আরাফুরা, পলা ভৌমিক ।
আরাফুরা, পলা ভৌমিক ।
অস্ট্রেলিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনিকে, পৃথক করেছে,
যে সাগর, নামটি যে তার খুব সুন্দর, আরাফুরা !
নামটি তাকে দিয়েছিলো মেলুকাসের আদিবাসীরা।
আল ফিউরি, মানে নাকি বনের বাসিন্দা যারা,
আমার মনে হয় তাড়াহুড়ো করে যেন ঐ সাগর গড়া।
আছে এখানে প্রচুর জলজ প্রাণী ও গাছপালারা।
না, খুব পুরোনো নয়, নতুন সাগর এই আরাফুরা,
এর একটা সী-বীচের নাম আবার বাটু - কোরা।
স্বচ্ছ অগভীর জলের পরিবেশ বেঁচে থাকার অনুকুল,
শঙ্খ, ঝিনুকেরা এখানে বাসা বানায়, ঐশ্বর্য অতুল !
ভারত মহাসাগরের সিন্দুক যেন আরাফুরা সাগর,
হঠাৎ করে জন্ম নিয়েই হয়ে উঠেছে সে ডাগর।
গভীরতা নেই বেশী, ও যেন এক চপল কিশোরী,
মনটা স্বচ্ছ রয়েছে এখনও, জলের মতন ওরই।
ঝিনুকে তো মুক্তো থাকে জানে একথা সবাই,
প্রচুর ঝিনুক যে এখনও আছে ওর বুকের মাঝেই।
আরো আছে মানিক-প্রবাল জলের নীচের পাহাড়ে,
মাঝির দলে আসে যে গো শঙ্খ আর এসবের খবরে।
ছিলো না তো আগে এমন টাকা পয়সায় লেনদেন,
সোনার মোহর? রূপোর কয়েন? সে যে অনেক দামী!
রাজার ঘরে থাকে, গরীবেরা তা কোথায় পাবেন ?
কড়ি দিয়েই আগে সাধারণ লোক জিনিস কিনতেন।
ভারত মহাসাগরের আরাফুরায় আগাগোড়াই,
ছিলো যে সমুদ্রটা কড়ি ও শঙ্খেতে বোঝাই।
নৌকায় মাঝি মাল্লা নিয়ে বাঙালি বানিজ্যেতে যেতো,
বোঝাই করে আরাফুরার ধন-সম্পদ নিয়ে ফিরতো।
আরাফুরার পাশের ইন্দোনেশিয়াকে বলত দ্বীপান্তর,
বালি,জাভা ছোট্ট দ্বীপ,তবু বাঙালি চিনতো এদের।
বানিজ্যে যে লক্ষ্মীর বাস, বুঝেছিলো অনেক আগে,
বানিজ্য করে সোনাদানা ভরতো বাঙালি সিন্দুকে।
স্বর্ণবণিক নামে, তৈরি হয়েছিলো এক সম্প্রদায়,
ধন সম্পদ দিয়ে তারা রাজাকেও রাখতো দেনায়।
