Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

SUSHANTA KUMAR GHOSH

Drama Horror Inspirational

3  

SUSHANTA KUMAR GHOSH

Drama Horror Inspirational

বির-নগর সংবাদ

বির-নগর সংবাদ

8 mins
4



বন কুমারীঃ

 ই বাবু ! তুই তুখন থেকে ডাগর ডাগর চোখে

কী দেখছিস ইমন করে ? বলছি তুখন থেকে

লজর সরা লজর সরা , শুনিস না তুই কেনে ? 

তুখন থেকে গতর আমার বিঁধিস লজর বানে !


নগর কুমারঃ

 বন কুমারী তোমায় দেখে আটকে গেছে চোখ

পারছি না আর সরিয়ে নিতে যা হওয়ার তা হোক । 


বন কুমারীঃ

 কুথা থেকে উড়ে এসে আমার বিরের পুরে

লজর দাঁতে গতরটাকে খাচ্ছে কুঁড়ে কুঁড়ে।

বলে কি না বন কুমারী ! হেসেই মরে যাই 

বাপের কালে ইমন কুথা কানেও শুনি নাই ।

বল দিকি তুই কুথায় থাকিস কুনখানে তোর ঘর

বিরের দেশে ঘুরিস কেনে মতলব কি তোর ?


নগর কুমারঃ

 পাহাড় নদী বন পেড়িয়ে আরও অনেক দূরে

যেখানটাতে উড়ান নামে আকাশটাকে ঘুরে ।

মাটির বালাই নাই সেখানে শান পাথরে বাঁধা

গাছ গাছালি পাখ পাখালি ধূলো বালি কাদা

কিচ্ছুটি নাই । রাত আসে না শুধুই আলোয় ভরা 

জানলা থেকে হাত বাড়িয়েই আকাশটা যায় ধরা

সেখান থেকেই এলাম আমি পাহাড় দেখার শখে

তাই তো তুমি বন কুমারী পরলে আমার চোখে ।


বন কুমারীঃ

অঃ ! বুঝেছি ! লগর বাবু! লগরে তোর ঘর

তুরা তো সব ডাগর মানুষ ! মস্ত মাতব্বর !

তুদের কথা শুনি বটে লগর যারা যায়

লগর থেকে ঘুরে এসে তুদের কথা কয় ।

উরা তো সব ডরেই মরে লগর যাবার নামে

লগর বাবুর নাম শুনলেই গলগলিয়ে ঘামে ।

এখন বুঝি উরা কেন লগর করে ভয়

তুরা বটিস অন্য রকম বিরের মত লয় ।


নগর কুমারঃ

কে বলেছে অন্য রকম ! দেখো তো চোখ মেলে !

আমার সঙ্গে তোমার দেশের তফাৎ কোথায় পেলে ?


বন কুমারীঃ

 আ মরণ! বলছে কিনা তফাৎ কিছু নাই !

পেথম থেকেই চোখ দুটো তোর করছিল খাই খাই ।

বনের যত বাঘ ভাল্লুক তাদেরও ডর আছে

জংলীকে কেউ একলা পেলেও ঘেঁষবে না তার কাছে ।

পেছন থেকে চুপি চুপি লুকিয়ে ঝোপের আড়ে

মওকা বুঝে বাঘ ভাল্লুক লাফায় জিলের ঘাড়ে ।

তুই তো দেখি সামনে এসেই দু’চোখ দিলি বিঁধে

বেশরমে ড্যাবডয়াবিয়ে মেটাস চোখের খিদে !

জানলি নাকো চিনলি নাকো মন ভোলানোর ছলে

আমাকে তুই ডেকেই দিলি বন কুমারী বলে ।

উ নামে তো কেউ ডাকে না , নামটো আমার লয়

তাই তো মনে কু ডাকছে ! সন্দেহ টো হয় ! 

