পুনর্মিলন
পুনর্মিলন
সকাল থেকে হাসপাতালের কাজে সুনন্দা এতো ব্যস্ত ছিল যে কখন যে বেলা পড়ে গিয়ে, ধীরে ধীরে সন্ধ্যার দিকে এগোচ্ছে বুঝতেও পারেনি। হঠাৎ ক্লান্ত লাগায় একটা ব্রেক নিতে গিয়ে বাইরে এসে দেখে চারিদিকে সন্ধ্যার আঁধার নেবে গেছে। সুনন্দা ভেবে দেখলো, হাতের কাজ যা বাকী আছে তাতে ওর বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে। মা যেহেতু দুশ্চিন্তা করবে তাই ভাবলো, একটা ফোন করে এখানকার পরিস্থিতি জানিয়ে দেওয়া উচিত। " মা, আজ আমার ফিরতে একটু দেরি হবে। একটা এমার্রজেন্সি কেস এসেছে। সামলে নিয়ে ফিরব। তুমি চিন্তা কোরো না, কেমন?
" আচ্ছা ঠিক আছে। সাবধানে ফিরিস। রাত বাড়লে রাস্তাঘাট মাতালে ভরে যায়। সেটাই ভয়ের। মদ খেলে তো মানুষের ভালোমন্দের হুঁশ থাকে না। " কথাগুলো বলে নন্দিনী দেখলেন সুনন্দা আগেই ফোন ছেড়ে দিয়েছে।
নন্দিনীর এই মাতালফোবিয়া নিয়ে হাসাহাসি করে সুনন্দা । বলে, " মদ নিয়ে তোমার ভয়ঙ্কর রিজার্ভেশন বুঝতে পারি। অল্পস্বল্প মদ কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, সেটা জানো কি?"
" স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আর কিছু নেই? মাছ, মাংস, সবজি, ফল, দুধ-- এগুলো ছেড়ে মদ খেতে হবে, তবেই শরীর ভালো থাকবে বুঝি? "
সুনন্দা বোঝে যে কোনো কারণেই হোক মদ জিনিসটায় মায়ের প্রচন্ড অ্যালার্জি। ডাক্তার মেয়ে তাই আর ঘাঁটায় না মাকে।
" মা, কোন জায়গা দেখার তোমার খুব ইচ্ছে বলো। মানে, বেড়াবার জায়গার কথা বলছি। নেক্সট মাসে দিন পনেরোর ছুটি নেব ভাবছি। তোমাকে নিয়ে বেড়াতে যাব। "
" আলাদা করে তেমন কোনো জায়গার কথা বলতে পারব না, তবে পাহাড় আমার খুব ভালো লাগে তা তো তুই জানিস। "
" হুম, জানি তো। তাহলে... তাহলে চলো গ্যাংটক যাই। যদিও তোমার, আমার দুজনেরই যাওয়া জায়গা তাও, আমার দুর্দান্ত লাগে। যাবে মা? "
" আগে ছুটি নে তারপর তো যাওয়া। তুই যেখানে নিয়ে যাবি ,যাব। "
" লেহ লাদাখ খুব সুন্দর। যাবে?"
