ফিরে পাওয়া
ফিরে পাওয়া
চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমার আড়ালে ঘন কালো কাজলে মোড়া বড় চোখদুটো সামনের দেবদারু গাছটার দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্কভাবে কি যেন একটা খুঁজছিল, হাতের পেপার ওয়েটটা ঘোরাতে ঘোরাতে। জুতোর শব্দ পেতেই শান্ত হলো হাতটা, থামল চোখের চাঞ্চল্য , “ম্যাম, অনুষ্ঠান শুরু হবে এবার।”
“তোমরা যাও, আমি আসছি”, বলে মুখটা ফেরালেন শালিনী ম্যাম, ওরফে শালিনী দাস । দার্জিলিং-এর আর.কে.মিশন স্কুলের শিক্ষিকা।
*************
শালিনী এখানে নিজের শিক্ষক জীবন শুরু করেছে বছর পাঁচ-ছয় হলো, এখানকার অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, পাহাড়ের কোলের রুপোলী আভা, সোনালী সূর্য , কুয়াশা, চা বাগানের সবুজ সতেজতা, আঁকাবাঁকা রাস্তা এই সবকিছুর সাথেই মানিয়ে গুছিয়ে বেশ ভালোই আছে ও। চারপাশে চা বাগানে কত মহিলা কর্মীও কাজ করে দিন গুজরান করছেন, পাহাড়ের কোলে কাঠের বাড়িগুলো সবুজ ঘন ছায়ার কোলে, হেসে খেলে বেড়ানো পাহাড়ি ছোট-ছোট বাচ্চাগুলো, এসব-এর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘড়ির কাঁটা কখন ঘুরে গেছে, খেয়ালই করেনি শালিনী, নিজের কেবিনের সাথেই লাগোয়া একটা ছোট্ট কাঠের বারান্দা, ওটা ওর খুব প্রিয় জায়গা, সেখানে দাঁড়িয়েই ওর বেশ খানিকটা সময় কেটে যায়। আর সময় নষ্ট না করে ও এগোল হল ঘরের দিকে।
***************
-“তোকে তো আগেই বলেছিলাম, ছেলেটা তোকে ডিজার্ভই করে না, তাও তো তুই জিদ করে এতদূর এগুলি, কেউ জেনে বুঝে এত বড় ভুল করে?”
ঘরে তখন মানুষজনের কথায়, তাদের উপস্থিতিতে বড্ড দম-বন্ধ লাগছিল সানির। শালিনীর ডাকনাম শালু । মা, বাবা, দিদি, বন্ধু, কারও আর আসতে বাকী নেই, সবার মুখে কথাটা সেই একটাই। সবাই জানত, রজত ঠিক নাকি একদিন শালুকে ছেড়ে দেবে? অথচ শালুই বোঝেনি, ও এই ছয় বছর ধরে ঘুনাক্ষরেও রজতের এই গোপন অথবা উন্মুক্ত, যাই হোক, ষড়যন্ত্রের কথা বুঝতে পারেনি। রজতের হাতের স্পর্শ, চোখের চাহনি, বলা না বলা শব্দগুলো একবারের জন্যও ইঙ্গিত করেনি, যে রজত এই ছয় বছরের ‘ভালবাসা’ টাকে এভাবে ছেঁটে ফেলতে পারে।
রজতের বাড়ির শালুকে নিয়ে সমস্যা ছিল, সে তো প্রথম থেকেই ছিল, কিন্তু সেই সমস্যা যখন শালু আর বাড়ি বা সম্পত্তির মধ্যে একটা রাস্তা খোলা রাখে, তখন ‘বুদ্ধিমান’ মানুষেরা যা করে। রজতও তাই করেছে। ভালবাসলেই কি শুধু পেট চলবে? যেখানে বাড়ির এত বড় ব্যবসার অংশীদারীর প্রশ্ন, কে-ই বা বোকামী করে? শালুকে ভুলতে খুব বেশী সময় নেয়নি ও, বাড়ির পছন্দের পাত্রীকে বিয়েতেও আপত্তি নেই, এটাই আপাতত পাওয়া শেষ খবর।
সারা পৃথিবীর মানুষগুলো একদিকে, আর শালু যেন একদিকে, সবাই যেন আঙ্গুল তুলে ওর দিকেই গুলিটা ছুঁড়ছে, একটা মানুষকে এত কাছ থেকে দেখার পরও এত ভুল করল ও? এত মানুষ চিনতে ভুল হয় ওর?
