মে দিবস
মে দিবস
সকাল থেকে রাত্রি অবধি খাটতেই হবে
নেই কোন বিশ্রাম
যত পায় তত পিপাসা ওদের
বেড়ে যায় অবিরাম।
এই ঠকানোর শেষ ক’বে হ’বে
শ্রমিক পায়না ভেবে
মনের মধ্যে জমে ওঠে ক্ষোভ
প্রতিবাদ তারা করবে ।
মুষ্টিবদ্ধ হাজারো হাত এক সাথে
তোলে গগনভেদী হুংকার
আট-ঘন্টায় কাজ শেষ হবে
মালিক তুমি হও হুঁশিয়ার।
মালিক পক্ষ তুলে নেয় বন্দুক হাতে
ঝাঁকেঝাঁকে গুলি ছোড়ে শ্রমিকের দিকে
বুকচিতিয়ে দাঁড়ায় শ্রমিক
এক চুলও না নড়ে।
বুলেট-বিদ্ধ শ্রমিকের জামা
হ’য়ে গেল লালে লাল
সেই জামাটিই লাল পতাকা
অম্লান চিরকাল।
‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’
শ্লোগানে
বিপ্লবের সেই বীজমন্ত্র
পৌছালো হৃদয়ে সতর্ক কান ছুঁয়ে ।
চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া,
কিউবা,বিশ্বের নানা দেশে
রক্ত-ঝরানো শ্রমিকের পথ
এসে রুশ-বিপ্লবে মেশে।
পহেলা মে’র আত্মত্যাগে
শ্রমজীবী পেলো শিক্ষা
শ্রমের মূল্য দিতেই হ’বে
এটা অধিকার,নয় করুনা -ভিক্ষা।