লগর থেকে শখের টানে বির দেখতে এসে

হপন কুড়ির পথ আগলাস বির ভালুকের বেশে ।

মতলব তোর বুঝে গেছি তফাৎ হয়ে যা 

নইলে কিন্তু কইবে কথা আমার হাতের দা ।


নগর কুমারঃ

 বন কুমারী ! ভুল বুঝো না , আমারও মন আছে

যেমন করে ফাগুন মাসে পলাশ ফোটে গাছে 

তেমনি করেই প্রেমের কুসুম ফোটে সবার মনে

প্রেমের কিছু নাই গো তফাৎ নগরে আর বনে ।


বন কুমারীঃ

হাসালি রে , হাসালি তুই বির বাসিনী বটে

জংলি হলেও জিউয়ি আমার লয় সস্তা মোটে !

পীড়িত দেখাস কিসের লেগে? কিসের পীড়িত তোর ?

কুড়ি হপন দেখে বুঝি লাগল চোখে ঘোর ?

তোর লগরে অনেক মেয়ে , লগরে যায় যারা

লগর মেয়ের হরেক রকম সেরেঞ শোনায় তারা । 

রঙে ঢঙে সঙে সবাই পরীর মতন থাকে

সিখান থেকে তুই কিনা আজ ডুব দিতে চাস পাঁকে ।


নগর কুমারঃ

 পাঁক তুমি নও বন কুমারী , পদ্ম পাঁকেই ওঠে

অট্টালিকার অরণ্যে নয় বনেই পলাশ ফোটে ।


বন কুমারীঃ

 কি কইলি ? অট্টালিকা ? সিটো আবার কি?

পদ্ম বাহা , পলাশ বাহা , এটো বুঝেছি ।

বল দিকিনি লগর কুমার অট্টালিকার মানে 

আসছে না তো কুনো মতেই উটো আমার ধ্যানে ।


নগর কুমারঃ 

বন কুমারী তোমরা যেমন পাতার ঘরে থাকো

শাল পিয়ালের গন্ধমাখা বায়ুর আদর মাখো।

আমরা তেমন ইঁট পাথরে আকাশ মিনার ফেঁদে

এক মিনারে হাজার মানুষ থাকি বাসা বেধেঁ।

ইঁট পাথরের সেই বাড়িকেই অট্টালিকা বলে

অনেক নিচে বিছের মত রেলের গাড়ি চলে।

বনে যেমন পিঁপড়ে ডোরা চলছে সারি সারি

অট্টালিকার নিচে তেমন চলে হাজার গাড়ি ।

বাহনগুলো বড়ই বটে , নেহাত ছোটো নয় 

মিনার থেকে তবুও তাদের পিঁপড়ে মনে হয় ।

এবার বোঝো অট্টালিকার মাথা কোথায় থাকে

ওই দেখ , ওই ... তোমরা সবাই ডুংরি বলো যাকে ।

কেমন খাড়া ? অট্টালিকা ওকেও যাবে ছেড়ে

ডুংরি তবে এগিয়ে আছে আয়তনে – বেড়ে ।


বন কুমারীঃ

অঃ ! বুঝেছি! লগর ফেরৎ মরদগুলো বলে

লগর নাকি ভরতি আছে মোটরে আর কলে ।

তুর লগরের পথে পথে পরীও বেড়ায় ঘুরে

উথায় নাকি পাতার মতন টাকাও বেড়ায় উড়ে !


নগর কুমারঃ

 বন কুমারী ! টাকা তো আর গাছের পাতা নয় !

টাকা কি আর পাতার মত কুড়িয়ে পাওয়া যায় ?

কিছু মানুষ আছে যাদের টাকার অভাব নাই

বাকি সবাই ঘাম ঝড়িয়ে দিন আনি দিন খাই ।

আমরা কেবল দিন মানে নয় রাতেও ছুটি কাজে

কাজের চাপে পাইনাকো টের কখন ক’টা বাজে ।

টাকা যদি উড়ত হাওয়ায় গাছের পাতার মত

তাহলে কি এমন করে ঘাম ঝারাতে হত ?

