ছেলে মেয়ের ভেদাভেদের দিন শেষ
ছেলে মেয়ের ভেদাভেদের দিন শেষ
ছেলে মেয়ে ভেদাভেদের দিন শেষ
: লেখক শংকর হালদার শৈলবালা
রচনাকাল : ১৫ মার্চ ২০২৫
জন্ম যদি হয়, কেন মনে হয় এত ভয়?
পুত্র এলে বংশ বাড়ে, এই কি রাজনীতি?
নদী জন্মদিন সাদামাটা, নেই পরিবর্তন,
পুত্রের জন্মদিনে দেখো, পূর্ণ মনের স্বপন।
ছেলে পড়ে নাম স্কুলে, মেয়ে কেন চেষ্টায়?
ভালো টিউটার ছেলের জন্য, মেয়ের কেন অভাব হয়?
মাছের বড় টুকখানি, ছেলের পাবো জুটে,
ভাগে ভাগ-বাঁটোয়ারায়, সব কিছু যায় লু।
অনেক পরে, নদী বন্দী থাকে, জমিরই গঠন।
চার দেওয়াল নদী, পাখির খাঁচা বাঁধা,
উড়ে উড়ে বেড়ায় সাদা।
রাজনৈতিক হবে পরের এলাকা, এই সমাজের গঠন,
পুত্রসন্তান আগলেগ, বৃদ্ধ পুরানো স্মৃতি।
পুরুষতন্ত্রের বিষাক্ত বিশ্বাস, সমাজকে গ্রাস,
বৃদ্ধাশ্রমের করুণ ছবি, এক দীর্ঘ বিশ্বাস।
আজও কেন এই ভেদাভেদ, ছেলে আর মেয়েরগিরি?
মানুষ তোকে মোরা মানুষ, একই মিয়া সাজে।
নদীও তো গড়তে পারে, নতুন আলো,
ছেলে যেমন আনে গরু, তুমি আনে ভালো।
সময় বদল করার জন্য
আমাকে আমার মনের মত, দেখাব নতুন বোঝার।
আকাশও উড়বে আকাশে, মুক্তি পাখির মতো,
সমাজ গড়বে দল, যত ক্ষত।
বৃদ্ধ বয়সে ফুটপাথ নয়, বৃদ্ধাশ্রম নয় আর,
-মেয়ে অংশ মিশে, গড়বে সুখের পরিবার।
মানুষ হিসাবে দেখব, ছেলে আর মেয়েকে,
নতুন সমাজ মোরা, ভেদাভেদ গড়ব থেকে।
মহীয়সী নারী তুমি, জগৎ করো জয়,
তোমার আলোয় দূর, সব আঁধার ভয়।
লক্ষ্মীবাইয়ের বীরত্ব, মাদার টেরেসার স্নেহ,
নদীও তো গড়তে পারে, নতুন গেহ।
কল্পনা চাওলার স্বপ্ন, অরুন্ধতী রায়ের জ্ঞান,
নদীও তো আনতে পারে, নতুন শিক্ষা।
নারীত্বের জয়গানে, মুখরিত হোক ধর,
ছেলে-মেয়ের ভেদাভেদ,
