বিষুববৃত্ত
বিষুববৃত্ত


সূচনা নামছে পর্বতের গা ঘেঁষে
ধোঁয়াটে হয়ে আসছে আকাশ। একটি নির্দিষ্ট কোণে বসে চিত্রশিল্পী আউটডোর করছেন সেই নৈসর্গিক দৃশ্যের।
নাহ, এখানে সূচনার লালপেড়ে শাড়ী নেই।
কোমরে নেই চন্দ্রহার। নেই অলংকার হাত ভর্তি। এখানে শুধু উড়ে বেড়ায় রঙ বেরঙের তিতলি।
সূচনা সেখানে ফুলের সাথে আদর
বিনিময় করে। ধাপে ধাপে সঞ্চয় করে রাখে খুশির মেহনত।
বাতাস এখানে মা দুর্গার মতো সদা পূজিত হয়।
লুকিয়ে থাকা কোমল হিমবাহ থেকে বেরিয়ে এসে
প্রবাহিত হয়, বেদনা নদী। এখানে রোদের প্রতিশব্দে কষ্টের চাষ হয়ে
আগাছার ভিড়ে কাশ ফুটে ওঠে।
নাতিশীতোষ্ণ এই এলাকার সূচনা নামক গ্রামে,
বছর ভর যত মানুষজন যাতায়াত করেন
সবাই তাঁরা নিষ্ঠ হয়ে যান। প্রকৃতার্থে বুঝতে শেখেন সবটাই উপাসনা।
দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও ভয়-শত্রু
ঠিক তখনই নাশ হয়ে যায় সহন সহবতে।
নিজেদের জাগরণেই মঙ্গল তিথি জন্মলাভ করে দর্শিকার বিষুববৃত্তে।