কালকের ছড়া
কালকের ছড়া
ধরো দেখা হ’ল সাদাকালো এক দিনে
একুশের আমি , তুমি ফাল্গুনী ষোল
পিছনে দেখার ইতিহাস নেই কোন’
হাতে হাত ধ’রে সমুখ দরজা খোলো !
বিছিয়ে রয়েছে রাস্তা শুন্যপানে
আমরা লাগাব শত’গাছ দুইধারে
পার্ক এঁকে নেব , আড়াল ইচ্ছেমত
ভেজা ঠোঁটে ঠোঁট রাখবার অধিকারে ।
খিদে বা তেষ্টা যদিও পাবেনা তবু
ক্লান্তি ফুটলে সারাটা শহর চষে
আঁচল বিছাবে তুমি হলুদের বনে
আমিও পতাকা, পিঠে পিঠ দিয়ে বসে ।
বৃষ্টি নামলে মেঘ নেমে এসে নিচে
আমাদের হয়ে দু’হাতে মেলবে ছাতা
উত্তুরে হাওয়া কাঁপুনি জাগাতে এলে
আগুন জ্বালাবে জড়ো হওয়া ঝরাপাতা ।
পায়ে পা হাটার নিরুদিষ্ট পথে
শরীর ঘুমাবে শরীরের বিছানাতে
সকালের রোদ আঁধার দেখবে চোখে
আলো ঝলমল রাতের অপেক্ষাতে ।
কিছু অভিমান তারা’র সঙ্গে মিশে
ছায়াপথ হয়ে দেখাতে চাইবে আলো
মনখারাপের আড়ি আর ভাব মিলে
ফুটবে ছাতিম বিরহের , জমকালো ।
খাল কেটে নদী আনব উঠোনপানে
প্রতিবার রাগে ফেটে পরবার আগে
পোড়া ছাই হয়ে দুজনে বসব ঘাটে
বলব , পুড়তে তোমাকেই শুধু লাগে ।
আজকে যা নেই কালকে থাকবে সবই
আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে থাকা বিশ্বাসে
পরিণত কোন’ উত্তর মিলে যাবে
দিন ছোট হওয়া দক্ষিণায়ন মাসে ।
শতধা হবার অসুখ যাপন কালে
আজকে সময় বলছে ভোলাও , ভোলো
লিখি কালকের অনুচ্চারিত দাবী ---
--- ধানের আকালে ভাতের গল্প বোলো !