ভুলিনি যা আজো
ভুলিনি যা আজো
মনে তো পড়ে আজো সেই মেঠোপথ,
যা ছিল সবুজে ঢাকা।
ফল ধরে ছিল গাছে গাছে আর
ডাকতো চন্দনা-পাপিয়া।
মনে পড়ে আজো রোদ-বৃষ্টির
সেই সব কিশোর-দিন,
একটা ছাতাতে বৃষ্টি মাঝে
আমরা দুই বা তিন।
ভুলিনি আজো বর্ষা দিনের
ভেজা কাদা মাটি পথ,
আছাড় খেয়ে যতই পড়ি,
যাব স্কুল এ'ছিল শপথ।
ভুলিনি আজো টিফিন বেলার
এক্কা-দোক্কা খেলা,
চু-কিত্ কিত্ , লাটিম কিংবা
পালিয়ে চড়ক মেলা।
মনে পড়ে আজো প্রেয়ার লাইনে
হঠাৎ হেসে ওঠা....
শাস্তি স্বরূপ পেতে হতো তাই
কান ধরে ওঠা বসা।
ভুলিনি আজো তাল গাছ তোকে
আর বাবুই এর বাসা,
ভুলিনি ছাতিম তোকেও আজো
প্রখর রোদেতে তুই তো দিতিস ছায়া।
শীতের সকাল, কি যে ঠাণ্ডা
চোখ জুড়ে ঘুম ঘুম,
পিঠে ব্যাগ নিয়ে টিউশান যাওয়া
পথ-ঘাট নিঃঝুম ।।
ভুলিনি আজো সেই মেয়েটিকে
যে কেঁদেছিল আমাদের মাঝে,
সাজবেনা সে, পড়াশোনা ছেড়ে
তখনই কণের সাজে ---
পারিনি সেদিন রাখতে ধরে তাকে,
আমাদের দঙ্গল মাঝে ---
গরীব বাপের অসহায় মেয়ে...
করুন চোখেতে চাওয়া,
যা ছিল স্বপ্ন সবই যেন তার
হলো শুন্যতায় ছাওয়া .....