" আরে, যাব বললেই তো হবে না। পারব কি না দেখতে হবে তো! ভেবেচিন্তে জায়গা বাছিস। "
" উফ্, মা! তুমি আর একটু আর্লি বিয়ে করতে পারতে তো ! তাহলে আমি আর একটু আগে জন্মাতাম, তুমিও এত বুড়ি হতে না। আর আমরা নেচেকুঁদে ঘুরতে পারতাম। "
" অ্যাই বজ্জাত মেয়ে, চুপ কর! এসব কথা মাকে কেউ বলে! সত্যি বাবা, আজকালকার ছেলেমেয়েগুলোর লজ্জা বলতে কিচ্ছু নেই। মা যেন ইয়ার-বন্ধু! "
" তুমি আমার ইয়ার, বন্ধু, বাবা, ভগবান সবকিছু মা। তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে বলো। বাবাকে তো পেলামই না ভালো করে। ইস্, আমি ডাক্তার হবার পর যদি বাবা অসুস্থ হত তাহলে কিছুতেই বাবাকে যেতে দিতাম না...।"
রাত সোয়া বারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরল সুনন্দা । নন্দিনী গল্পের বই পড়ছিলেন। মেয়ে বাড়ি না ঢোকা ইস্তক ঘুমোন না তিনি। টেনশন বিষয়টা ওনার চরিত্রে পাকাপাকি বসত করে ফেলেছে। কবে থেকে এমনটা হল সেটা খুব ভালোই জানেন নন্দিনী ।
" জামা ছেড়ে হাত ধুয়ে আগে খেয়ে নে। "
" ইয়েস মাদার। খিদের চোটে বাড়ি গুলিয়ে ফেলছিলাম। আর একটু হলেই হালদারকাকুদের দরজা নক করতাম। কী বানিয়েছ ডিনারে? "
" তোর সবেতে ইয়ার্কি! ডিমের কারি আর থোড় ছেঁচকি আছে। মুসুর ডালও আছে। "
" ও ফার্স্টক্লাস! অনেকদিন পর ডিমের কারি করেছ। ফাটাফাটি বানাও তুমি এগ কারি! দুটো ডিম খাব আমি, কেউ রুকতে পারবে না! "
" তোর সেই সিরিয়াস পেশেন্ট কেমন আছে? "
" ভালো নয় একদমই। ঠেকাঠোকা দিয়ে রেখে এসেছি। হেড স্যারকেও বলেছি কাল একবার দেখে যেতে। লিভারের আর কিছু নেই। দেখা যাক। তুমি শুয়ে পড়ো মা। আমি সব নামিয়ে বন্ধ টন্ধ করে শুয়ে পড়ব। কাল একটু সকাল সকাল বেরতে হবে।"
" আজ এত রাত করে ফিরলি, কাল আবার তাড়াতাড়ি যেতে হবে? "
" হেড স্যার সাড়ে সাতটা নাগাদ আসবেন বলেছেন। ধরে নিলাম আটটা হবে। আমাকে থাকতে হবে মাদার। সাতটায় ডেকে দিও। "
আজ একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে ঠিক করেছে সুনন্দা । কাল রাতে ঘুমটা ঠিকমতো হয়নি। টায়ার্ড লাগছে। তিন তলায় একটা রাউন্ড দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ২০৩ নম্বর কেবিনের দরজা ঠেলে ঢুকল সুনন্দা । পেছনে ওয়ার্ড সিস্টার মালা । দেখল পেশেন্ট তাকিয়ে আছে। কাল থেকে নিয়ে আজ সকাল অবধি চোখ বন্ধই ছিল।
" গুড ইভিনিং। কেমন লাগছে এখন মি. সাহা ? পেইন কমেছে নিশ্চয়ই? "
" গুড ইভনিং ডক্টর। একটু বেটার । আমি কি ঠিক হব পুরোপুরি? "
" আপনাকে সেটাই ভাবতে হবে যে, আপনি পুরো সেরে উঠবেন। আমরা তো আটমোস্ট চেষ্টা করব যাতে আপনি সুস্থ হয়ে যান। দুপুরে ঘুমিয়েছেন? মালা দেখি ওনার ফাইলটা। "
প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে বেরিয়ে যায় নন্দনা। অরিজিৎ সাহা সিস্টার মালাকে জিগ্যেস করেন, " ডক্টরের নাম কী? "
" ডক্টর সুনন্দা সরকার । "
পরের দিন সকালে সুনন্দা ২০৩ নম্বর কেবিনে ঢুকে দেখল পেশেন্ট বসে আছে।
" গুড মর্নিং মি. সাহা । কেমন ঘুম হল রাতে?
