compensation in few millions US dollar or in pounds or in Euro in any court of laws
রেসিডেন্স এর ঠিকানা-:
মহামায়া এপার্টমেন্ট। মহামায়াতজীবন ও মৃত্যুর মাঝেলা ১৫৪ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড,পোস্ট অফিস -গড়িয়া কোলকাতা ৮৪,
E mail profpkb@yahoo.co.in
উত্তরহীন ঈশ্বর”
শুধু তুষারপাতেরই অপেক্ষাতেই কেন
বনস্পতি খসে পড়ে তার নগ্নতায়?
আকাশ তখনো থাকে আলোয় পরিপূর্ণ,
তবু কেনো পাতা ঝরে— নিঃশব্দে, নিরুদ্দেশে—
কোন অদৃশ্য সংকেতের টানে?
সে কি এক প্রাকৃতিক অনুশোচনা?
কে আমায় বলে দেবে আজ,
কলকাতার অলিতে গলিতে ছড়ানো
অগণিত বিগ্রহের মাঝে
কোন মুখে বাস করে ঈশ্বর?
কোন চক্ষু নিঃসরণ করে করুণার দীপ্তি?
কোনো এক অভ্যন্তরীণ নীরবতা
কি সত্যিই আরতির মতো স্পন্দিত হয়?
সমস্ত রেশম গুটিই
জন্ম নেয় নরম সম্ভাবনায়,
তবু কেন শেষ হয় জীর্ণ ক্লান্তিতে?
তার রঙ, তার কারুকার্য,
শেষে যেন পড়ে থাকে বিস্মৃত কারাগারে—
এক নির্জন মৌন নিঃস্বতা।
চেরির হৃদয়ে যে সুমিষ্টতা—
তা কেন এত কঠোর প্রান্তে গড়া?
রস তার মধুর, অথচ আবরণে শৃঙ্খল।
সে কি মৃত্যুর সাধনায় লীন?
নাকি জীবনের কোনো গোপন গান
অন্তঃস্থলে গেয়ে চলে অক্লান্ত?
সূর্য যখন পশ্চিমে ঝোঁকে,
তখনো কিছু মুখ চেয়ে থাকে পূর্বদিকে।
তারা কি প্রতীক্ষা করে এমন এক ভোরের—
যা কোনোদিন আসবে না,
তবুও প্রতীক্ষা যেন এক পূজা হয়ে থাকে?
ঘুঘুর ডাক ভেসে আসে বনান্তর হতে—
সেই শোক কি নিছক ডাক,
নাকি বিস্মৃত আত্মার আর্তনাদ?
নদীর ধারা বইছে অনবরত,
তবু সে জানে না,
কার জন্য, কেন, কোথায় সে যাচ্ছে?
শিশির ঝরে পড়ে ঘাসের গায়ে,
তবু তার জ্যোতিষ্মিতা মুছে যায় দুপুরেই।
সে কি শুধুই ক্ষণিক মহিমার নাট্যরূপ—
নাকি বিধাতার নির্মিত অন্তরালের ব্যঙ্গ?
প্রতিটি প্রশ্ন যেন এক একটি ধ্বংসস্তূপে জন্মানো বৃক্ষ,
উত্তরহীনতায় তারা মাথা তোলে,
তবু ডালে ডালে ফুটে থাকে কবিতা—
অভিপ্রায়হীন, অথচ নিঃশেষ সুধায় ভরা।
জীবন নয়, জীবনপারের অনুসন্ধান—
এই কি মানুষের চিরন্তন সাধনা?
কবিতার মধ্যে ফিলোসফি
এই কবিতাটি আধুনিক অস্তিত্ববাদী ও আধ্যাত্মিক ভাবনাচিন্তার প্রতিফলন।
