STORYMIRROR

Sudipto Dutta Roy

Crime Fantasy Others

3  

Sudipto Dutta Roy

Crime Fantasy Others

সন্দেহ

সন্দেহ

9 mins
5


আজ যেমন বর্ষা বলতে আমরা ওয়েব সিরিজ দেখে সময় কাটানো বা হোয়াটসঅ্যাপ - এ কোনো বর্ষার গানের স্ট্যাটাস লাগানো বুঝি , ঠিক বিশ - ত্রিশ বছর আগেও ব্যাপারটা একদমই এরকম ছিল না | বৃষ্টি মানেই বোঝাতো পাড়ার ছেলে- বুড়ো মোড়ের মাথার চায়ের দোকানে জটলা করে , গরম চা, মুড়ি - তেলেভাজা আর গরম গরম খবর চর্চা | সে দেশের রাজনীতি হোক কিংবা ক্রিকেট- ফুটবল, চায়ের দোকানে আসলে সব খবর পাওয়া যেত | কিন্তু বৃষ্টিতে যে খবরটা সবচেয়ে বেশি জমত তা হল খুন আর রহস্য | আসলে মুশলধারে বৃষ্টি,স্যাঁতসেঁতে' আবহাওয়া , আর ফাঁকা রাস্তা ঘাট সব মিলিয়ে প্রকৃতিই যেন রহস্য গুলোকে আশকারা দেয় | আর খুনটা যদি হয় এলাকায় তাহলে তো কথাই নেই !


ব্যান্ডেলের কাছেই আদি সপ্তগ্রাম স্টেশন | ব্যান্ডেল-বর্ধমান যারা যাতায়াত করেন তাদের হয়তো স্টেশনটা চেনা | নব্বইয়ের দশকে এরকমই এক শ্রাবণ মাসে ঘটে গেল ঘটনাটা | এক 72 বছরের বৃদ্ধা মহিলার খুন | সব পেপার এ বেশ বড় করে হেডলাইন | আর সেই বৃদ্ধার বাড়ির উল্টো দিকের হারান দার চায়ের দোকানে এটা নিয়ে আলোচনা হবে না তা হয় নাকি ? 


72 বছরের মানসী সরকার , তিরিশ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে এই বাজার সংলগ্ন বাড়িটাতে তিনি একাই আছেন | আয়ের উৎস বলতে স্বামীর রেখে যাওয়া কিছু জমানো টাকা আর বাজারের উপর দুটো দোকানের ভাড়া | 7ই আগস্ট রাতে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে আবিষ্কার করেন নিজের ঘরের মাটিতে পরে আছে বৃদ্ধা | মাথায় চোট | কিছু ভারী জিনিস দিয়ে মাথাটা থেতলে দেওয়া হয়েছে | আর যে মেরেছে তার যে বুড়ির উপর খুব রাগ ছিল তা খুনের ধরণ দেখেই বোঝা যায় | প্রাথমিক তদন্তের পর , পুলিশ সুব্রত সরকার নামে তার এক ভাড়াটে দোকানদারকে গ্রেপ্তার করেছে | তার দোকান এই বাজারেই | কিন্তু আজ তিন দিন পর সুব্রত জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে , কারণ পুলিশ সুব্রতর বিরুদ্ধে কোন বড় প্রমাণ পায়নি | তাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন খুনটা করল কে ? চায়ের দোকানে যে যা পারছে তাই বলছে | কেউ বলে সুব্রতই খুনী , ও ব্যাটা পুলিশকে ঘুষ খাইয়ে পার পেয়ে গেছে , কেউ বলে এটা কোন ভূতের কাজ নাহলে খালি বাড়িতে বুড়িকে মারল কে ? আর পাড়ার বকাটে ছেলেরা টোন কেটে বলছে ,”দেখ ! আবার এই বয়সে কোথায় কি বাধিয়েছে ! আজকাল তো শুনেছি সবই হয় |”