" গুড মর্নিং ডক্টর সরকার । কাল রাতে ঘুমিয়েছি। "
" গুড। "
এরপর সিস্টারের সঙ্গে জরুরি কথা সেরে বেরবার মুখে মিস্টার সাহা বললেন, " ডক্টর, আপনাকে একটা কথা জিগ্যেস করতে চাই। পারসোনাল। ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড। "
একটু অসন্তুষ্ট হলেও ভদ্রলোকের বয়স এবং অসুস্থতার মাত্রা দেখে বেডের কাছে এসে দাঁড়ায় সুনন্দা । সিস্টার কে চোখের ইশারায় চলে যেতে বলে।
" বলুন, কী বলবেন। "
" আয়াম সরি ডক্টর। আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য। একটা কথা আপনাকে না জিগ্যেস করে পারছি না। আমার অতি পরিচিত একজনের সঙ্গে আপনার মুখের খুব মিল। তার নাম ছিল নন্দিনী মজুমদার । "
অবাক হয়ে যায় সুনন্দা । বাব্বা , মুখ দেখে মাকে আইডেন্টিফাই করছে, ভদ্রলোকের তো দারুণ মেমরি! কতটা চিনত মাকে?
" আমার মায়ের নাম নন্দিনী সরকার। "
" তুমি মাকে গিয়ে আমার নাম বোলো। মনে আছে কিনা জানি না অবশ্য। তবে, না থাকার কথা নয়। তুমি বললাম বলে কিছু মনে কোরো না। "
কথা বলতে বলতেই ভদ্রলোকের খিঁচুনি শুরু হল। সিস্টারকে ডেকে সুনন্দা চিকিৎসা শুরু করল। " এটাই নেশাড়ুদের সমস্যা। নেশার জিনিস না পেলেই উইথড্রয়াল সিম্পটম হয়। "
" মা জানো তো, আজ সকালে রাউন্ডে গেছি। মিস্টার সাহা , মানে সেই সিরিয়াস পেশেন্ট আমাকে বললেন আমার সঙ্গে তার পরিচিত একজনের মুখের খুব মিল। তার নাম নন্দিনী মজুমদার । "
চমকে ওঠেন নন্দিনী । মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। মাথাটা নীচু করে ফেলেন। টেবিলের গাঢ় খয়েরি সানমাইকার ওপর টপটপ করে জলের ফোঁটা পড়তে থাকল।
ব্যাপারটা এইখানে পৌঁছে যাবে ভাবতে পারেনি সুনন্দা । পরিচিতি তো কত রকমের হয়। কিন্তু মা কাঁদছে কেন!
" মা, মা-- কী হল মা, কাঁদছ কেন? অরিজিৎ সাহা কে? কোনোদিন এনার নাম শুনিনি তো তোমার মুখে? অথচ এত পরিচিত। "
কোনো কথা বলেন না নন্দিনী । সুনন্দা বোঝে, কোনো এক গোপন ব্যথা জড়িয়ে আছে অরিজিৎ সাহা নামটার সঙ্গে। প্রসঙ্গ আর তোলে না সে।
গতকাল রাতে ২০৩- এর পেশেন্টের কন্ডিশন খারাপ হয়েছিল জানিয়েছিল হসপিটাল থেকে। আরএমও সামলে দিয়েছেন। নাহলে রাতেই ছুটতে হত।
সকালে চা খেতে খেতে খবরের কাগজে চোখ বোলানোটা একটা অভ্যেস সুনন্দার। পুরো খবর পড়ে না কিন্তু হেডলাইনগুলোয় চোখ বোলানো চাই। মোবাইল বেজে উঠল সেই সময়।
