Sukanta Debnath

Tragedy Others

3  

Sukanta Debnath

Tragedy Others

শর্মিলা

শর্মিলা

8 mins
176



কোলের ছেলেটি কাঁদছে আর শর্মিলা ছেলেটির দিকে শূন্য দৃষ্টিতে কেমন পাথর হয়ে আছে যেন। বড় ছেলেটি ঘুমিয়ে পড়েছে না খেয়ে, সোম এখনও ফেরেনি, এখনও হয়তো মাতাল হয়নি পুরটা, বাকিটুকু তাই হয়তো কোনও বন্ধু বা বান্ধবীর সাথে।

আজ বাবা মারা গেছে শর্মিলার দীর্ঘ দুবছরের চিকিৎসার পরে সমস্ত পরিবারকে নিঃস্ব করে তার বাবা আজ চলে গেছে। পরিবার বলতে তার মা শুধু, আর কেউ না এবং সে তার স্বামীর সমস্ত জমা পুঁজি উজাড় করেছে ডাক্তার বাবুর কাছে। দুবছর শয্যাশায়ী থাকার পরে পেটের ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ায় তার মৃত্যু হয়েছে সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিটে।

শর্মিলা, সোমের বাবা এসে ডাকল,

ভাত বেড়ে দিতে দিতে শর্মিলা বহু সংকোচে বলল- বাবা আজ সন্ধ্যা বেলা আমার- কথাটা শেষ হল না।

সোমের গাড়ির আওয়াজ এলো, ড্রাইভার গ্যারেজের দরজায়, সোম নেমে সোজা উপরে চলে যাবে। বাবার সাথে এভাবে কথা বলা যায়না, তাই কলিং বেল যেন না টিপতে হয় শর্মিলা জানে। দৌড়ে এলো শর্মিলা, শুনছো বাবা মারা গেছে, দরজাতেই বলল, বড় ক্ষীণ বড় ম্রিয়মাণ ভাবে। দাড়ালোনা চলে গেল উপরে একটি কথাও না বলে।

সে কি কাঁদবে তার কি কাঁদা উচিৎ, নাকি দৌড়ে যাওয়া উচিৎ, নাকি স্বামীকে জিজ্ঞেস করা উচিৎ কি করবে ?

যেভাবে কেটেছে এতগুলি দিন ৭ টি জীবন যেন ৭ টি বছর।

 

কেঁদেছিল একদিন, সেই কবে ছোট বেলায় কত ছোট, ক্লাস ২ হবে যেদিন মা চলে গেছিল। অবশ্য প্রথমে কাঁদেনি

বুঝতেই তো পারেনি মা মরে গেছে, বা হয়তো মরে যাওয়া কাকে বলে জানেইনি তখনও, যখন সন্ধ্যা হল আর সকলে চলে গেল এক এক করে তখন বুঝেছিল মা নেই, আর কান্না কে থামায়, কে পারে মার জায়গায়, কেউ না কেউ না কাঁদতে কাঁদতে অবশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সেই প্রথম মৃত্যু দ্যাখা জীবনে। মাকে কেমন যেন একটি সাদা চাদরে পরোটা মুড়িয়ে উঠোনে শুইয়ে রেখে দিয়েছিল আর সকলে ঘিরে কাঁদছিল। শর্মিলা চুপ করে দেখছিল মনে আছে মাসির কোলে বসে। কিন্তু আজ কই কাঁদতে পারছেনা যে। এক ফোঁটা জলও আসছেনা চোখে।

 