নিজেকে একটা অন্ধকার ঘরে বন্দী করে কী সুখ পাচ্ছিল জানা নেই, তবে যন্ত্রনা কমছিল না, বরং বাড়ছিলই।
বাড়ির মানুষজনের বিরুদ্ধে গিয়ে, রজতের হাত ধরেছিল ও, অনেক কষ্ট করে নিজের মা, বাবা, দিদিকে রাজী করিয়েছিল ও, আজ ওর মান সম্মান সব এভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দিল রজত …
******************
“আপনাকে আমাদের মধ্যে পেয়ে আমরা সত্যিই অভিভূত। স্যার, আপনি এতো মূল্যবান সময়ের মধ্যে থেকেও সময় বের করে আমাদের মধ্যে এসেছেন, তার জন্য আপনাকে আরো একবার ধন্যবাদ জানাই।।।।”
ফুল দিয়ে সাজানো অডিটোরিয়ামটায় থিকথিক করছে স্টুডেন্টদের ভিড়। আলো আঁধারি অডিটোরিয়ামে দরজা ঠেলে ঢুকল শালিনী, মঞ্চেও ততক্ষণে সমস্ত আলো একজনের উপর, সমস্ত লাইমলাইটের কেন্দ্রবিন্দুতে একজনই, ডঃ অমর গুহ , একজন বিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ ভালো একজন বক্তা, যার বাগ্মিতায় মুগ্ধ আপামর মানুষ। বিশেষত কৈশোর আর যৌবনের অধিকারী ভক্তকূলই বেশী। আর আজ এই জন্যেই এখন তিনি এখানে।কারণ একটাই, কিছু কথা স্টুডেন্টদের সাথে শেয়ার করা যা তাদের মনে প্রভাব বিস্তারের সাথে সাথে তাদের পরবর্তী জীবনেও যথেষ্ট শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।
শালিনী নিজের সংরক্ষিত আসনে বসল গিয়ে। সেই চোখ, সেই একই ভাবে মুগ্ধ হয়ে যাওয়া, সেই কথা বলার ধরণ, চোখের ধার, সবই সেই এক।
মানুষটার উপর লাইমলাইটের আলো, তাই আলো আঁধারিতে বসে থাকা শালিনীকে দেখতে পায়নি বোধ হয়, শালিনী আগের মতোই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়েছিল। আচ্ছা, ঝুলপির কাছে রূপালী আভা না? সে তো শালিনীরও, সময় যে কারও জন্য থেমে থাকে না। ফ্রেমটাও বদলেছে, শালিনী নিজের ফ্রেমটাও ঠিক করে নিল একবার। চশমার কাঁচে যেন বেশ ক’বছর আগের অমরের ছায়া, আরও একবার।
*****************
“মা, তোমরা যা করবে করো, আমার আর কোন আপত্তি নেই।”
কথাগুলো বলে আবার নিজের ঘরে চলে গেল শালিনী। ওর ঘরটা তিনতলায়। সামনে একটা ছোট ব্যালকনি। ওর ঘরটা তিনদিক খোলা, প্রচুর আলো বাতাস ঢোকে, ও আর ওর সাধের প্রিয় গাছগুলো প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারে। ব্যালকনিতে, ঘরের আনাচে কানাচে কচি কচি সবুজ চারাগুলো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, এরাই ওর অবসরের সঙ্গী, মানি প্ল্যান্টের পাতাগুলো তিরতির করে কাঁপছিল, শ্রাবনের দমকা হাওয়ায়। নিজের চেয়ারটায় চুপ করে বসেছিল শালু। রজতের সাথে সম্পর্কের শেষ হয়ে গেছে প্রায় মাস ছয়েক, গত সপ্তাহে রজতের বিয়ের খবরটাও শালিনীর কানে পৌঁছেছে, আজ তাই নিজেই সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিল, মা বাবার পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করতে ওর আর কোন আপত্তি নেই, জানিয়ে দিয়েছে ও। গভীর একটা শ্বাস নিল শালিনী, ওর ও ভাল থাকার অধিকার আছে, নিজের জীবন আর কী দেখতে পারে, ও-ও দেখতে চায় এবার।
**************
একটা মৃত মানুষকে আরও একবার থেঁতলে দিলে যে অবস্থাটা হয়, সেই অবস্থাটা এখন শালুর। মা বাবার পছন্দ করা পাত্রই হোক, বা নিজের, ওর কপালে সুখ নামক বস্তুটি যে নেই, তা এবার ওর বোধগম্য হয়েছে, খবরটা বাড়িতে আছড়ে পড়ার পর।