সুনন্দা আন্দাজ করেছিল হাসপাতালের ফোনই হবে। ঠিক তাই। " হ্যালো " বলতেই ওপাশ থেকে আরএমও ড. সেন বললেন, " ম্যাডাম, ২০৩- এর পেশেন্ট ক্রিটিকাল। কাল রাতে খুব বেশি রকম কনভালশন হয়েছিল। আপনি কি একটু আর্লি আসতে পারবেন? "
" আসছি। " বলে ফোন কেটে দিয়েছিল সুনন্দা । ঝটপট কাজ সেরে বেরিয়ে পড়ল সে। ভদ্রলোককে বাঁচানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না। লিভারটা পুরো বেগুনপোড়ার মতো হয়ে গেছে।
যেদিন থেকে সুনন্দা অরিজিৎ সাহার কথা বলেছে নন্দিনীকে, মা অদ্ভুতভাবে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে। মুখটা কালো। রাতে ঠিকমতো ঘুমোচ্ছে না। কেসটা কী বুঝতে পারছি না ঠিক। ড্রাইভ করতে করতে এইসব কথা ভাবছিল সুনন্দা ।
কেবিনে ঢুকে সুনন্দা দেখল সিস্টার স্যালাইন চেঞ্জ করছে। পেশেন্টের চোখ বোঁজা। সিস্টার বলল, " ব্লাড প্রেশার অসম্ভব উপর নীচে করছে ম্যাম। অক্সিজেন স্যাচুরেশন এইটি ফোরে নেমে গেছিল। কাল আরএমও স্যার এই ওষুধ দুটো চালু করেছেন। "
যা যা নির্দেশ দেবার দিয়ে সুনন্দা রাউন্ডে গেল। বলে গেল, " আমি ঘন্টাখানেক বাদে আর একবার আসব। "
ঘন্টা দেড়েক বাদে যখন ২০৩ - এ ঢুকল সুনন্দা,তখন অরিজিৎ সাহা তাকিয়ে আছেন। সুনন্দাকে দেখে মুখে লাগানো অক্সিজেন মাস্কটা হাত দিয়ে নামাবার চেষ্টা করলেন।
" আরে আরে হাত দেবেন না মাস্কে। " কাছে গিয়ে দাঁড়ালো সুনন্দা । " অসুবিধে হচ্ছে? "
" আমার কিছু বলার আছে তোমাকে। " পেশেন্ট তুমি করে বলছে বলে অস্বস্তি হচ্ছে সুনন্দার। বলল, " বলুন না, মাস্ক কিন্তু খোলা যাবে না। আমি ঠিক শুনতে পাব। "
" নন্দিনীর সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। " থেমে থেমে বললেন অরিজিৎ সাহা। চোখ বড় হয়ে গেল নন্দনার। কী বলছেন ভদ্রলোক! " মাস ছ-সাত আমরা বাড়ির মত নিয়ে ঘোরাফেরাও করেছিলাম।
" কলেজে পড়ার সময় থেকেই বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে অ্যালকোহল খেতে শুরু করেছিলাম। চাকরি পেয়ে সেই নেশা বাড়ে। নিজের টাকা, কেউ কিছু বলার নেই।
" বাড়িতে কম অশান্তি হয়নি এই নিয়ে। তারপর সবাই মিলে ঠিক করল আমার বিয়ে দেবে। ওদের ধারণা ছিল, বিয়ে দিলে হয়তো আমি ঠিক হয়ে যাব। মা, দিদিরা খোঁজাখুজি শুরু করল। নন্দিনীকে পছন্দ হল। আমারও পছন্দ হল।"
থেমে গেলেন ভদ্রলোক। খুব ক্লান্ত। চোখ বন্ধ করলেন। অবাক হয়ে শুনছিল সুনন্দা । এই জন্যেই মা নাম শুনে কেঁদেছে। কিন্তু বিয়েটা হয়নি কেন?