পোস্টঅফিসের রিটায়ার্ড কর্মচারী তালুকদার বাবু এসব কথায় কান না দিয়ে বেঞ্চের কোণে বসে পেপার পড়ছিলেন | মুখ তুলেই দেখলেন সামনে জয়ন্ত আসছে তারই দিকে | “এসো বাবা জয়ন্ত ,কবে এলে মামারবাড়ি ?”, জয়ন্ত উত্তর দিল ,”আজই সকালে দাদু “| জয়ন্তর মামারবাড়ি এই পাড়াতেই , কলেজের ফাস্ট ইয়ার পরীক্ষা শেষ করে ঘুরতে এসেছে | এদিক ওদিকে দু- চারটে কথা বলে , সে তালুকদার মশাইকে খুনের কথাই জিজ্ঞেস করল | 

“আপনি চিনতেন এই মানসী সরকারকে ?”

“হ্যা, চিনতাম বলতে পাশাপাশি থাকি আর পোস্ট অফিসে দু - চারবার দেখেছি “ | কিন্তু ক্রাইম স্টোরির ভক্ত জয়ন্ত , এত সহজে তো সে দাদুকে ছাড়বে না | বাইরে আবার ঝম ঝম করে বৃষ্টি নামল | তাই হারানকে দুটো চা বলে , তালুকদার মশাই শুরু করলেন |  


“এলাকায় মানসী সরকারের যে খুব সুনাম ছিল তা নয় , বরং খিট খিটে , একাচোরা বদ-মেজাজি বলে তার বদনাম ছিল বেশি | তার বাড়ির মধ্যে কেউ আসুক সেটা তিনি একদমই পছন্দ করতেন না , তাই কোন কাজের লোকই তার বাড়িতে টিকতো না | তিনি একাই সব কাজ করতেন | আর তার আত্মীয়- সজন বলে কেউ ছিল বলে অন্তত পাড়ার লোকের জানা নেই | শুধু বর্ধমানের দিকে নাকি এক ভাইপো থাকে | তবে তাকে খুব কম লোকই দেখেছে | শুনেছি ভাইপোটা লমপট , তাই তার সাথেও বুড়ির কোন সম্পর্ক নেই বললেই চলে | 


আশ্চর্য ভাবে সুব্রতর সাথে বুড়ির খুব ভাব ছিল | আচ্ছা তুমি তো এদের চেন না ! তোমায় বলে রাখি বুড়ির দুই ভাড়াটে দোকানদার আছে | একজন তো শুনলেই সুব্রত , এর ফটো ষ্টুডিও | বাড়ির উল্টো দিকেই | আর একজন হল অরবিন্দ বাগচী , ছোট মুদির দোকান , ঐ স্কুলের পাসটাতে | অরবিন্দর সাথে বুড়ির কথা নেই বললেই চলে, শুধু ঐ মাসে একদিন ভাড়া দেওয়া | কিন্তু প্রথম থেকেই সুব্রত ছেলেটি বুড়ির প্রিয় হয়ে ওঠে | 28 বছরের সুব্রতর ফটোতোলার হাত বেশ ভালো | আর আসেপাশে আর দোকান না থাকায় তার ষ্টুডিও ভালই চলছে | বুড়ির সাথে ব্যাংকে যাওয়া , মন্দিরে যাওয়া বা এদিক ওদিক কাজ, সবেতেই সুব্রত বুড়ির সাথে যেত | খুনের দিনও বুড়ি ওর সাথে একটা নিমন্ত্রন বাড়ি গিয়েছিল | বুড়ির পরিবার পরিজন নেই , তাই সম্পত্তির লোভে হোক আর মানবিকতার জন্য হোক সুব্রত বুড়ির সাথ দিত | এমনই ওর নামে কোন বদনাম পাড়ায় কেউ শোনে নি |” 


এখানে তালুকদার মশাই থামলেন | গরম গরম বেগুনি উঠছে | দুটো করে দু জায়গায় বলে , একটা বিড়ি ধরিয়ে , একটু জমিয়ে বসে তিনি আবার শুরু করলেন |

“আচ্ছা এলিবাই কি জানো ?”

