ভয়ঙ্কর সুন্দর
ভয়ঙ্কর সুন্দর
লোকের মনে এরকম ধারনা হয়েছে,
শিব মানেই এক শান্ত সমাহিত রূপ।
লোকে ভুলেই গেছে শিব যে দেবতা ধ্বংসের!
নটরাজ হয়ে নাচেন মহাকাল, সময় এলে প্রলয়ের।
কৃষ্ণ মানেই মুখে একটি মধুর হাসি,
সারাদিনমান যে কদমতলায় বাঁজায় শুধুই বাঁশী।
রাধা তো এসেছে খেলার সাথী হতে একটু পরে,
জন্মের পরেই সে পুতনা ও বক-রাক্ষসের সাথে লড়ে।
মাত্র কয়েকটা বছর সুদাম ও বলরাম ছিল দোসর,
তার মধ্যেও ঘটেছে কালিয়-দমন ভয়ঙ্কর !
এটাই সবচেয়ে সত্যি যে শিব ভালোবাসেন শান্তি,
তাই তো একমনে করেন শুধুই ধ্যান,
সতী সহ সমস্ত জগৎকেই তো উনি ভালোবাসেন।
কিন্তু আত্মভোলা মহেশ্বর! পরিণাম চিন্তা না করেই,
খুশি হয়ে অসুরদেরও যখন তখন বর দিয়ে ফেলেন।
তারপর প্রাণ বাঁচাতে বিষ্ণুর শরণ নেন।
কৃষ্ণ সারাজীবন ধরে, দুষ্ট দমন তরে,
অনেক যুদ্ধ করেছেন, বাঁশী ছেড়ে অসি ধরেছেন।
শান্তি খুঁজে পেতে মথুরা থেকে,
অনেককেই দ্বারকায় নিয়ে এসেছেন।
কিন্তু তবুও শান্তিতে, দেয়নি ওরা তিষ্ঠোতে,
বার বার শত্রুদের প্রতিহত করে গেছেন।
মহাভারতের যুদ্ধ ঠেকাতেও অনেক চেষ্টা করেছেন।
শেষে অর্জনের বন্ধু হয়ে শুধু বুদ্ধি দিয়েছেন।
সত্য সবসময় নয় মনোরম, এ যে কঠিন বড়ই,
অনেকটা যেন ভয়ঙ্কর অথচ সুন্দর আগুনের মতোই।
