একলা তুমি
একলা তুমি
একা রাতে কখনও ভিজতে ইচ্ছে করেছে?
ব্যস্ত সারা পৃথিবী যখন গভীর ঘুমে আসক্ত,
সারাদিনের উত্তেজনার শেষে নিজের মত শ্রান্ত,
অথচ তোমার অস্তিত্ব তখন ধুকছে একাকী কাতরতায়!
তোমার সমস্ত সত্তাজুড়ে বয়ে চলেছে সবুজ যন্ত্রণার বিষ!
দিনের চাকচিক্যে যে রং মুখ লুকোয় সোনালী আলোর আড়ালে!
রাতের কালোই তার সমস্ত আড়াল ছিঁড়ে ফেলে প্রচন্ড শক্তিতে,
আর সামনে মেলে ধরে এক স্বচ্ছ টলটলে আয়না!
সে আয়না চিৎকার করে শুধু বলে চলে তোমার নিঃসঙ্গতার নথি!
তোমার একলা পথের গন্তব্য!
তখনও কী খুঁজে যাও তোমার সেই চেনা কাঁধ!
তখনও কী হাতড়ে যাও তোমার সেই চেনা গন্ধ!
যার নিবিড় উষ্ণতা ঘিরে ধরতে চায় তোমার সমস্ত চেতনা!
যার মসৃণ হাতের শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তোমার সমস্ত স্বাধীনতা!
যার দৃঢ় বুকে মুখ লুকোতে চায় তোমার অবসন্নতা!
তবু মেলেনা সেই দৃঢ়তা,
পড়ে থাকে শুধু একরাশ ব্যর্থতা।
সময়ের প্রহরীরা জানান দেয়,
সে নেই! সে কোথাও নেই! যদি থাকে তবে সে শুধুই তোমার অবচেতনে!
শুধুই তোমার বুনে যাওয়া কল্পনায়!
তোমার অগুনতি অলিক ইচ্ছেডানায়!
তখন কী তবে ভিজতে চাও তুমি রাতের এই অদ্ভুত মায়ায়?
সিক্ত হতে চাও একলা রাতে অভিমানের অঝোর ধারায়?