জয়ন্ত উত্তর দিল , “ হ্যা , ঘটনার সময় সেখানে না থাকার অজুহাত “

“হ্যা , ঠিক | এই এলিবাইয়ের জোড়েই সুব্রত বেচে গেল | খুনের দিনের ঘটনা বলি | যদিও এটা লোকের মুখের চেয়ে বেশি আমি খবরের কাগজ পরে জেনেছি | খুনের দিন সকালে বুড়ি আর সুব্রত দুজনেই একবার ব্যাংকে যায় , সেখান থেকে তারা যায় নিমন্ত্রনবাড়ি | বুড়িকে রাত ৮ টা নাগাদ সুব্রত বাড়ির গেটে নামায় | এরপর সুব্রতর বয়ান অনুজাই সে আবার আসে, পরদিন সকালে দোকান খুলতে | যদিও বুড়ি খুব সকাল সকাল ওঠে , আর উঠেই বাড়ির উঠানে জল দেয় , কিন্তু সেদিন সুব্রত দেখল বুড়ির বাড়ির দরজা তখনও বন্ধ ছিল | এটা সকাল নয়টার কথা | সুব্রতর কথা অনুজাই সে একবার বাড়ির ভিতর ঢোকে ,আর আশেপাশের দু চারজন লোক তাকে ঢুকতে দেখেছিল | কিন্তু এক-দুবার বুড়িকে ডেকে, ঘুমাচ্ছে ভেবে, সে দোকানে চলে আসে | এরপর দোকানের কাজে কর্মে তার দুপুর হয়ে যায় | প্রায় বিকাল 4 টের সময় সুব্রতর খেয়াল হয় , বুড়ি তাকে আজ একবারও ডাকল না কেন !


 আবার বাড়িতে ঢুকে ডাকার পরও যখন সারা পাওয়া যায় না , তখন সুব্রত আর পাড়ার কিছু লোক মিলে পুলিশ ডাকে | পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে , বুড়ি ঠাকুর ঘরে মরে পরে আছে | বুড়ির মাথায় মেরে তাকে কেউ খুন করেছে | বাড়ি সিল করা হয় আর পুলিশ তদন্তে নামে | তদন্তে জানা যায় , বুড়িকে কেউ রাত 9 টা থেকে রাত 1 টার মধ্যে খুন করেছে , কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার পাড়ার দু চারজন যারা খুব সকালে ওঠে তারা বলে তারা সকালে লাল সাল গায়ে বুড়িকে জল দিতে দেখেছে | এরপর পুলিশ আরও জানে, মৃত্যুর মাত্র 3 দিন আগে ,বুড়ি উইল করে তার জমানো টাকা আর বাড়ি সুব্রতর নামে করে গেছে | আর তার কাছে তার স্বামীর দেওয়া কিছু সোনার coin ছিল যেটা নিয়ে সে কাশি যাবার মনস্থির করছিল | 


স্বাভাভিক ভাবেই পুলিশ সুব্রতকে সন্দেহ করতে থাকে | এরপর আরও জানা যায় , যে সুব্রতকে সবাই ভাল বলে জানত সে মোটেই সাধুপুরুষ নয় | একটা বাজে মদের থেকে তার প্রায় রোজকার যাতায়াত | তাকে জেরাতে তার খুনের দিন সকালে আসা আর তার আগের দিন রাতে বুড়ির বাড়ির থেকে যাওয়ার সময়ের মধ্যে অসংগত পাওয়া যায় | কিন্তু সোনার কয়েন কোথায় থাকতো , সে কথা সে কিছুই জানে না ,এটা সে বার বার বলতে থাকে | তবে বাজারে তার অনেক ধার- দেনা হয়ে গেছিল | এই সব কারণেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে | 


