horror storytale

Crime Thriller

3  

horror storytale

Crime Thriller

নেটওয়ার্ক ডট কম

নেটওয়ার্ক ডট কম

8 mins
342


আমার নাম শিবনাথ রায়। ভালোবেসে সবাই শিবু বলে ডাকে।ছোট বেলা থেকেই কম্পিউটার এর প্রতি আমার এক আলাদাই ন্যাক ছিলো, তবে ন্যাক মানে ওই পাতি ছবি বানানো থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এসবেই থেমে থাকে নি। আমার ন্যাক বলতে কম্পিউটার এর ইন্টারনেটের গভীরতা,অর্থাৎ কম্পিউটার ইন্টারনেট আমার কাছে এক আলাদাই জগৎ। এমন কোনো কাজ ছিলো না জা আমি করতে পারতাম না।বয়স তখন আমার ১২ বছর হবে,আমি ইন্টারনেট এর সাহায্যে একটা অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করেছিলাম, যেটার কাজ ছিলো,

        এই অ্যাপ্লিকেশন যার ফোনে থাকবে ,কোনো কারণে যদি রাস্তায় দুর্ঘটনা হয়, তাহলে ঐ অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে কাছাকাছি কোনো হাসপাতালে অথবা কাছাকাছি কোনো অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ঐ অ্যাপ্লিকেশনের পুনরায় উত্তর দেওয়ার মেশিনে একটা এমার্জেন্সি এলার্ম বেজে উঠবে,যার ফলে কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা দুর্ঘটনা স্থানে পৌঁছে যাবে,এটা তৈরির জন্য আমি পুরস্কারও পাই।

     যাই হোক আসল কথায় আসি ,আমার বয়স এখন ২২বছর , কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ছি। আমি ভেবেছিলাম এই ইন্টারনেট আমার কাছে এক জগৎ, কিন্তু কিছু দিন পর বুঝতে পারি এই জগৎ বাইরে থেকে দেখতে ভালো হলেও ভেতরের জগৎ টা খুবই ভয়ানক,যা আমার জীবন টাকে তোলপাড় করে দিয়েছিল।

  সময় টা ছিলো শীতকাল। বাড়িতে একাই ছিলাম,কারণ মা বাবা আর বন মাসির বাড়ি ঘুরতে গেছিলো দিল্লিতে ।রাতে কম্পিউটার এর সামনে বসে ইন্টারনেট ঘাঁটছিলাম। হটাৎ একটা মেল আসে। খুলে দেখি একটা সাইটের লিঙ্ক দেওয়া আর নিচে লেখা "IF YOU WANT TO EARN UNLIMITED MONEY, CLICK ON THIS LINK RIGHT NOW" । আমি ভাবলাম এরকম কত মিথ্যে মেল আসে তাই গুরুত্ব দিলাম না।৫ মিনিট পর আর একটা মেল আসে....

        "YOU HAVE LIMITED TIME SHIBNATH,GIVE US YOUR ANSWER.THE TIME WILL NEVER WAIT FOR SOMEONE"

      

           SHIBNATH? আমার নাম জানলো কি করে!

আমি মেল এর জবাবে লিখলাম,-" WHO ARE YOU ?HOW DO YOU KNOW MY NAME?"

reply- WE KNOW EVERYTHING ABOUT YOU AND NOW AS YOU REPLY ,WE TOOK YOUR REPLY AS 'YES',SO YOU ARE A PARTICIPANT NOW, LET'S START THE GAME.

           আরে আমি তো কিছু বললামই না একি!তারপর হটাৎ কম্পিউটার স্ক্রিনে একটা পেজ নিজে থেকেই খুলে গেলো ।সেখানে একটা প্রশ্ন আছে....

> 1. ANSWER THE QUESTION FOR Rs.5000 INR

       Q.Your national bird is....

a) eagle

b) hen

c)peacock

d) crow

   

        আমি ভাবলাম এতো পাতি প্রশ্ন, উত্তর টা দিয়েই দি দেখি না কি হয় এই বলে উত্তর দিলাম,

      c) peacock

উত্তর দেওয়ার কিছুক্ষন পরেই আমার ফোনে একটা ম্যাসেজ এলো,দেখলাম লেখা আছে Rs.5000 is credited to your bank A/C.

এটা দেখে মনটা যেন খুশিতে ভোরে গেলো, ভাবলাম আড়ি বাঃবাঃ ৫০০০ টাকা! দেখি নেক্সট কি আছে!

