বৈশাখী পঞ্চবিংশতি

একটি প্রভাত বদলে দিতে পারে ;

ছন্নছাড়া জীবন জোয়ার গতি,

একটি প্রভাত আজ এসেছে দ্বারে ;

বৈশাখী দিন পঁচিশতম জ্যোতি ।

নতুন ভোরাই, নতুন এক সকাল ;

আজ স্বদেশ বিদেশ বিশ্ব গুরুমুখী,

ভাষার ঘরে আসুক যতই আকাল ;

আম জনতা নামতা পড়েই সুখী ।

রোজনামচায় ছিল না প্রভাত ফেরী ;

পথের মোড়ে ভিন্ন মিছিল ভিড়ে,

ভিড়তে সেথায় কেউ করেনি দেরী ;

মহামানবের মিলনতীর্থ তীরে ।

গ্রীষ্মের এই নিদাঘ দহন বেলা ;

আঁখি মেলে চায় পরম করুণাতে,

মানুষ কেমন খেলে অকপট খেলা;

পরশ নিতে শীতল অরুণাতে ।

ফুলের সাজে কচিকাঁচাদের পায়ে ;

চমক লাগায় চিন্তা নূপুরমালা ,

গীতবিতানের মায়াভরা সুর গায়ে ;

জীবন জুড়ায় কুসুমগন্ধী মাল।

প্রাণের ঠাকুর গদাই সদাই রবে ;

চিরকাল বেয়ে যাবে তোমার সুর,

উঠতে বসতে ভারতভূমি যবে ;

জানবে তুমিই প্রাণাধিক রবি ঠাকুর।