কিন্তু খুনের রাতেও সে, সেই ভাটিশালাতে ছিল | সেখানের অনেকেই সেটা নিশ্চিত করেছে | আর এজন্যই সে জামিন পেয়ে গেল |


বুড়ির ভাইপো যে ছিল , রমেশ মণ্ডল , ওকেও পুলিশ জেরা করেছে | কিন্তু সে সাফ জানিয়েছে তার সাথে পিসির কোন সম্পর্ক নেই | সেদিন সে তার জুয়ার আড্ডায় ছিল | অন্তত 10 জন সাক্ষী সে দিতে পারে | আর পাড়ার কেউই তাকে দেখেনি সেখানে আসতে , তাই তার এলিবাই টা খুব জোরদার |


বুঝলেতো দাদুভাই, এটা যতটা সহজ ভাবা হয়েছিল অতটা সহজ কেস নয় | কয়েকটা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে | এক তো খোজার পরও বুড়ি বা সুব্রত কারোর কাছ থেকেই সোনার কয়েন পাওয়া যায়নি | আর যদি রাতেই বুড়ি মারা গিয়ে থাকে তাহলে সকালে উঠানে কাকে দেখা গেল ? আর খুনটা করল কে ? 

“কিন্তু আমার কি মনে হয় জানোতো , জয়ন্ত ! সুব্রতই খুনী | বুড়ি কবে মরবে , তবে সে সম্পত্তি পাবে, এতটা অপেক্ষা সে করতে পারেনি |”


“খুন করাটা অত সহজ নয় দাদা , সুব্রত খুন করেনি !” তালুকদার মশাই আর জয়ন্ত দুজনেই চমকে উঠল | তারা এতক্ষণ লক্ষ্যই করেনি , কোথা থেকে একজন ভদ্রলোক তাদের পাশের বেঞ্চটাতে বসেছে | রোগা , কালো দোহারা চেহারা | জামাকাপড় বোঝা যাচ্ছে না কারণ , রেইনকোট পড়া | তবে বাইরে যা বৃষ্টি পড়ছে তা রেইন কোটে মানার নয় | 

“সোনার কয়েনগুলো কোথায় গেল ? বুড়িকে রাতে মারলে , সকালে সবাই কাকে দেখল ? - সুব্রত খুন করলে এসব প্রশ্নের উত্তর নেই কেন ?” চায়ে চুমুক দিতে দিতে ,দুজনের দিকে তাকিয়ে লোকটা প্রশ্ন করল |


তালুকদার মশাই , লোকটাকে আপদ- মস্তক একবার দেখে নিলেন | একে তিনি আগে দেখেন নি, আর দেখে পুলিশের লোক বলেও মনে হচ্ছে না | তবে, ইদানিং খুনের পর থেকেই দু চারজন করে রোজই পত্র পত্রিকার লোক পাড়ায় আসছে | এও তাদের মত কেউ হবে | 

জয়ন্ত বলল “কেন ? আপনি কি করে জানলেন সুব্রত খুনী না ?” 

লোকটা তালুকদার মশাই-এর থেকে একটা বিড়ি চেয়ে , সেটা ধড়াতে ধড়াতে বললেন , “সে আমি জানি | আসলে মানসী সরকারের ভাইপোই হল খুনী |”


“ওরা দুজনেই চুপ |”


