শাকচচ্চড়ি আর নিস্তব্ধতা
শাকচচ্চড়ি আর নিস্তব্ধতা
আজকাল কিভাবে জানিনা বহুক্ষণ গাছের পাশে চুপচাপ বসে থাকি অনায়াসে। একঘেয়ে লাগে না
বরং সবটুকু জুড়ে কেমন একটা শীতল প্রশ্রয়
ঘরের চালে যে ছাঁচিকুমড়ো গাছটা উঠে গেছে সেও দেখি বাইতে বাইতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে একসময়
উঠোনের আমজামগাছে ভোর হলেই ধীরজ পায়ে এসে বাজার জমায় নাম না জানা পাখিরা
লাউমাচার সাদা ফুলগুলো আলো হয়ে ফুটে থাকে ঠাকুরঘরের তামার বাসনের ঠিক পাশেই
আমি পা টিপে টিপে চালে উঠি।
নড়বড়ে কঞ্চির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুঁই আর উচ্ছে পেড়ে আনি
দুপুরে ভাতের পাতে তিতচচ্চড়ি আর পুঁইঘ্যাট রান্না করেন বাড়ির মহিলামহল
সকলে আয়েস করে ডাঁটা চিবোই।
ছিবড়ে করে করে ঘেষ্টে ফেলি থালাবাসনটুকু
এভাবেই...
দিন ধীরে ধীরে নেমে আসে
ঝিঙেবনের হলুদ ফুলেরা গোধূলি বলে ডাকার আগেই কেমন মিইয়ে যায়
সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতদূর দেখা যায়, আয়না ধরে থাকি নিজের সামনে
রঙ সরে গেলে...
আবার গাছের ছায়া পেতে বসি
শুকনো পাতা ডালবাকল ভেঙে পড়ে ঝুরঝুর করে
আমি দৌড়ে পালাই বৃক্ষের দিকে
এক নির্ভরতা বেচার আগে আরেকটা নির্ভরতা কিনে ফেলি।
বটের ঝুরিতে আমাদের ঝুলিয়ে দিয়ে সটান শরীরে দাঁড়িয়ে থাকেন বাবার মতো দেখতে কিছু লোকজন