> 2. ANSWER THE QUESTION FOR Rs.10000

   Q.what is the capital of west bengal?

a) gangtok

b) mumbai

c) ranchi

d) none of this

 

My reply - d) none of this

 সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে ম্যাসেজ এলো যে ব্যাঙ্কে ১০০০০ টাকা চলে এসেছে। উফ! আমার যে কি খুশি হচ্ছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। তারপর একটা মেল এলো ,তাতে লেখা আছে...

  "IT'S ALL FOR TODAY. SEE YOU TOMORROW ,BUT BEFORE THAT TELL US HAVE YOU EVER HEARD ABOUT RED ROOM?"

                        RED ROOM? সেটা আবার কি ,যাই হোক আমি উত্তরে 'না' বলে কম্পিউটার বন্ধ করে শুতে চলে গেলাম।পরের দিন শুধু ই ভেবেই সময় কেটে গেলো কখন রাত ১২ টা বাজবে!

  আমি যথারীতি রাত ১২ টায় কম্পিউটার চালু করে অপেক্ষা করতে থাকলাম।হটাৎ একটা লিঙ্ক এলো মেল এ,আর তাতে লেখা আছে....

"WELCOME AGAIN SHIBU!

TELL US ,IN YOUR FAMILY WHO LOVED YOU MOST?"

my reply - MY SISTER

  আবার একটা লিঙ্ক এলো আর ওই মেলে লেখা আছে...

"RED ROOM WILL BE START IN 60 SEC. CLICK ON THE LINK."

আমি যথারীতি লিঙ্ক টা খুললাম। আর তখনি কম্পিউটার এর সামনে টা পুরো কালো হয়ে গেলো পাশে একটা ছোট্ট বক্স।দেখে বুঝলাম ওটা চ্যাট বক্স, কতজন কিসব ভাষায় কি যে লিখছে কিছুই বুঝলাম না।

তারপর হটাৎ কালো স্ক্রিন টা সরে গিয়ে স্ক্রিন এর ওপারে ক্যামেরা অন হলো তারপর যা দেখলাম, সেটা দেখে আমি ভয়ে চেয়ার থেকে পরে গেলাম।

একটা ঘর,সারা ঘরে লাল আলোয় ভর্তি। ক্যামেরার ওপারে একটা চেয়ার,আর চেয়ারে বসে আছে একটা মেয়ে মেয়েটার হাত পা বাঁধা।সেই মেয়ে টা আর কেউ নয় আমার বোন রিয়া।

     আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না ভয়ে গা হাতপা ঠান্ডা হয়ে আসছিলো মা বাবাকে ফোন করছিলাম কিন্তু ফোন বন্ধ হাজার চেষ্টার পরেও ফোন পেলাম না। হটাৎ একটা কালো মুখোশ পড়া কেউ ক্যামেরার সামনে এসে বললো...

Unknown person - tell me everyone ,which body part should I cut first?

 আমি- কী! এসব কি বলছে কাটবে মানে।

আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না ,শুধু কম্পিউটার এর সামনে বসে ভয়ে কাঁদছিলাম।

হটাৎ চ্যাট বক্স এর দিকে চোখ যেতেই দেখলাম অনেক অনেক কিছু লিখছে। কেউ বলছে 'cut her fingers first' কেউ বলছে'take out her eyes first' কেউ আবার লিখছে 'take out her cloths first'

 এটা কি! কোথায় এসে পড়লাম আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না।ঠিক তখনি ওই মুখোশ পড়া মানুষ টা একটা বড়ো ছুড়ির মতো কিছু নিয়ে হাতের ওপর জোরে কোপ মারলো আমার বোনের হাত কেটে গেলো আর রক্ত ঝরছে আর চেল্লাচ্ছে।এই দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারলাম না পরে গেলাম মাটিতে।কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরে উঠে বসে দেখলাম ক্যামেরার ওপারে আমার বন অচেতন অবস্থায় পরে আর তার পাশে একটা স্ক্রিনে আমি নিজেকেই দেখতে পাচ্ছি।

   বুঝতে পারছি না এটা কি হচ্ছে আমার সাথে, বোনের ওই অবস্থা দেখে আমি ভয়ে কাঁদতে থাকলাম আর ভাবলাম ইন্টারনেটের কোন ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হলাম আমি।এমন সময় আমার ফোনের বেল টা বেজে উঠলো।ফোন টা ধরতেই ফোনের ওপার থেকে কেউ বললো....