লোকটা বলে গেল, “ আসলে উকিলের কাছে , উইলের কথাটা জানতে পেরে , বুড়ির ভাইপো মানে রমেশ তেলে- বেগুনে জ্বলে ওঠে | সে থাকতে একটা বাইরের লোক সব দাও মেরে চলে গেল , এটা সে কিছুতেই হতে দেবে না | কিন্তু উইলতো হয়ে গেছে , এখন বুড়ি মরলে সব সম্পত্তি পাবে সুব্রত | অন্য উপায় ভাবতে হবে | বাবার কাছে সে শুনেছিল পিসোমশাইদের অনেক সোনার কয়েন ছিল , পৈতৃক সম্পত্তি | সে সগুলোকেই চুরির কথা ভাবে | বেশ দু তিন দিন পিসির বাড়ির আসেপাশে ঘোরার পর , খুনের দিন সে জানতে পারে আজ বাড়িতে কেউ থাকবে না | ছোট বেলা থেকেই ডানপিটে , তাই বাড়ি খালি হওয়ার পর , পাইপ বেয়ে ছাদের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকা তার কাছে এমন কিছু কঠিন কাজ ছিল না | তারপর শুরু হল খোঁজ | কিন্তু বুড়িতো আর সহজ মহিলা ছিলেন না | তাই আলমারী ভেঙে সে কিছুই পেল না | এবার সে সারা বাড়ি , খুঁজতে লাগলো | কিন্তু কিছুই পাওয়া গেল না | শেষে ঠাকুর ঘরে একটা চোরা- সিন্দুক আবিষ্কার করল | সেটাই শীলনোড়া দিয়ে ভেঙে ওখানে 70 টা সোনার কয়েন পেল | 


সব ঠিকই চলছিল | কিন্তু বেরতে গিয়েই সে দেখল , তার পিসি ফিরে গেছে | আর সেদিন তার পিসি পিছনের দরজা দিয়ে উঠানের মেলা সব জামাকাপড় গুলো তুলে নিয়ে তারপর , ঘরে ঢুকছে | পিসি-ভাইপো মুখো মুখী | ভাইপো কিন্তু একটুও সময় নষ্ট করল না , সে বুড়ির মুখ চাপা দিয়ে ঠাকুর ঘরে নিয়ে এলো | কিন্তু বুড়ি কোন রকমে তাকে কাটিয়ে বাইরের দিকে পালানোর জন্য ছুট দিল | আর কোন উপায় না দেখে ঠাকুরঘরে পরে থাকা শীল-নোড়া দিয়ে , দিল মাথায় এক বারি | বাজারের কোলাহলের মধ্যে কেউ বুড়ির চিত্কার শুনতে পেলনা | 


এবার রমেশ পড়ল মুশকিলে , এখন সে কি ভাবে বেরবে ? এবার তো সে তো ধরা পরে যাবে | সে তখন ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান করল | ঘরের যে যে জায়গায় তার ফিঙারপ্রিন্ট পাওয়া সম্ভব তা সে পরিষ্কার করল | ঘরের সব জিনিসপত্র আগের মত করে দিল, যাতে সোনার কয়েনের ব্যাপারটা ধামা - চাপা পরে যায় | যখন ভোরে সামান্য , আলো ফুটেছিল | তখন বুড়ির একটা শাড়ী পরে, আর তার লাল সালটা গায়ে জড়িয়ে মাথা নিচু করে সে উঠানে জল দিল , দূর থেকে সবাই ভাবল তারা বুড়িকে দেখেছে | আর সুযোগ বুঝে পিছনের রাস্তা দিয়ে মাঠের রাস্তা ধরে পালালো | আর বাকি থাকলো জুয়ার আড্ডার ঐ 10 সাক্ষী , আপনার কি মনে হয় প্রত্যেকের জন্য একটা সোনার কয়েন যথেষ্ট নয় ?”


এই বলে লোকটা থামল ,প্রায় রাত ৮ টা বেজে গেছে | বৃষ্টির দিনে রাস্তা ঘাট ফাঁকা | তালুকদার বাবু আর জয়ন্ত চুপ ! লোকটা বিড়ীতে শেষ টান মেরে উঠে পড়ল |”


“যাই , বৃষ্টিটা একটু ধরেছে ! আমায় আবার বর্ধমান লোকালটা ধরতে হবে |” লোকটা চলে গেল |


জয়ন্ত বলল , “দাদু , কে এই লোকটা ?”





Rate this content
Log in

More bengali story from Sudipto Dutta Roy

Similar bengali story from Crime