বন কুমারী ! আমাদের যে অস্ত উদয় নাই

রাত দুপুরেও পেটের টানে কারখানাতে যাই ।

তোমরা দিনে খাবার খোঁজো সুখেই কাটাও রাত

আমরা তখন ঘুমাই যদি জুটবে না আর ভাত ।

দিনে খাটি রাতেও খাটি তবেই ভরে পেট

বিনা শ্রমে একমুঠো ভাত কেউ দেবে না ভেট । 


বন কুমারীঃ

 উরা তো সব সিটাই বলে , মেয়েও চালায় গাড়ি

তুদের সবার ঘরে আছে টাকা কাঁড়ি কাঁড়ি !

ঘর দেখতে ঘার ভেঙে যায় , সাজ ধরে না চোখে

রাস্তা ঘাটেই কুড়ি কুড়া মাথায় মাথা ঠোঁকে !

ঘরের ভিতর জুরি-পারি যুদ্ধ করে নাকি

মনগড়া সব পীড়িত তোদের জিউয়ির বাঁধেই ফাঁকি ।

একটা চালের তলায় থেকে তুলিস হাজার ফেউ

কারোর মনের খবর নাকি রাখিস নাকো কেউ !

এক কথাতেই ঘর ভেঙে যাস বাঁধতে নতুন ঘর

ছল দেখিয়ে ভেঙে আনিস আরেক সুখের গড় !

একটা ছেড়ে একটা ধরিস ইটাই তুদের শখ

সুযোগ পেলেই যখন তখন গিলিস পরের হক !

হোথায় নাকি মনের মতন মন মেলেনা খুঁজে

সেই লগরের কুমার তুমি এবার লিলাম বুঝে !


নগর কুমারঃ

 বন কুমারী ! যা শুনেছো সত্যি কিছু আছে

এত কিছুর মাঝেও কিন্তু ভালোবাসা বাঁচে ।


বন কুমারীঃ

 আঃ মরণ তোর ভালোবাসার দেখনা আমার বন

ইখানটাতে হর ফাগুনে পলাশ রাঙায় মন।

শাল পিয়ালের শাখায় শাখায় মহুল বনে বনে

হোগলা ছাওয়া ভাঙাচোরা ঘরের কোনে কোনে

ধামসা মাদল মহুল রসে শুধুই পীড়িত নাচে 

লগর কুমার বলদিকি তোর পীড়িত কোথায় আচে ?


নগর কুমারঃ

 প্রেম আছে গো বন কুমারী আমার হৃদয় মাঝে

আমার মনের প্রেমের কানন বনের মতই সাজে ।

একটা বড় আকাশ আছে – ঝর্ণা গিরিনদী

সেখানটাতে সব মিলবে প্রবেশ করো যদি ।


বন কুমারীঃ

 আঃ মরণ ও কি কথা! শরম কি তুর নাই

তুর দ্যাশেতে আমার মতন বির আছে না ছাই !

বির থেকে যে কুড়ি হপন তুর দ্যাশেতে যায়

তুর লগরের বাঘরা তাদের জ্যান্ত গিলে খায় ।

তুর দ্যাশেতে রগর আছে নাগর কুথাও নাই

লগর দ্যাশের রকম শুনে ডরেই মরে যাই !


নগর কুমারঃ

ভয় কোরো না বন কুমারী মিথ্যে কিছু নয়

তোমার মত বনের কথায় আমিও পেতাম ভয় ।

বনে নাকি জংলি থাকে প্রেম জানে না তারা

আজকে আমি তোমায় দেখে হলাম দিশা হারা ।

এখন দেখি যেমন তোমার ছায়া শীতল বন

তেমনি ঘন নিবিড় সবুজ ফুলেল তোমার মন ।

নগর দেশে শ্বাপদ আছে বনের থেকেও বেশি

কিন্তু সেথায় ভালোবাসাও আছে পাশাপাশি ।

বনে যেমন গাছ গাছালির আছে রকম ফের

নগর দেশেও তেমনি সুজন রসিক আছে ঢের । 

বন কুমারী , রাগ কোরো না একটি কথা শোনো 

মহুল পিয়াল পলাশ বনে ওলও থাকে বুনো ।

বন ভরেছে মহুল পিয়াল কৃষ্ণচূড়া গাছে

তাদের পাশে জল বিছুটি আলখুশোরাও আছে ।

বন কুমারী বন কুমারী দেখ আমার বুকে

কত মহুল পিয়াল পলাশ ঘুমিয়ে আছে সুখে ।


বন কুমারীঃ

তুখন থেকে তু আমাকে বন কুমারী কস!