" মি. সাহা । " সুনন্দা হালকা করে ডাকল। চোখ খুললেন ভদ্রলোক। " আমি নন্দিনীকে প্রস্তাব দিই আলাদা দেখা করার। নিজের পছন্দ অপছন্দ বুঝে নিলে সুবিধে হবে দুজনেরই। নন্দিনী রাজি হল।
" যেদিন দেখা করতে যাব, উৎসাহের আতিশয্যে আমি দুপেগ খেয়ে নিলাম। তারপর গেলাম দেখা করতে। সেদিন নন্দিনী কিছু বুঝেছিল কিনা জানি না। তারপর আমরা আরও পাঁচ ছ'বার দেখা করি।
" নন্দিনীকে যতবার দেখতাম, নতুন করে ভালো লাগত। এরপর একদিন দেখা করার কথা। সেদিন সকালে নন্দিনীর একটা দুলাইনের চিঠি পেলাম। ' এ বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। '
" আমি হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। একটু তো ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। তার পরেও হঠাৎ কী হল! আমি সোজা চলে গেলাম নন্দিনীদের বাড়ি। সরাসরি জিগ্যেস করলাম ওকে, ' কেন আমাকে বিয়ে করতে পারবে না জানতে পারি? পাত্র হিসেবে কোথায় খামতি আমার?'
" নন্দিনী খানিক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, ' মদ আমার ভালো লাগে না। প্রতিদিনই আপনি ড্রিঙ্ক করে এসেছেন। আমি বুঝতে পেরেছি। এ আমি মানাতে পারব না। আমাকে বিয়ে করে আপনি সুখী হবেন না।' আমি সেই মুহূর্তে বলতে পারিনি যে, আমি মদ খাওয়া ছেড়ে দেব, তুমি তোমার কথা ফেরত নিয়ে নাও। বিয়েটা হল না।
" নন্দিনীর বিয়ের খবর পেয়েছিলাম বেশ কিছুদিন পর। আমি আরও আরও ডুবে গেলাম তরলে। বিয়ে করে উঠতে পারলাম না কারণ নন্দিনীকে ভুলতে পারছিলাম না।
" সেদিন তোমাকে দেখে মনে হল, নন্দিনী এসে দাঁড়িয়েছে আমার সামনে। আমি চমকে গেছিলাম। যাইহোক, অনেক সময় নষ্ট করলাম তোমার । কিছু মনে কোরো না। "
" আমি বিকেলে এসে দেখে যাব একবার। " কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল সুনন্দা ।
সাড়ে পাঁচটার সময় ২০৩ - এ ঢুকল সুনন্দা । দেখল বেডের মাথার দিকটা ওঠানো। তাকিয়ে আছেন মি. সাহা । " কেমন আছেন? পেইনটা কমেছে? আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। "
" একটু কম আছে ব্যথা। কোমরটা ব্যথা করছে। সারপ্রাইজ? এখন আর কী সারপ্রাইজ থাকবে আমার জন্য। জাস্ট কাউন্টিং দ্য ডেজ..."
কেবিনের দরজা খুলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা নন্দিনীকে ঢুকিয়ে নেয় নন্দনা। " দেখুন, কাকে নিয়ে এসেছি। "
বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকেন অরিজিৎ সাহা। অস্ফুটে উচ্চারণ করেন " নন্দিনী! "
নন্দিনীর দুচোখ ভরা জল। অরিজিতের কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, " সেরে উঠুন তাড়াতাড়ি। তারপর আসবেন আমাদের বাড়ি। "
" আমি ভালো হব তো ডক্টর। এই নেমন্তন্নটা আমাকে রাখতেই হবে। "
দুজনের প্রতিক্রিয়া দেখে সুনন্দার মনে হল -
প্রথম প্রেমের পরশ জাগে, লজ্জারা নামে অধোরোষ্ঠ চুঁয়ে। গল্পটা শুরু হোক, প্রথম পলকের সদর্পে। মনে পড়ে কী তোমার সেই প্রথম দিন!