শর্মিলার দুই ছেলে একটি ৬ বছরের এবং ছোটটি ২। শর্মিলার মতই শান্ত ধীর, মায়ের ছায়া যেন, সারাক্ষণ মাকে জড়িয়ে, বাইরে থেকে বোঝাই যায় না ছেলে দুটি ঘরে আছে কিনা। বাবা না থাকলে তাও মার সাথে দুচারতে কথা বলে, বাবা থাকলে ভয়ে এক কোনে বই এর পাতার উপর ঝুঁকে পড়ে। বাবা যখন চেঁচায় বাবা যখন মায়ের চুলের মুঠি ধরে পাছায় লাথি মারে ছেলে দুটি চুপ করে এক কোনে মুখ গুঁজে বসে থাকে। বাবা চলে গেলে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। শর্মিলা কিন্তু কাঁদেনা, তার চোখ থেকে এক ফোঁটা জলও পড়েনা। কিন্তু কষ্ট হয় খুব, ব্যথা লাগে, ছেলে দুটির জন্য নিজের জন্য নয়।

 

শর্মিলা,

শর্মিলা হঠাৎ পিছন ঘুরেই দেখে বাবা দাঁড়িয়ে আছে, বাবা হঠাৎ এ সময়, দুপুর বেলা বাবারতো অফিসে থাকার কথা ঘরে কেন ? হাতের বই পত্র কোনো রকমে রেখে উঠে দাঁড়ায় সারা চোখে মুখে এক অদ্ভুত অপ্রস্তুত ভাব। বাবা বুঝতে পারে বলে, তোর মায়ের শরীরটা ভাল নেই তাই তাড়াতাড়ি চলে এলাম। তুই কলেজ যাসনি আজ ?

 

মায়ের শরীর ভাল নয় কেন কী হয়েছে মায়ের, মা তো ঠিকই ছিল কাল রাত পর্যন্ত এখন হঠাৎ কি হল। বাবাকে জিজ্ঞেস করবো ? কিন্তু ভয়ে সেটুকুও পারেনা সে বাবা কি ভাববে একই ঘরে থেকে এত দূরত্ব মায়ে মেয়েতে, আর দূরত্ব থাকলে অন্তত বাস্তবে তো তা প্রকাশ করা যায়না। কি করবে শর্মিলা জীবনটা তো তার এমন ভাবেই তৈরী হয়েছে। মাকে তো কোনোদিন মা বলে মেনেই নিতে পারেনি। নিজের মা তো আর নয়, মায়ের বোন আসলে মাসি তার, মা মারা যাওয়ার দুবছর পরে বাবা আবার মাসিকে বিয়ে করে ছিল। তার জন্যই করেছিল তবু সে কোনো দিন মেনে নিতে পারেনি বাবার দ্বিতীয় পক্ষ। হোক সে নিজের মাসি তবু মা তো আর নয়। মায়ের জায়গা কি কেউ নিতে পারে। বাবা কি পারতো নিজের মাকে মা নাবলে অন্য কাউকে মা বলে ডাকতে।

 

বাবা কি কোনো দিন ভেবেছে সে কথা, বাবা কি কোনো দিনও তার কথা একবারও ভেবেছে সে কি চায়। একবারও কি তাকে জিজ্ঞেস করেছিল যখন মাসিকে বিয়ে করতে গিয়েছিল। কিন্তু বাবা হয়ে তাকি সম্ভব, মেয়েকে জিজ্ঞেস করা, কেউ কি করে ? তা হলেই বা কি কম ছিল তাদের, মায়ের অভাব তো দুবছরে পূরণ হয়েই গিয়েছিল, সেতো আর কাঁদত না। তবে, কেন নিজের প্রয়োজনে।

 

