সতীনের সাথে।।
সতীনের সাথে।।


দশম শ্রেণীর ভর্তির চার পা৺চ দিন পরে নাসরিন প্রথম বিদ্যালয় গিয়াছে। সেদিন থেকে এক যুবক দুর থেকে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। সাহস করিয়া কিছু বলিতে পারে নাই। সপ্তাহ খানেক পরে নাসরিনের বান্ধবী একখানি চিঠি আনিয়া নাসরিনের এর হাতে। চিঠি কে দিয়াছে জানতে চাইলে হাসিয়া"কালুয়া" বলিয়া চলিয়া যাইলো।
নাসরিনের হবু প্রেমিক কিছু কালো তাতে সন্দেহ নাই তবে দেখিতে খারাপ এমন কথা বলিতে কেহ পারিবে না।।
নাসরিনের চিঠি খুলিয়া পরার ইচ্ছা হয় কিন্তুু সকলের সামনে পড়িবার উপায় নাই। পরিশেষে বাড়িতে ফিরিয়া যাইবার পর রাত্রে চিঠি খানি খুলিয়া পড়িতে আরম্ভ করিলো। লেখায় পরিচ্ছন্নতার লেশমাত্র নাই। তবে ভাষায় এবং ভালোবাসার কবিতায় ভালো পারদর্শিতা আছে সন্দেহ নাই। পরিশেষে চিঠি দিয়ে উত্তর লিখিয়া পাঠাইয়া দেবার কথা বলিয়াছেন।।
নাসরিনের মনে ভালোবাসার ফুল ফুটিয়াছে। নাসরিন মনে মনে ভাবিয়া ব্যাকুল হয় তবে ভয় করে। যদি দাদার কানে খবর পৌছায় এমন বিপদ বাধিবে বুঝিয়া পাইবে না। দিন কয়েক পরে নুরুল নিজে আসিয়া প্রেমের কথা বলিলো ।। চোখ মুখ লাল হয়ে উঠিয়াছে।।