#২ হীনমন্যতা
#২ হীনমন্যতা
একটা পিঁপড়ে উল্টো ভাবে শুয়ে আছে;
পাখিদের ছবি ভুল আঁকা হচ্ছে মাটিতে;
গাছের শিকড়গুলো মাটির গভীরে নয়,
সূর্যের দিকে হাত বাড়াচ্ছে;
পাতাগুলো শুঁয়োপোকাদের ভালোবেসে,
মিশে যাচ্ছে মাটিতে|
চোখে রোদ লাগাবে না বলে,
জলের তলায় তিমি মাছটা উল্টো সাঁতরাচ্ছে;
চিৎ হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছে –
একটা মৃত টিকটিকি;
হীনমন্যতায় হেরে যাওয়া প্রত্যেকটা মানুষ,
উপুড় হয়ে গুমোয় আজকাল|
বুদ্ধিজীবীরা মাটির নিচে বসবাস করবে বলে,
জমি কিনছে চড়া দামে; অন্যদিকে,
গ্রামের কয়েকটা বোকা লোক মিলে,
ঠিক করেছে মাটির ঘর বাঁধবে সেই মাটির ওপরে;
চারিদিকে, একরকম বিচিত্র ভাবনার উৎপত্তি হওয়ায়,
আমিও ভীষণ সংশয়ে পড়েছি –
কাঁচের ভেতরের আমি-ই কি আমি?
কোনটা প্রতিবিম্ব আর কোনটাই বা উৎস?
আসামি কে? আর বিচারকই বা কারা?
ঠিক-ভুলের বিচিত্র চিত্র বুঝতে,
এবং সেই সঙ্গে মাটিতে সঠিক ভাবে পাখিদের ছবি আঁকতে,
দ্বারস্থ হয়েছি সেই উল্টো ভাবে শুয়ে-থাকা পিঁপড়ের কাছে!
কিন্তু, কোথায় সে?
একটু আগেই যে দেখলাম দরজার কোণে –
মালতীদি নিশ্চই তাকে ঝাঁট দিয়ে ফেলে দিয়েছে;
নিরুপায় হয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লাম আমিও,
হীনমন্যতায় ডুবে যেতে|