বাবার উপর বেড়ে চলে অভিমান যেমন বাড়ে দূরত্ব। পুরো সংসারটাই কেমন যেন কর্তব্যের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে যায়। যেটুকু কাজ কোনোমতে যা না করলেই নয়। তাই মাকে গিয়ে একবার সৌজন্যের খাতিরে কেমন আছ। ব্যস এটুকুই তার পরের শব্দটি কিন্তু মুখ থেকে বেরোয় না। মুখের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। দেনা পাওনার আবর্তে সে হারিয়ে যায় এবং আর কোনো দিনও না আসার অঙ্গীকার বুকে করে অবোধ বালকের মত বাসে চেপে বসে। এত টুকুও ভাবেনা যে ফেরার পথ বড় সংকীর্ণ। অন্তত তার বাবা কোনো দিনও ক্ষমা করতে পরবে না। আর যার দ্বারা এ সম্ভব হলেও হতে পারতো তাকে তো কোনো মা বলে ডাকেইনি। অথচ সে তার সর্বস্ব একদিন বলিদান করেছিল এই বোনের মেয়ের জন্য। নিজের মাতৃত্বটুকুও। সেই মেয়ে সামান্য কলেজ পেরোতে না পেরোতেই বুঝল আমি নারী আমি সব জানি, ছেলেদের বোঝা হয়ে গেছে, মানুষ চিনতে আর বাকি নেই। বাবা পারে আমি পারিনা।

 

জীবনের সোনা ঝরা দিন গুলির স্বপ্ন কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় যখন শ্বশুর শাশুড়ির টাকা না পাওয়া বিনে পয়সার বউয়ের দুঃখে ছেলের কপালে হাত না রেখে বলে- তুই এই আনলি ?

অর্ধেক তো সে দিনই শেষ হয়ে গিয়েছিল শর্মিলা বাকি অর্ধেক প্রতিদিনই শেষ হয়ে আসছে। স্বামীর শোষণে, অকথ্য ভাষায় গালিতে, তাও এত কিছুর মধ্যেও দুটি ছেলে যখন জন্মাল মনে হল সে হাতে সোনা পেয়েছে। একদিন আসবে যেদিন এরাই তাদের মাকে বাঁচাবে, বাঁচার লড়াইয়ে বাঁচাবে।

 

বিয়ের আগের কথা মনে পড়ে পড়তে বসে সে ভুলেই যেত কটা বাজে, খাওয়ার কথা মাথাতেই থাকত না। মা বার কয়েক দরজার কাছ থেকে দেখে যেত মেয়ে জানালার দিকে মুখ করে বসে আছে। পাছে বিরক্ত হয়, পাছে পড়া বন্ধ হয়, তাই ডাকতো না। একেবারে খাওয়ার সময় যখন পার হয়ে এল, থালা নিয়ে মেয়ের টেবিলের সামনে, তাকেও তো খেতে হবে। বাবা অফিস থেকে ফিরে আগে জানতে চায় তার মেয়ে কটার সময় খেয়েছে, কি কি খেয়েছে এবং কি কি খায়নি কিছু খেতে চেয়েছে কিনা। মা বলে না কিছুতো বলেনি। শর্মিলা ভাবে হ্যাঁ চেয়েছিলাম, এমনটাই হয়তো চেয়ে থাকবো তা না হলে পেলাম কেন, অবশ্য এত আমার কাজ, কর্ম যাকে বলে, করবো নাইবা কেন। সোমের এক বোন আছে পিসতুতো পাঁচ বনের একেবারে শেষেরটা। সোমের প্রায় সমবয়সী, তার বাবা চেয়েছিল একটি অন্তত ছেলে হোক, কিন্তু পঞ্চম বারও যখন মেয়ে হল হাসপাতালে সকলের সামনে নাকি নিজের গালে চড় মেরেছিল। সে যাই হোক সে সব এখন আর হয়না। বিয়ের পর তো নয়ই। পাঁচ বোনের মধ্যে তার বড়টি স্কুল মাস্টার তারপর সে একটি বেসরকারি হসপিটালের নার্স। বৃদ্ধ বাবা মার শেষ লাঠি, বাবা ভয় পেয়েছিল মেয়ে বুঝিবা বিয়ে করে চলে গেলে তাদের কি হবে। মেয়ে কিন্তু বুঝতে দেয়নি যে বাবা মার দায়িত্ব একা ছেলে কেন নেবে। শর্মিলার একমাত্র বান্ধবী বলা যেত পারে। কেন জানিনা বিয়ের কয়েকমাস পরে একদিন খবর পেয়ে সে নিজেই এসেছিল দেখা করতে। সোম বাড়ি ছিলনা মিনিট দশেক বসে আবার চলে গেছিল, এ বাড়িতে বিশেষ আসেনা কেউ তারা। ঐ দশ মিনিট আর দুজনেই দুজনকে কেমন আবিষ্কার করেছিল সেদিন, শর্মিলার মনে হয়েছিল একই রক্ত মাংসের শরীর অথচ দুজনের চিন্তাধারার মধ্যে কি বিস্তর ফারাক। সে জীবন খুঁজে চলেছে স্রষ্টার কাছ থেকে পালিয়ে আর এ মেয়েটি তাদেরই লালন পালনের ভার বইছে। বেঁচে থাকার বোধটাই কেমন যেন গোলমেলে হয়ে উঠেছিল তার কাছে। যাওয়ার সময় মেয়েটি বলেছিল – কর্তব্যের মাঝে নিজের কথা কিন্তু ভুলনা শর্মিলা, তোমাকে দেখাও তোমার একটা কাজ। আমাকে দেখাও আমার একটা কাজ, অতো ভাবেনি তখন, জীবনের রসে সে তখন প্রায় নিমজ্জিত। আর সোমও তো ছিল তেমনই, লম্বা সুপুরুষ, মোটা বেতনের চাকুরে।