গল্ফ গ্রীনের বাসিন্দা প্রফেসর রমানাথ পাল -এর একমাত্র পুত্রের সাথে সম্বন্ধ হয়েছিল সানির। স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, যে ভাবেই হোক, বিকাশের সাথে দেখা করেছিল ও, মন্দ লাগেনি বিকাশকে। সব খুলে বলেওছিল, সব শুনেও বিকাশ ওর পাশে, এটা উপলব্ধি করার পর থেকে বিকাশের প্রতি একটু একটু করে দুর্বলও হয়ে পড়েছিল হয়তো। স্বপ্নের বোনা এক একটা নকশা আর সেজে না উঠতে পারুক, খোলা আকাশে ওদের মনের রঙিন ঘুড়িটা উড়তে শুরু করছিলই যখন তখনই এভাবে সুতো কেটে মাটিতে ছিটকে পড়বে স্বপ্নেও ভাবেনি শালু ।
কুষ্ঠী মেলানো, দেনাপাওনা, পণ এসব নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছিলই কিন্তু, এসবের মাঝেও বিকাশকে ওর সেনসিবল, বুদ্ধিমান মনে হয়েছিল, কিন্তু।।।।। বিকাশ নিজের বাড়ির বিরুদ্ধে যাবে না, আর তাই।।।।।
কেন? বারবার ওর সাথেই কেন এগুলো হচ্ছে? পুরোটাই কী ওর ভাগ্যের দোষ?- এরকমই প্রচন্ড মানসিক প্রেসার , আর টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই প্রায় ভঙ্গুর শালিনী বাবার সাথে এসে দাঁড়িয়েছিল ‘আলো’র সামনে। ‘আলো’ সেই মানুষগুলোর জন্য আলোর ঠিকানা, যারা অন্ধকারে পথ হারিয়ে বিভ্রান্ত, বিধ্বস্ত।
বাবার হাত ধরে পৌঁছেছিল ডাক্তারের ঘরে। নিজেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে নিঃস্ব শালু একটু শান্তি খুঁজছিল শুধু, আর হ্যাঁ সত্যিই সেই শান্তির ঠিকানা ওকে দিয়েছিল এই মানুষটা, ডঃ অমর গুহ। সপ্তাহে তিনটে দিন এখানে এসে বড় আনন্দে কাটত শালুর, ঘরের মধ্যে বন্দী কোনো চেম্বার নয়, নেই কোন প্রেসক্রিপশন স্টেথোস্কোপ-এর সরঞ্জাম, মন খুলে শ্বাস নেওয়ার জায়গা ছিল আলো। অমরের সাথে কথোপকথন বড় মুগ্ধ হয়ে উপভোগ শালু, এও তো একজন পুরুষ, তাও সবার থেকে কত আলাদা। এতটা ভাবার পরই আতঙ্কে কেঁপেছিল শালুর মনটা, সত্যিই তো, এও তো শেষ অবধি একজন পুরুষই। আর পুরুষের কদর্য রূপটা এই মুহূর্তে শালুর থেকে ভাল আর কেই বা জানে। নিজেকে আটকে দিয়েছিল শালু। সম্পর্কটা শুধুমাত্র একজন ডাক্তার আর পেশেন্টের মধ্যে যেমন, তেমনটা হওয়াই উচিত। এটাই শালু নিজেকে বলেছিল সেদিন, যেদিন অমর প্রথম নিজের মনের কথা ভারী যত্নে শালুকে বুঝিয়েছিল।
-“আচ্ছা, শালু , তুমি আজ যে কারণে এখানে, তুমি বলতো ভালবাসা আসলে কী?”
চারপাশে পায়রার বকবকম-এর মধ্যে গল্পটা শালুর মাস দুয়েকের অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল, এখন, ছাদে ওরা ওর সাথে না থাকলে খুব ফাঁকা লাগে, টুকটুক করে গম খেতে খেতে পায়রাগুলোও শুনছিল শালু আর অমরের কথাগুলো।
শালু কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলেছিল, “একটা মানুষের সাথে ছয় বছরের রিলেশনশিপের পর।”
-“এক মিনিট শালু। কী বললে? রিলেশনশিপ? রিলেশনশিপে থাকা আর কাউকে ভালবাসা এক জিনিস?” শালুকে থামিয়ে এই কথাগুলো বলে শালুর চোখের দিকে তাকাল অমর। সেই চোখের দৃষ্টি আর পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা ছিল, আলাদা ছিল অমরের কথা বলাটাও যেন।
দৃষ্টিটা যেন কত উন্মুক্ত, কোনো রাখঢাক নেই, খোলা বই পরে আছে যেন শালুর সামনে, কিন্তু সেই বই পরে বোঝা সবার কম্ম নয়, যে এই বই পড়ে বুঝবে, এই বই-এর মালিক সেই।
শালু বলল, “মানে?”
