চিতায় শয্যাশায়ী
চিতায় শয্যাশায়ী
নিঃস্পলকে চেয়ে আছে –
আকাশের দিকে সে;
চিতায় শয্যাশায়ী|
ভীষণ শুকনো লাগছে তাকে|
মুখে তার, মৃত্যুর অন্ধকার;
সে নিতান্ত নির্বিকার|
চিতার আগুনে পুড়েও,
অস্থির নয় সে|
নির্ঝঞ্ঝাট চেয়ে আছে শূন্যে;
অথচ জীবনের হিসেব –
ফুরোয়নি তো আজও|
লেন-দেন এখনো যে বাকি|
মেয়ের বিয়ে দেয়া;
রমাকে নতুন শিফন শাড়ি –
কিনে দেয়া –
এসব হয়নি এখনো|
একরাশ হিসেব মেলাতে হবে,
কত কিছুই তো অসম্পূর্ণ|
তবুও, সে নিরুত্তাপ;
অলস হয়ে শুয়ে আছে চিতায়|
একটানা চেয়ে আছে নিশ্চুপ;
চোখের পাতা পড়ছে না তার|
সিতেশ বাবুর কাছে ঋণী|
বিশুদার দোকানে,
হিসেবের অঙ্ক বাড়তে-বাড়তে,
দোকানের ছাদ ছুঁয়ে ফেলেছে|
এরকম, অসংখ্য দেনা,
এখনো বাকি রয়েছে তার|
তবুও, শয্যাশায়ী সে –
চিতায়; অবিচলিত|
কি করে শুয়ে আছে,
এমন নির্বোধের মতো?
ভ্রূক্কেপ নেই কেন তার?
কপালের মাঝে,
কেন পড়ছেনা ভাঁজ?
কেমন যেন,
কোলাহলহীন সে আজ;
মেখেছে মুখে মৃত্যুর অন্ধকার,
সমস্ত আলোর শেষে|