এখন ভালো আছি, পলা ভৌমিক।
এখন ভালো আছি, পলা ভৌমিক।
"তোমরা কেমন আছো? ভালো তো!"
খুব যে কঠিন প্রশ্নের উত্তরটা দেওয়া তা তো নয়,
তবুও পারিনি বলতে "ভালো আছি",
তাহলে যে মিথ্যে বলা হয়।
খুব খারাপ যে আছি ব্যাপারটা তো তেমন ও নয়।
তাই মুখ ভার করে বলি শুধু দুটো কথা, "ঠিকঠাক"।
রাগটা করছিলাম কার ওপরে, নিজেও জানি না,
মনের ভাব গোপন করে, করতে জানিনা রাখঢাক।
গুমোট আবহাওয়া যে আমি সইতে পারিনা,
অথচ কাল মনে হচ্ছিল, নিশ্বাস নেবার মতো,
বাতাসের ও যেন ঘটেছে অভাব।
আকাশে ঘুরছিল মেঘ, কিন্তু জানোই তো,
ওদের যে পালিয়ে বেড়ানোই স্বভাব।
আজ সকাল থেকেই ছিল একটু ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া,
ঘুম থেকে উঠেই শুনেছি পাখির গান গাওয়া।
অবশেষে বিকেলে এসেছে বৃষ্টি এসেছে,
মেঘের ডাকের সাথে সাথে জল মাটিতে পড়েছে।
আমার মনটার মত গাছ ও মাটি দুজনেই ভিজেছে,
যদিও কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি টা থেমে গেল,
তবুও ঐ গুমোট ভাবটা তো অনেকটাই কাটলো।
মেঘগুলো যদিও এখনো করছে একটু ডাকাডাকি,
হয়তো ভাবছে আরও বৃষ্টির দরকার আছে নাকি!
আকাশে রয়েছে এখনও সাদা-কালো মেঘেদের ভীড়,
যেন এক দাবার বোর্ডে চাল দেওয়া বাকি মন্ত্রীর,
হাতি, ঘোড়া, নৌকা, বোরে, সকলেই
খেলছে মন দিয়ে, রাজা কিন্তু একদম স্হির।
ভাবি হামেশাই মনটাকে রাখবো যেন বিকার নেই,
শীত-গ্রীষ্মের রংবদলেই ভোল পাল্টাই,
রাজার মতো হতে পারি কই!