-“বছরের পর বছর কারো সাথে রিলেশনশিপে আছ অথচ তাকে হয়তো ভালোই বাস না, আর যাকে সত্যিই ভালবাস, তাকে হয়তো বলাই হয়নি, তার সাথে so called Relationship-এ হয়তো কখনো ছিলেই না, এরকমটা কী হতে পারে না?”
অবনত চোখে দাঁড়িয়ে ছিল সেদিন শালু, ওর এতদিনকার সমস্ত ধ্যানধারণা, চিন্তা সব কেমন একলহমায় ওলটপালট করে দিচ্ছিল সামনের মানুষটা।
-“তোমার আর তোমার ভালবাসার মধ্যে কোন পর্দা, কোন ব্যবধান কোন বিচ্ছিন্নতা তো থাকতেই পারে না, যেখানে এই ‘দুই’ সংখ্যাটা আছে, সেখানে ভালবাসা থাকতে পারে না, চেষ্টা করে কখনো এক থাকা যায় কী? যারা বলে ভুল বলে। ভালবেসে সাথে থাকতে কখনো আলাদা করে চেষ্টা করতে হয় না, মনটাই চায় তার সাথে থাকতে, আর হ্যাঁ সেই ভালবাসাটাকে চিরকাল সজীব রাখার জন্য দুই পক্ষের চেষ্টা লাগে। সেখানে তখন নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে taken for granted করে নেওয়া খুব ভুল, একটা চারার যেমন যত্নের প্রয়োজন, সেটা বড় হলেও তারও তো যত্নের প্রয়োজন আছে, ভালবাসার প্রয়োজন আছে।” এটুকু বলে শালুর হাত দুটো প্রথমবার-এর জন্য ধরল অমর, সেই স্পর্শে কোন অন্যরকম অনুভূতি, কোন কামনা-আসক্তির উদ্রেক ছিল না, ছিল একটুকরো ভরসার ছোঁয়া, যাকে ভরসা করা একবার যায় বোধ হয়। কিন্তু শালু? ওর মনটা, যেটা এতদিন ধরে শান্ত হয়েছিল, আজ আবার চঞ্চল, আবার যদি। এবার তো আর তাহলে বাঁচতে পারবে না ও। না না, আর কোন পুরুষকে ভরসা করতে পারবে না ও। হাত দুটো ছাড়িয়ে নিয়েছিল শালু।
-” তোমায় কোন উত্তর দিতে হবে না, আমি যা বোঝার বুঝে গেছি, আমার চোখের দিকে চোখ রেখে তুমি ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতে পারবে না জানি, আমি পারি। আমার কাছে এটাই প্রেম, যেখানে চারপাশের পৃথিবী কী বলছে কী করছে কী হচ্ছে এসব-এর হুঁশই থাকে না সামনের মানুষটাকে ভালবাসতে গিয়ে। এটাই ভালবাসা, কোন so called relation নয়। ভালবাসাও তো একরকম পাগলামো-ই, হুঁশ নিয়ে কী প্রেম হয়?”
হলভর্তি হাততালির শব্দে একঝটকায় বর্তমানে এসে পড়ল সানি, শালিনী দাস। স্টেজে তখনও নিজগুনে, নিজের সেই হাসি দিয়ে সবার মন জয় করে ফেলেছেন অমর। হল-এর আলো জ্বলতে সামনের আসনে বসা শালুকে দেখতে পেল বোধহয় অমর। আজ কতগুলো বছর পর, একইরকম দুজন। স্টেজ থেকে নেমে শালুর সামনেটাতেই বসেছিল অমর, চোখ শালুর দিকেই। সেই দৃষ্টি, মুগ্ধ হয়ে দেখত যাকে শালু , শুনত যার প্রতিটি কথা, যার জন্য আজ ও সুস্থ জীবন যাপন করছে। যার প্রতিটা শব্দই এক অন্য জগতে নিয়ে যায় মানুষকে। অমর কী এখনও শালুকে ? অমরকে ঘিরে অটোগ্রাফের জন্য স্টুডেন্টদের ভিড়, হাসি মুখে সই বিলোতে বিলোতে হঠাৎই, “অটোগ্রাফ প্লিজ” – সেই রিনরিনে চেনা মিষ্টি গলাটা না? মুখে লেগে মিষ্টি হাসি, সেই স্বচ্ছ চোখ, এখন অনেক পরিণত, শালুর হাত থেকে পেন নিতে গিয়ে ছোঁয়া লাগল বুঝি।হাতে হাত? মনে হল - "রাতের সব তারাই আছে, দিনের আলোর গভীরে।"
তারপর? তারপরটা ইতিহাস এক সাথে পথ চলার।