 

প্রথম দেখার দিন গুলি মনে পড়ে, বৃষ্টিতে সারা শহর প্রায় বন্ধ, রাস্তাঘাট ফাঁকা, কোথাও কোথাও পাওয়ার কাট, টিউশানি থেকে ফেরার পথে সে এবং তার এক বান্ধবী, মেয়েটি হঠাৎ চলন্ত বাইকের দিকে হাত দিয়ে ডেকে উঠল। গাড়ি থামতেই বলে উঠল – চল শর্মিলা ও পৌঁছে দেবে। শর্মিলা বলেছিল – কেন, কে ছেলেটা।

-    ও আমার দাদার বস কোম্পানিতে। শর্মিলা বলেছিল – না যাবনা, বৃষ্টি কমুক আমি একাই চলে যাব, তুই যাবি তো যা। দু 

তিনবার পিড়াপিড়ির পর মেয়েটি চলে গেল। তারপর অবশ্য শর্মিলার মা এসেছিল দুটি ছাতা আর রিক্সা নিয়ে। কিন্তু কারণে অকরণে ছেলেটির সাথে আবার দেখা হল, আবার আবার আবার, জীবনের মোড় ঘুরতে শুরু করল।

কিন্তু এখন এসব পুরানো হয়ে গেছে, কখনও প্রশ্ন করেনি সে, কারণ খুঁজেছে, কেন হল এমনটি, এমনই কি হয়।

এত দ্রুত পালটে যায় কেউ, কিকরে হারিয়ে যায় সেই প্রেমিক মানুষটি, প্রথম ছেলেটি পর্যন্ত তাও ঠিক ছিল, তারপর আস্তে আস্তে শুরু হল সিঁড়ি ভাঙার খেলা, উপরে আরও উপরে। অভিভাবকের যায়গায় বাবা থেকে কোম্পানির ‘বস’, ভালবাসার যায়গায় ছেলে থেকে টার্গেট-এচিভমেন্ট, আর, আর স্ত্রীকে শূন্যে উড়িয়ে আরও সব হাই প্রোফাইল মেয়ে। জীবন জুড়ে শুধু প্রসফেক্ট আর প্রসফেক্ট। পরের ছেলেটি যে কখন হল নেশার ঘরে জানতেই তো পারেনি। তবু চলতে তো হবে, চলা ছাড়া উপায় কি? 

