বিস্মিত দর্পণ ---- শারদ সংখ্যার জন্য
বিস্মিত দর্পণ ---- শারদ সংখ্যার জন্য


আগে হলে বলতাম কিছু, ধমক দিতাম হয়তো,
প্রতিবাদ করতাম---
আজ শুধু "থাক" বলে থেমে যাই।
মুঠোফোনের টুঁটি চেপে ধরি খানিকক্ষণ,
তারপর নিয়মমাফিক ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাসটা ফেলে
আবার মন দেওয়ার চেষ্টা করি কাজে।
এই একটাই গল্পের পুনরাবৃত্তি হয় প্রতিদিন---
আর আমি বিস্ময়ে চেয়ে দেখি তোকে।
যতদিন দিন যায় বিস্ময়ের পারদ চড়তে থাকে,
পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় সব শ্বাস।
তুই কে? আমি কি? হতাশা আর ব্যর্থতার উর্দ্ধে কোনো বিস্ময়?
নাকি অপমানের গ্লানিকে কুলকুচি করে ফেলা কোনো বিস্ময়?
কিংবা হারজিতের হিসেবটুকু ব্রিজগেমের বাজিতে খুইয়ে দেওয়া কোনো বিস্ময়?
উত্তর পাইনা খুঁজে।
দিন যায়, রাত যায়--- আমি আজও অপরাজেয় প্রহর গোনায়,
আর তুই অদ্বিতীয় তোর প্রহরগোনার ছলনা নিয়ে।
সবটুকু জানি, সবটুকু বুঝি, তবুও তোর ছলনার কাছে হেরে যাই বারবার।
ওই বিশাল সমুদ্র পার হতে চাইলেও ভাটার টানে আবার আছড়ে পড়ি তীরে,
আমার গন্তব্য পশ্চাদমুখী;
আমার সমুদ্রে জোয়ার আসে না।
আমি তো সাঁতারও জানিনা; কিন্তু তুই তো জানিস!
তুই তো জানিস কেমন করে এগোতে হয় ওই বিশালের বুক চিরে,
তবু কেন? কেন বারবার ওই ভেকধারী শিকারী কুকুরগুলোর
বিষদাঁতে ক্ষতবিক্ষত হতে দিস নিজেকে?
এই তীর থেকে দেখ, ওই দূরে অনেক দূরে
সমুদ্রের বুকে নেমে আসছে বিন্দু বিন্দু আলো---
ওগুলো কোনো মরীচিকা নয়, সব একেকটা রূপকথার গল্প;
যে গল্পের গহীনে পৌঁছাতে পারলেই পাওয়া যাবে সব উত্তর,
হবে সব বিস্ময়ের অবসান।
অপেক্ষা শুধু সাঁতরে যাওয়ার...
হয় তুই নয় আমি।