IF YOU WANT TO SEE YOUR SISTER ALIVE,THEN YOU HAVE TO KILL SOMEONE ,WE WILL WATCHING EVERY STEP OF YOU TAKE . YOU HAVE ONLY ONE HOUR LEFT.IF YOU CAN'T COMPLETE THIS TASK THEN YOU MUST HAVE TO FACE SOMETHING DENGER AND IF YOU CALL THE POLICE YOUR SWEET DAD & MOTHER WILL BE DEAD.

    

        এসব শুনে ভয়ে আমার হাতপা ঠান্ডা হয়ে গেলো,মনে মনে ভাবলাম কি বকছে এসব! মারতে হবে মানে খুন করতে হবে। আমি কাউকে মারতে পারবো না। পুলিশের কাছেও যেতে পারবো না।

    চিন্তায় চিন্তায় কখন যে একঘন্টা হয়ে গেছে খেয়াল করিনি। হটাৎ একটা ফোন এলো,

"YOUR TIME'S UP. YOU CANT COMPLETE THE TASK, SO NOW BE READY TO FACE THE DANGER"

এই বলে ফোন টা কেটে গেলো, আর ঠিক তখনি বাড়ির বেল বাজলো। দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলেই দেখ্লাম নিচে একটা শুটকেস কিন্তু আসে পাশে কাউকে দেখতে পেলাম না।

উফফ! কি ভারি এটা। অতি কষ্টে শুটকেসটা ভেতরে নিয়ে এলাম ,আর খুলতেই.... কত বড়ো বিপদে আমি পড়তে চলেছি সেটা বুঝে গেলাম।শুটকেসের মধ্যে এক মহিলার রক্ত মাখা শরীর,মুখটা বাজে ভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ চিনতে না পারে।এই বীভৎস মৃতদেহ দেখে আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরতে লাগলো।

   ঠিক তখনি বাড়ির দরজায় দরাম দরাম আওয়াজ,আর বলছে....

        বাড়িতে কেউ আছেন ,দরজা খুলুন আমরা পুলিশ।

দরজা খুলুন,নাহলে কিন্তু দরজা ভেঙে ঢুকবো।

আবার ফোন বাজলো,ফোন টা ধরতেই,,

 "RUN, RUN SHIBNATH RUN! YOU HAVE ONLY 30 SEC.LEAVE THIS HOUSE.THERE HAVE A BLACK CAR BESIDE THE SWEET SHOP GO AND GET IN."

  আমি কিছু না ভেবে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পাঁচিল টপকে পালিয়ে গেলাম কিছুদূর দৌড়ানোর পরে দেখলাম মিষ্টির দোকানের পাশে একটা কালো গাড়ি। আমি দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়লাম। গাড়ি চলতে শুরু করলো।

               গাড়িতে বসে আমি ভাবছিলাম, আমার জীবনে তিনটে ঘটনা ঘটে গেলো। এক: আমার বোন কেমন আছে কোথায় আছে! , দুই: মা বাবা কোথায়? তিন: আমার ঘরে পরে থাকা মহিলার লাশ,যা আমার জীবনটাকে অভিশপ্ত করে তুলেছিলো।অনুমান করতে পারছিলাম যে কি ঘটতে চলেছে। এই সব ভাবতে ভাবতে কেনো জানি না আমার ঘুম পেয়ে গেলো,আর কিছুক্ষনের মধ্যে আমি ঘুমিয়েও পড়লাম,তারপর আর কিছু মনে নেই।

ঘুম যখন ভাঙলো দেখলাম আমি একটা ঘরে বসে, সেই ঘরে যেখানে আমার বোনকে রেখেছিলো। আমি তাড়াহুড়ো করে উঠে বোনকে খুজলাম কিন্তু পেলাম না। পাশের টেবিলে একটা ল্যাপটপ ছিলো অন করা। কাছে গিয়ে দেখি তখনো লাইভ চলছে।হটাৎ ল্যাপটপের স্ক্রিনে একটা লেখা এলো....

  TASK 2: "THERE IS A LOADED GUN IN THE DESK ,TAKE IT.GO TO THE SECOND FLOOR LEFT ROOM AND KILL THAT MEN .DON'T TRYING TO BE SMART OTHERWISE THIS TIME I CAN'T HELP YOU.

         BECAUSE IF YOU CAN'T COMPLETE THIS TASK YOUR MOTHER WILL BE DEAD BY FALLING FROM 5TH FLOOR OF AVNI SHOPING MALL."