 

 কে জানে কি আছে ভিতরে। অথচ আজ কি করবে সে, ৭ বছর, ৭ বছর সে তার বাবার একটি খবর পর্যন্ত নেয়নি, ২ বছর বাবা বিছানায় ছিল, জানতেই পারেনি। সেকি দৌড়ে যাবে কিন্তু কার কাছে, কাকে ডাকবে সে। মাকে, আজ তার খুব ইচ্ছে করছে মাকে মা বলে ডাকি। কত নিচু মনের সে, যে মানুষ তার জন্য সব বিসর্জন দিয়েছিল, তাকে মা বলে ডাকতে পর্যন্ত পারেনি।

 

কি করবে, সে উপরে গেল, যাওয়ার আগে সোমের বাবাকে সিঁড়ির কাছে বলে গেল,

-   বাবা আজ সন্ধ্যাবেলা আমার বাবা চলে গেছে।

সোমের বাবা ভাবল সেকি, চলে গেছে মানে মারা গেছে নাকি ? আর তার বৌমা এখনও এখানে, এত সাধারণ।

শর্মিলা দৌড়ে উপরে গেল, ভাবল একবার ডাকি, এত রাতে ও বাড়ি যাবো কি করে ? আবার ভাবল গাড়ি তো তার নিজের নয়। আর তাছাড়া সেতো চালাতে পারেনা, এতো রাতে কি ড্রাইভার আসবে তার জন্য। তা ছাড়া এত বড় গাড়ি তো তাদের ছোট গলিতে ঢুকবে না, কি ভাববে সকলে এত বছর পরে দেখাতে এসেছে ?

 

 

মাত্র কয়েক সেকেন্ড আর এত গুলো চিন্তা। ভাসমান জীবন কোনো প্রান্ত নেই। সত্যি শর্মিলা আজ এত অসহায়, এত দুঃখের মধ্যে কাকে ডাকি, ফোন হাতে শর্মিলা কিন্তু কোনো নাম মনে আসেনা।

-   শর্মিলা, বাবা ডাকলেন

-   যাবেনা কি ভাবছ ?

-   বাবা, কে যাবে সঙ্গে ?

-   কা যাবে, তুমি কার সাথে ও বাড়ি ছেড়েছিলে ?

এক ফোঁটা জল যেন চোখের মনিতে ছুরির মত বয়ে গেল। আর এক মুহূর্ত নয় তাকে যেতে হবে। সে হাত ব্যাগ টি নিলো। যাওয়ার আগে বাবার দিকে এক বার তাকাল, কেন কিছু বলার ছিল ?

 

ঘর ভর্তি লোক ছোট বারান্দার এক কোনে মা চুপ করে বসেছিল। জলের ধারা কখন শুকিয়ে গেছে মনে নেই। দেখে মনে হয় যতটা শোকাহত মৃত্যুতে তার চেয়ে অনেক বেশি ভবিষ্যৎ চিন্তায়। পাড়া প্রতিবেশী কিছু, কিছু ক্লাবের ছেলে, উঠোনের এদিক ওদিক দাঁড়িয়ে।

 

শর্মিলা বড় অপরাধীর মত সামনে এসে দাঁড়ালো,

-   মা,

জীবনের সম্ভবত প্রথম বুকের এত ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা একটি শব্দ।

একবার তাকিয়ে মা আবার চোখ নামিয়ে নিলো,

-   কেন এলি ?

ইচ্ছে হল আগুনে পুড়ে মরতে, ইচ্ছে হল গলায় দড়ি দিতে, তবু অসহায়। শ্বশুর মশাই বলেছিলেন কেন যাইনি। মা বলল কেন এলি ? মনে হল শর্মিলার নিজের মায়ের প্রশ্ন,

-   কেন এসেছিলি ?

হঠাৎ তীব্র যন্ত্রণা শুরু হল তার, পেট থেকে নাভি পর্যন্ত, নাভি থেকে তল পেট হয়ে নিচের দিকে। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে বসে পড়ল সেখানেই, সামনে মা বসে আছে মাঝখানে আর কেউ নেই।

 

 

                     



Rate this content
Log in

More bengali story from Sukanta Debnath

Similar bengali story from Tragedy