রাধা প্রণয়
রাধা প্রণয়
জীবন আমার বিরহে কাটে জনমে জনমে
প্রেম সুখ নাহি পেলাম মোর সখার
তবুও কহিব আমি বিরহ লয়ে বক্ষ মাঝারে
তুমিই তো মোর সখা চিরতরের
পুনঃ পুনঃ জনম লহিব আমি এ ধরা মৃত্তিকায়
হব আমি প্রেমিকা, লইয়া আসিব প্রণয়
এ জনমে হই আমি তোমার সাধিকা ব্রজদুলাল
আর জনমে নাহি মানিব হবো তোমার
রাধিকা....
আয়ান যে আমারে বাঁধিয়া রাখিছে, থেকেছি
তার রন্ধন শালায়, ছিন্ন যেদিন হবে বাঁধন
মিলিব তোমারই সনে....
প্রত্যহ বাশিঁর সুর ছুটিয়া লাগে কর্ণকুহরে
ঘরে নাহি মন টেকে, নাহি বসে কাজে
কোথা তুমি হে মদনমোহন, কোথা তোমার বাশঁরি??
বিষণ্ণচিত্তে সর্বদাই নিজের মাধবের কথা চিন্তা করে চলেছে রাধারানী।
আয়ান যে তার বড় ভক্ত, তাই তার বাঁধন যে ছিন্ন করা যায় না।
অন্যথায় কৃষ্ণের বাঁশি যে তাঁকে উন্মাদ করে দিয়েছে, দিচ্ছে।
নিজেকে স্থির করতে রাধা কর্ণে হস্ত চাঁপা দিল।
মৃদু ধ্বনি হাওয়ার সহিত তাল মিলিয়ে ভেসে এলো,,,,,
আমি যে তোমারই অংশ রাধে, বৃথাই মোরে বিশ্ব মাঝে কেন খোঁজ তুমি!!!
হাওয়ার তোড়ে এক ময়ূরপঙ্খী লাগানো বাঁশি এসে পড়ল রাধার আঁচলে, রাই কিশোরী সেটা তুলে নিয়ে মৃদু হাসলেন,,,,
এ যে আমার মনোহরণ নন্দ দুলালের বাঁশি।।

