চিঠি
চিঠি
নীল,
পাঁচ বছর লেগে গেলো আমার ঠিকানা খুঁজে পেতে!নাকি সবটাই অভিমান?অবশেষে মেঘপিয়ন তোর চিঠিটা আমার দরজায় রেখে গেলো...আমি ভালো আছি রে বড্ড ভালো আছি এই মেঘের শহর শিলংএ...তোর চিঠিটা পড়ে সত্যিই আজ খুব ভালো লাগছে যে finally you are getting married...আমি তোর অতীতের এক অধ্যায়ে মাত্র আমার আদল খুঁজিস না ওর মধ্যে ওকে ভালো রাখবি বলে বাঁচ...
তু্ই এখনো আছিস ওই আগের মতো নাকি পাল্টে ফেলেছিস নিজেকে?Time has changed me a lot. তোর ওই পাগলি ছন্নছাড়া ঈশানি আর আজকের Mrs.সেন কে মেলাতে গেলে সে অংক কখনোই মিলবে না...জীবনের কিছু হিসাব না মিললেই হয়তো ভালো থাকা যায়...অর্জুন গত দু বছরে আমায় যতটা কাছের করে নিতে পেরেছে আমি ঠিক ততটা ওকে আপন করতে পেরেছি কিনা জানিনা... কিন্তু লোকটা আমার অভ্যাস হয়ে উঠেছে এতদিনে...তু্ই যেমন কবিতা বানিয়ে আমার অভিমান ভাঙাতি তেমনি অভিমানের বিকেলগুলোতে ও হেসে বলে 'ঈশান কোণে মেঘ জমলে সে মেঘই নাকি পাহাড়পুরে বৃষ্টি আনে'...
ওই দেখ আমিও তোর মতো অতীতের সাথে বর্তমানের তুলনা করছি...কারোর সাথে কারোর তুলনা হয়না...তোর ভালোবাসাতে কোথাও ফাঁক ছিল না কখনোই; আমিই তার যোগ্য ছিলাম না হয়তো...
এটাই হয়তো তোকে লেখা আমার প্রথম ও শেষ চিঠি কারণ আমি বা তু্ই কখনোই কেউ চাইবো না আমাদের অতীত এবং বর্তমান মুখোমুখি হোক আর যদি কোনোদিন দেখা হয় তাহলে সেদিন না হয় বাস্তবের মাটিতে পরের জন্মে কোপাইয়ের ধারে ঘর বাধার আষাঢ়ে গল্প বুনবো দুজনে...এ জন্মে আমাদের মিলনের স্বপ্নটা অপূর্ণই থাক;তু্ই সুখী হ স্মৃতির শহর কলকাতায় আর আমার অস্তিত্বের সাক্ষী থাকুক এই পাহাড়রাজ্য...
ইতি,
Mrs অর্জুন সেন