যজ্ঞ
যজ্ঞ


হে ঋষিবর
কেন কর বৃথা কালক্ষয়
যজ্ঞ শুরু কর।
চতুর্দিকে অসুরেরা করে তোপধ্বনী
আমরা হয়েছি সন্ত্রস্ত
তাই আসন্ন বিদায়ের দিন গুনি।
ওরা তো ধ্বংস কর্মে নিত্য নিয়োজিত
ওদের যথেচ্ছাচারে
বন্ধ হয়েছে তালা – সৃষ্টির দুয়ারে।
ঐ অসুরের দল পারমাণবিক অস্ত্র হাতে
রয়েছে উদ্যত
সুরা পানে মত্ত হয়ে
মেতেছে আজ শক্তির খেলায়।
তবে কি বিংশ শতাব্দীর উন্নত সভ্যতা
একটু একটু করে মিশে যাবে
মাটির ধূলায়?
আমরাও হব নিশ্চিহ্ন?
কখনো দেব না হতে
অসুরে দম্ভকে করবই চূর্ণ।
হে ঋষিবর
প্রয়োজনে আহুতি দেব আমাদের প্রাণ
বিনিময়ে যজ্ঞ বলে
কর এক নব পুরুষের উত্থান।
যার তেজোঃময় দিপ্তী মুগ্ধ করবে সকল অসুরে--
যার হাসিকে ভালবেসে
ফেলে দেবে হাতের অস্ত্র--
যার বিশ্লেষনী ক্ষমতায় শুভবুদ্ধি জাগ্রত হবে
অসুরের বিকৃত মস্তকে।
দুঃষ্কৃতকর্মের কোন কৈফিয়ত নয়—
প্রতিশোধও নয়- কেবল অবরোধের প্রাচীর তুলি গড়ে
মুক্ত সুনীল আকাশের বুকে উড়ুক
শান্তির দূত- শ্বেত পারাবত।