একটুকরো সত্যি
একটুকরো সত্যি
ভোরের আলো সেখানে যেন অন্য এক গল্প।
ঠিকানা দেয় ,
অভাব- অনটন,কাজ ,খুশিও অল্পসল্প ।
টানাটানির সংসার ,দুটো পয়সার আশা
মা-বাবা দিনমজুর,
কেউ বা শিশুশ্রমিক,এই-ই ভরসা ।
ছোট্ট মুখগুলো বাড়িতে আধপেটা-আনমনে ,
উঠলে নড়ে পেটের পোকা -
' ইস্কুলের দশটার ঘণ্টার ' প্রহর গোনে ।
না-না ! ইস্কুলের শিক্ষা নয় ,
মিড-ডে-মিলের একথালা খাবার ...
দেয় ওদের শান্তিতে ভরিয়ে বারবার ।
রোদ-ঝড়-জল মাথায় মোড়া ওদের জীবন,
কষ্টসহিষ্ণু ওরা ....
টুঁটি কাটা বিপদেও বাঁচিয়ে রাখে মন ।
একফালি কাপড়, ছাউনি আর ভরপেট খাবার -
বুক বাঁধে আশায়,
--ওরাও তো স্বপ্ন দেখে ভালো থাকার ।
কিন্তু ইচ্ছা সত্ত্বেও সমাজ দেয়নি ভালো থাকতে ...
সপাটে ছুঁড়েছে ওদের -
শেওলা পাড়ের ছোট্ট খুপড়িতে !!
ভুলতে বসেছি আমরা ,এরাই "সমাজচালক"
বিত্তশালীরা গর্ব করে
খেতাবও দিয়েছে ওদের "ছোটোলোক"।
তবুও বেপরোয়া ওরা অসীম সহ্যধারী হয়।
ছেঁড়া কাঁথায় সুখ বুনতে জানে
- তাইতো সরলতার অন্য এক পরিচয় !!
এভাবেই দিন আসে ,দিন যায় , একরত্তি -------
পেটের টানে ধসে যায়,গরীবের
প্রতিভা তবু মর্যাদা পায় না এই - একটুকরো সত্যি।