নাভিলম্ব
নাভিলম্ব


ক্ষয়ের পাশে রেণু সাজিয়ে মেয়েটি
বসে আছে ফুটপাথে, চোখের তলা কালো।
কাশ ফুটেছে নদী পাড়ের জমি জুড়ে, যেন রূপালী চাদর।
অবেলায় ভাত নয় ভাতের গন্ধ শুঁকে
পেট ভরায় বাদামী চামড়ার পৃথিবী।
এক পৃথিবী খিদে লাগলেও
মালা গাঁথেনি মা দুর্গা।
প্রতিদিনই ফুলের গন্ধ উপভোগ্য হয়ে ওঠে
বরফ বুকের এককবিহীন অঞ্চিত অঞ্চলের নষ্ট পথ ধরে।
তৎস্থানেই আপাদমস্তক শান্তি লেপন করে খড়ি মাটি আর জল।
পরিত্যক্ত যতগুলো ডিহি ইদারা টেনে
কসরত করে সভ্যতা তুলে আনে ;
ঠিক সেখানেই ইচ্ছেরা জেহাদি হয়ে
খুঁজতে বেরোয় কমলা- সাদা-সবুজ জোড়া স্বাধীনতার টীকা।
ক্ষয়ের পাশে রেণু সাজিয়ে মেয়েটি
এখনও বসে আছে ফুটপাথে, মুখে চোখে মাছিরা দখল করেছে
তাদের স্বাধীন দেশ।
পোড়া লোহার বুকে আরেকটি সদ্যজাত শিশু
পান করছে মাতৃদুগ্ধ,
সে একদিন সহমরণের জন্যই জেনো
রাইফেল তুলে নেবে হাতে ; কেউ তাকে আটকাতে পারবে না।