ইমন কুথা বুলিস যেন আমার লাগর হস!

আমাকে ই বিরের সবাই বাহা বলেই ডাকে

সোহাগ দিয়ে আদর দিয়ে যত্ন করে রাখে।

ডুংরি গাডা বির মা আমার আমি তাদের ঝি

বন কুমারী বুলিস তাকে মতলব তোর কি?

হিথায় তাদের বাহা হয়ে বেশ তো আছি সুখে

কেন মিছে লগর লগর স্বপ্ন দেখাস মুকে ।


নগর কুমারঃ

আমিও যদি এখন তোমায় বাহা বলেই ডাকি

আমার ডাকে বাহা তবে সাড়া দেবে না কি?

বন কুমারীঃ

ডর করে গো লগর কুমার ডরেই মরে যাই

বিরের মতন এমন দেশটি আর তো কুথাও নাই ।

বির আমাকে সব দিয়েছে প্রেম দিয়েছে মনে

তার মনে তুই পরী সাজার লালস জাগাস কেনে ?

ইখন আমার জিউয়ি কুড়ি করছে ফুটি ফুটি

গা গতরে জিলরা যেন করছে ছুটোছুটি।

ডুংরি ঝরা ঝোরার মতন ছলাৎ ছলাৎ স্রোতে

শিরায় শিরায় কিসের ধারা ঝরছে ক’দিন হতে ।

সই বলছে তুই তো এবার কুড়ি হপন হলি 

উথাল পাথাল গা গতরে তারই হদিশ পেলি ।

জিউয়িতে তোর ফুল ফুটেছে লাগবে নেশা চোখে

লজ্জা শরম গাডার স্রোতে ভাসবে এবার থেকে ।

কইল শেষে লাচার হবি না করলে বিয়া

ই ফাগুনেই ঘর বাঁধ লো কুড়া হপন নিয়া । 

বিয়ার কথায় সরম পেয়ে এলাম গাডার পাশে

ইখানটাতেই লজর বানে তুই বিঁধলি এসে !


নগর কুমারঃ

ধরা যখন পরেই গেছ কিসের বাধা তবে

তোমার চাওয়া সুখের ভুবন আমার মাঝেও পাবে !


বন কুমারীঃ

যা ফিরে যা ঘর যা কুমার লগর ফিরে যা 

আমাকে তুই অমন করে মাতাল করিস না ।

দেখি নাই তোর লগর চোখে শুনেই লাগে ডর

কিমন করে তোর সাথে মুই বাঁধব হোথায় ঘর !

তার চেয়ে মুই বেশ তো আছি ডুংরি বিরের দেশে

জিউয়ি আমার বিরে বিরে বেড়ায় জিলের বেশে ।

লগর গেলে কোথায় পাব ঝারণা গাডা চেঁড়েঁ  

হুথায় গেলেই তুরা দিবি ইঁট পাথরে ঘেরে !


নগর কুমারঃ

বন দেখা যায় দু’চোখ মেলে যায়নাকো মন দেখা

মনের ভিতর সুনন্দ এক কানন আছে রাখা !

সেখানটাতেই থাকবে তুমি ফুল পাখিদের ভিড়ে

অমল প্রেমের পারিজাতে রাখব তোমায় ঘিরে ।


বন কুমারীঃ

বাহা তো এই বনেই ফোটে জারুল পলাশ গাছে

লগরে কি বিরের মত মহুল পিয়াল আছে?

