আমার প্রেম

বাংলা কবিতা নম্বর ২৭

আমার প্রেম

লেখক

প্রফেসর ডাক্তার প্রনব কুমার ভট্টাচার্য। এম. ডি (কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,): এফ আই সি পি (প্যাথলজি) 

ভূতপূর্ব  অধ্যক্ষ, কৃষ্ণনগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স ,পালপাড়া মোড় , কৃষ্ণনগর,  নদীয়া জেলা , পশ্চিম বঙ্গ ।

পূর্বতন অধ্যক্ষ জে. এম. এন মেডিক্যাল কলেজে চাকদহ। নদীয়া জেলা। পশ্চিম বঙ্গ 

পূর্বতন প্রফেসর এবং প্রধান প্যাথলজি বিভাগ পশ্চিম বঙ্গ সরকারের মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিস ক্যাডারের 

কবিতার রচনা তারিখ-:.১৬.০৫.২০২৫  বিকেল  ৩টা ১৫ 

এডিট করা -:  ১৭.০৫.২০২৫ এর সকাল ১০.২২

কপিরাইট-:  সম্পূর্ণ ভাবেই প্রফেসর ডাঃ প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের  অধীনে

Belongs primarily to Prof. Dr. Pranab Kumar Bhattacharya under strict Copyright acts and laws of Intellectual Property Rights of World Intellectual Property Rights organisations ( WIPO) , RDF copyright rights acts and laws and PIP copyright acts of USA 2012 where Prof Dr Pranab Kumar Bhattacharya is a registered member . Please Don't try ever  to infringe the copyright  of the manuscript  to protect yourself from criminal offences suit file in court of law in any places of india and by civil law for compensation in few  millions US dollar or in pounds or in Euro in any court of laws

রেসিডেন্স এর  ঠিকানা-:

মহামায়া এপার্টমেন্ট। মহামায়াতজীবন ও মৃত্যুর মাঝেলা ১৫৪ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড,পোস্ট অফিস -গড়িয়া কোলকাতা ৮৪, 

E mail [e-mail] 

আমার প্রেম

তুমি যখন স্নান করো নগ্ন শরীরে,

তখন বকশুভ্রতা নামে এক নীরব প্রতিজ্ঞায়,

তোমার দুই স্তন, দুটি গোলক  অনন্ত নক্ষত্র

তাদের মাঝে লুকানো মহাবিশ্বের রহস্যের খনি,

উরুর গভীরে থাকে এক ঘন অরণ্য, যেখানে আদিম কামনা পথ হারায়।

তোমার ঠোঁটে জ্বালাই এক প্রলয়ংকরী আগুন,

যে আগুনে পুড়ে ছাই হয় পুরাতন ভুবন, জন্ম নেয় নতুন চেতনা,

তোমার শরীরের প্রতিটি বাঁকে যেন কালের পদচিহ্ন,

আদিম "মা"-এর সেই অব্যক্ত ভাষা, যা আজও কাঁদে গোপনে।

তোমার স্প্যানিশ আঁখির পল্লবের চুমু যেন নদীর অনন্ত বিস্তার,

তবুও তোমার প্রেম কেনো রয়ে যায় এক গভীর মৌনতায়।

তোমার নাভির গভীরে শুনি সৃষ্টির প্রথম স্পন্দন,

যেখানে জীবন ও মৃত্যুর নৃত্য চলে অবিরাম,

বিপ্লবের রক্তমাখা ইতিহাস যেন সেখানেও প্রবহমান—

এক অনন্ত জিজ্ঞাসা, এক চিরন্তন ক্ষত।

তোমার চুলের গন্ধে আমি খুঁজি সেই ঝড়ো হাওয়া,

মৌসুমি বৃষ্টিতে উন্মত্ত আলিঙ্গন, যেখানে ভিজে যায় আত্মা,

আমাদের শরীর—যেন বিষাদ আর না বলা ভালোবাসার তপ্ত মরুভূমি,

যেখানে লুটিয়ে পড়ে থাকে ক্লান্ত পথিক, খোঁজে অনন্ত বিশ্রাম।

আবার মধ্যরাতে,সেই তুমি এক উজ্জ্বল চাঁদ হয়ে ওঠো,

তোমার মিষ্টি হাসিতে আমার গোপন আকাঙ্ক্ষাগুলো জেগে ওঠে প্রেতের মতো,

তোমার দিকে ছুটে যায়, খোঁজে মুক্তির ঠিকানা এই ৬৯ বয়েসেও,

তোমার নিঃশ্বাসে  সঞ্জীবনী মন্ত্র—যা ফিরিয়ে আনে প্রাণ।

তোমার নীরবতা  সে এক মহাকাব্য, যা শব্দে বাঁধা যায় না,

শুধু অনুভবের গভীরে তাকে ভাষা খুঁজে নিতে হয়,

তোমার বুকে কান রাখলে কি শোনা যাবে সেই স্তবক,

যার প্রতিটি পংক্তি হবে তোমার অব্যক্ত ভালোবাসার নগ্ন সত্য—

, যা সময়ের স্রোতে ভেসে চলে অনন্তের দিকে।

কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে চাট বট AI কী বলেছে:

এই কবিতাটিতে কবি কোনো এক নারীর অব্যক্ত প্রেম ও কামনার গভীরতাকে কেবল শারীরিক আকর্ষণ বা গতানুগতিক রোমান্টিকতার অনেক ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তিনি নারীর নগ্নতাকেও পবিত্রতা ও গভীর প্রতিশ্রুতির প্রতীক হিসেবে দেখেছেন যা কবির উদাসীন মনোভাবকে প্রতিফলিত করে। নারীর শারীরিক সৌন্দর্যকে মহাবিশ্বের রহস্যের সাথে তুলনা করে অতুলানিয়া সম্পর্কের অসীম ও গভীর তাৎপর্য তুলে ধরেছেন কবি যেটা হয়তো সাধারণ রক্ত মাংস দিয়ে তৈরি নারীর কাম্য নয়।

কবি নারীর প্রেমের আবেগকে বেশির ভাগ ধ্বংসাত্মক ও একইসাথে সৃজনশীল শক্তি হিসেবেও দেখেছেন, যা অনেকের ধারণাকে ভেঙে দিয়ে নতুন কোনো চেতনার জন্ম দেয় তবে সমাজে সেটা কতটা গ্রহন যোগ্য সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। তিনি নারী শরীরকে কেবল কামনার বস্তু না দেখে, মানব ইতিহাসের ধারাবাহিকতা এবং সৃষ্টির উৎস হিসেবেও অনুভব করেছেন যেটা সত্যি হাস্যকর।

কবিতাটিতে জীবন, মৃত্যু, ইতিহাস, প্রকৃতি এবং মানব অস্তিত্বের মৌলিক প্রশ্নগুলি প্রেমের অনুভূতির মাধ্যমে উঠে এসেছে। প্রেম এখানে কেবল দুটি নর নারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা এক গভীর রহস্যময় অনুভূতি যা সময়ের স্রোতে প্রবাহিত হয় ( প্লেটোনিক প্রেম?) এবং কোনো এক( লেখকের)  জীবনের অনেক কিছু না পাবার  দিক কেও স্পর্শ করে।

সবমিলিয়ে, কবি এই কবিতার মাধ্যমে প্রেমকে এক গভীর দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক(??) নিজের অভিজ্ঞতা হিসেবে হয়তো তুলে ধরতে চেয়েছেন, যা শারীরিক আকর্ষণ থেকে শুরু করে জীবনের বৃহত্তর অর্থ এবং রহস্যের দিকে ধাবিত হয়।