আমি কিছু উপায় না পেয়ে বন্দুক টা নিয়ে গেলাম ওপরের ওই ঘরে। গিয়ে দেখি একটা লোক বসে আছে হাত পা বাধা মুখ ঢাকা।আমাকে দেখে ভাঙা গলায় সে বললো 'please help me! আমাকে বাঁচান।আমি মরতে চাই না। আমি গলা শুনে বুঝলাম তার ওপর খুব অত্যাচার হয়েছে।ঠিক তখনি আমার ফোনে একটা ফোন আসে, আমি ধরায় সে বললো...

          DO IT FAST OR ELSE .....!WHY ARE YOU WAITING?DON'T OPEN THE MASK, JUST PULL THE TRIGGER, SHOOT!

তারপর মনে হলো যেন বন্দুকের ট্রিগার টা নিজে থেকেই প্রেস হয়ে গেলো তারপর ঝাঁজরা করে দিলো ওই লোকটার মাথা,মাটিতে লুটিয়ে পড়লো তার দেহ।

                    " আগে একটা খুনের দায় ছিলো এবার দুটো খুন।আমি যেন জীবনে আর কোনো আলোর দিক খুজে পাচ্ছিলাম না এই ভয়ানক দুনিয়া থেকে বেড়ানোর জন্য।"

কি মনে হলো যে যাকে নিজে হাতে খুন করলাম সে কে দেখি ,তাই সামনে গিয়ে মুখে ঢাকা কাপড় টা সরলাম,আর তারপর ....."বিশ্বাস করুন ওই মুহূর্ত টার জন্য আমি আজও নিজেকেই দায় করি"।

দেখলাম চেয়ারে বসে থাকা লোকটা আর কেউ নয় আমার বাবা।আমি নিজে হাতে আমার বাবাকে খুন করেছি।বেঁচে থাকার ইচ্ছে টাই আমার জীবন থেকে চলে গেছে। আবার ফোন বেজে ওঠে।

"LEAVE THIS PLACE YOU HAVE 20 SEC. OR ELSE NEXT WILL BE YOUR MOTHER."

        বোনের কোনো খোঁজ নেই ,জানি না বেঁচে আছে কি না ।বাবা কে নিজে হাতে গুলি করে মেরেছি।শেষ যদি মাকে বাঁচাতে পারি সেই আসায় পালাতে গেলাম।ওখান থেকে বেড়াতে গিয়ে হটাৎ পেছন থেকে একটা গুলি এসে বিঁধলো আমার পিঠে।যন্ত্রনায় মাটিতে পরে গেলাম,ওই অবস্থায় পেছন ফিরে দেখি পুলিশ আমার দিকে দৌড়ে আসছে।তারপর আমার চোখ দুটো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসে।

জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ পড়ানো,আমাদের পাড়ার থানার বড়োবাবু এসে বলে নিজের বোন কে মেরেছো মা কে মেরেছো ,শেষে বাবাকেও মেরে ফেললে!তোমার তো ফাঁসি হবে ফাঁসি।

আমি- কী! মাকে, বোনকে মেরে ফেলেছি মানে?মাকে বোন কে বাঁচাতেই তো আমি ওখানে গিয়েছিলাম অফিসার।আমি আমার মা বোন কে মারিনি।আর ওটা যে আমার বাবা ছিলো আমি জানতাম না আমার হাত থেকে বন্দুক টা নিজে থেকেই চলে গেছিলো।

পুলিশ- মিথ্যে বলে কোনো লাভ নেই তোমার ঘর থেকে শুটকেস টা পেয়েছি আমরা ওতে একটা লাশ পেয়েছিলাম,যার মুখটা এমন ভাবে নষ্ট করেছো যে প্রথমে বোঝাই যাচ্ছিলো না।ফরেন্সিক এ পাঠানোর পর ডি.এন.এ টেস্ট করা হয় তারপর জানতে পারি উনি বসুমতি রায়,তোমার মা।আর তোমার বনের দেহ আমরা উদ্ধার করি রাস্তার পাশের খাল থেকে।

  কিছুদিনপর.....

      হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পুলিশ , বাবা-মা-বোনকে খুনের অভিযোগে আদালতে নিয়ে যায়, বিচারের জন্য সব প্রমান আমার বিরুদ্ধে,আমি যে দোষী সেটা প্রমানো হয়ে যায়।তাই আদালত আমাকে আজীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে।


    

   


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Crime