হোথায় বাহা ফুটবে কোথায় ধরবে কোথায় রঙ

বনের বাহা সাজতে নারে লগর পরীর সঙ ।

হোথায় তাকে মানাইবেনা বিরেই মানায় তাকে

লগর কুমার কেন তবে উতল করিস মোকে । 


নগর কুমারঃ

হৃদয় যদি রাঙা থাকে রঙ লাগে না আর

মনের মাঝেই বনের বাহা বনকে পাবে তার ।

বনের বাহা ফুটবে যখন মনের বাহা হয়ে

নানান রঙের বাহায় বাহায় নগর যাবে ছেয়ে ।

হাতটি ধরো বন কুমারী খোলো হৃদয় দ্বার

নাও গো বিরা নাও নগরের সকল অহঙ্কার ।


বন কুমারীঃ

আম ইঞ কুশিমে আমি বুলতে লারি তোরে

উ কথাটো মুখে লিতে লাজেই যেচি মরে ।

জিউয়ি আমার উতল হল তুর কারণে আজ

কেমন করে বলব এটো পাচ্ছি বড় লাজ ।


নগর কুমারঃ

বলা তোমার হয়েই গেল আমিও নিলাম শুনে

নগর কুমার বাঁচবে না আর বন কুমারী বিনে !


বন কুমারীঃ

আমিও এখন তুকে ছাড়া ভাবতে কিছু লারি

তুর সঙ্গেই বন কুমারী লগর দেবে পাড়ি ।

জিউয়ি আমার স্বপন আমার তুলেই দিলাম তোকে

বিরের মতন সাজাস যেন তোদের লগরটোকে।

দোহাই কুমার মানাই তোকে তোর দুটো হাত ধরে

আমায় যেন ফেলিসনাকো ইঁট পাথরে ঘিরে ।

বাহা তবে ঝরেই যাবে ফুটবে না সে আর

এই কথাটো লগর কুমার ভাবিস হাজার বার ।


নগর কুমারঃ

ভেবো না গো বন কুমারী রাখব তোমায় ধরে

বনের মতই সবুজ পাতায় তুলব নগর ভরে ।

করব না আর ইঁট পাথরে নগর ভরার ভুল

নগর রুচির অহঙ্কারে থাকব না মশগুল ।

বনকে দিয়ে ঘিরব নগর ফিরবে নগর বনে

হাসবে বাহা রঙ ছড়িয়ে নগর কোণে কোণে ।

এবার থেকে নগর কুমার পা ফেলবে মেপে

অনন্ত কাল সুস্থ জীবন থাকবে জগত ব্যেপে ।


বন কুমারী;

বন কুমারী চলল তবে নগর তোদের দেশে

তাকে যেন বুকের মাঝে রাখিস ভালোবেসে ।

বন কুমারী বাতাস দেবে সবুজ দেবে ভরে

চিরটা কাল ভালোবাসা থাকবে সবার ঘরে ।


নগর কুমারঃ

রাখব তোমায় বন কুমারী রাখব আমার বুকে

নগর বনে মিলে মিশে কাটবে জীবন সুখে ।

এসো বাহা ! হাতটি ধরো চলো নগর দেশে

নগর কুমার বদলে গেছে তোমায় ভালোবেসে ।


বন কুমারী ও নগর কুমারঃ

আজ মিলেছে নগর বনে আর কিছু নাই ভয়

বির-নগরের মধুর প্রেমে জয় জীবনের জয় !

এবার কেবল হাসবে জীবন থাকবে না আর জ্বালা

আজ জীবনের দিকে দিকে শুধুই খুশির মেলা ।

থাকবে না আর রোগ যাতনা মারণ ব্যাধির ভয়

বির- নগরের যৌথ জীবন শুধুই মধুময় ।

......................................................

শব্দার্থঃ বির> বন; জিউয়ি>হৃদয়;সেরেঞ>গান; বাহা>ফুল; জিল>হরিণ; ডুংরি> পাহাড়; গাডা> নদী; ঝারনা>ঝরণা ;

জুরি-পারি>স্বামী স্ত্রী ;চেঁড়েঁ> পাখি; কুড়ি হপন>যুবতী; কুড়া হপন> যুবক ; আম ইঞ কুশিমে> আমি তোমাকে ভালবাসি ।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>


Rate this content
Log in

Similar bengali poem from Drama