সব চরিত্র কাল্পনিক
সব চরিত্র কাল্পনিক
সব সব চরিত্র কাল্পনিক
লেখিকা জলি
দরজায় মৃদু আঘাত,
কপাট খুললাম।
একজন বয়স্ক লোক, হাতে ক্রাচ,
এলোমেলো রুপোলি চুলের মধ্যে থেকে উজ্জ্বল দুটি চোখ,
অনিমেষ তুমি ! বিস্ময়ের অতল থেকে প্রশ্ন করলাম।
স্মৃতির অতল থেকে ভেসে আসা চিরপরিচিত দৃপ্ত ভঙ্গী....
"ভালো আছি, আর তুমি?
এখনো বই পড়ো?"
ঋষিখোলার জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলছি, আমরা কজন।
মৃদু গুঞ্জনে চোখ মেলে দেখা,
প্রৌঢ় দম্পতির নিবিড় প্রেম, আমাদের দেখে সলজ্জ হাসি,
স্মৃতির ভেলা এখন প্রায় বিস্মৃতির দোরগোড়ায়-
হঠাৎ ভেসে আসা পরিচিত নাম;
"রুষা চলো ফেরা যাক,
আমার দিকে ফিরে, বই পড়া হয় এখনও?"
দেখছিলাম রুষা আর পৃথুর চলে যাওয়া,
বয়সের ভারে শ্লথ গতি-
হঠাৎ মনে হলো, কুর্চি কোথায়? সে কি হারিয়ে গেছে জঙ্গলের কোনো বাঁকে, বড় জানতে ইচ্ছে হয়।
ছেঁড়া ছেঁড়া মন নিয়ে বসে আছি সাগর পারে,
দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র মাঝে আমি একা,
মনে ভিড় করে আসে নানা কথার ঢেউ,
এর মাঝে ভেসে আসে দুজন অসম বয়সী মানুষের আলাপচারিতা,
অশক্ত একজন বৃদ্ধের হাতে নবীনা এক তরুণীর হাত,
কি যত্ন ভরে ধরে রেখেছে হাত দুটো, কি নিবিড় প্রেমের ছোঁয়া তাতে।
বৃদ্ধ মাথা নাড়তে নাড়তে জিজ্ঞাসা করলেন,
"ওকে চিনতে পারছো রাকা?"
আমি বললাম "আমি চিনেছি আপনাদের।"
চন্দ্রমৌলি বললেন "বই পড়ো এখনো?"
স্মিত হেসে ইতিবাচক ভঙ্গীতে মাথা নাড়লাম।
কুয়ারি পাসের পথে একজন মেয়েকে খুঁজে পেলাম,
আলাপ হলো,
একাকী মেয়েটির সাথে বাবলির বড় মিল,
কি জানি সে আজ কোথায়,
হয়তো কোনো জঙ্গলেই ঘুরে বেড়াচ্ছে,
বয়সের শাসন সে নিশ্চই মানে নি,
হয়তো একদিন তার সাথেও দেখা হবে, আর আমাকে জিজ্ঞাসা করবে " কি গো বই পড়ো এখনও?"
তোমাদের নিয়েই শৈশব থেকে যৌবন ছুঁয়ে আজ প্রৌঢ়ার দিকে পা বাড়ানো..
কি করে ভুলি বলো তোমাদের?
তাই তোমাদের নাম আজ ও নস্টালজিক করে তোলে আমাকে।
ভালো থেকো তোমরা, আমার কাল্পনিক চরিত্ররা।
কাল্পনিক
দরজায় মৃদু আঘাত,
কপাট খুললাম।
একজন বয়স্ক লোক, হাতে ক্রাচ,
এলোমেলো রুপোলি চুলের মধ্যে থেকে উজ্জ্বল দুটি চোখ,
অনিমেষ তুমি ! বিস্ময়ের অতল থেকে প্রশ্ন করলাম।
স্মৃতির অতল থেকে ভেসে আসা চিরপরিচিত দৃপ্ত ভঙ্গী....
"ভালো আছি, আর তুমি?
এখনো বই পড়ো?"
ঋষিখোলার জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলছি, আমরা কজন।
মৃদু গুঞ্জনে চোখ মেলে দেখা,
প্রৌঢ় দম্পতির নিবিড় প্রেম, আমাদের দেখে সলজ্জ হাসি,
স্মৃতির ভেলা এখন প্রায় বিস্মৃতির দোরগোড়ায়-
হঠাৎ ভেসে আসা পরিচিত নাম;
"রুষা চলো ফেরা যাক,
আমার দিকে ফিরে, বই পড়া হয় এখনও?"
দেখছিলাম রুষা আর পৃথুর চলে যাওয়া,
বয়সের ভারে শ্লথ গতি-
হঠাৎ মনে হলো, কুর্চি কোথায়? সে কি হারিয়ে গেছে জঙ্গলের কোনো বাঁকে, বড় জানতে ইচ্ছে হয়।
ছেঁড়া ছেঁড়া মন নিয়ে বসে আছি সাগর পারে,
দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র মাঝে আমি একা,
মনে ভিড় করে আসে নানা কথার ঢেউ,
এর মাঝে ভেসে আসে দুজন অসম বয়সী মানুষের আলাপচারিতা,
অশক্ত একজন বৃদ্ধের হাতে নবীনা এক তরুণীর হাত,
কি যত্ন ভরে ধরে রেখেছে হাত দুটো, কি নিবিড় প্রেমের ছোঁয়া তাতে।
বৃদ্ধ মাথা নাড়তে নাড়তে জিজ্ঞাসা করলেন,
"ওকে চিনতে পারছো রাকা?"
আমি বললাম "আমি চিনেছি আপনাদের।"
চন্দ্রমৌলি বললেন "বই পড়ো এখনো?"
স্মিত হেসে ইতিবাচক ভঙ্গীতে মাথা নাড়লাম।
কুয়ারি পাসের পথে একজন মেয়েকে খুঁজে পেলাম,
আলাপ হলো,
একাকী মেয়েটির সাথে বাবলির বড় মিল,
কি জানি সে আজ কোথায়,
হয়তো কোনো জঙ্গলেই ঘুরে বেড়াচ্ছে,
বয়সের শাসন সে নিশ্চই মানে নি,
হয়তো একদিন তার সাথেও দেখা হবে, আর আমাকে জিজ্ঞাসা করবে " কি গো বই পড়ো এখনও?"
তোমাদের নিয়েই শৈশব থেকে যৌবন ছুঁয়ে আজ প্রৌঢ়ার দিকে পা বাড়ানো..
কি করে ভুলি বলো তোমাদের?
তাই তোমাদের নাম আজ ও নস্টালজিক করে তোলে আমাকে।
ভালো থেকো তোমরা, আমার কাল্পনিক চরিত্ররা।