বিরহী রশ্মির সন্ধি
বিরহী রশ্মির সন্ধি
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী - বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।যদিও এটা একটি পশ্চিমী সংস্কৃতি; তবে আমাদের দেশেও বিশ্বায়নের সাথে সাথে অধিকাংশ মানুষের জীবনে এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রশ্মিও আজকের দিনটি বিশেষ দিন মনে করলো।
ভোরের সূর্য তখনও প্রকৃতির বুকে আলো করে ফুটে ওঠেনি।অথচ কি অদ্ভুত কান্ড! রশ্মিও সকাল হতে-না-হতেই ঘুম থেকে ওঠে পড়ল আর বিছানা ছাড়ল । আজ যে ভালোবাসার দিন,•••। আজ তার ভালোবাসার মানুষ সন্ধির সাথে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠল তাঁর মন।
হাতে-হাত,চোখে-চোখ মিলিয়ে আজ সে উপভোগ করবে ভালোবাসা। গোলাপ যেখানে থাকবে সে তো সুগন্ধ ছড়াবেই। তাই রশ্মিও চায় তার মনের মানুষটিকে ভালোবাসার ফুলের গন্ধরেনু উজাড় করে ভরিয়ে দিতে। রশ্মি হলো একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের কলেজ পড়ুয়া পূর্ণ যৌবনা সুন্দরী মেয়ে।
শুধু সুন্দরীই নন; রূপে-বর্ণে উজ্জ্বল একটি পরী।কিশোরী কাল থেকেই তাঁর একটু আধটুকু লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ।বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর বেশ কিছু গল্প-কবিতা ছাপা হয়েছে।
একদিন একটি মাসিক কাগজের সাহিত্য পাতায় রশ্মির ব্যক্তিগত হৃদয়ঘটিত ছোট -ছোট দুঃখ-কষ্ট, হতাশা,নিজের কিছু আত্ম কথা ঘিরে একটি গল্প প্রকাশ হয়। মোবাইল ফোন নাম্বার সহ গল্পটা সন্ধির দৃষ্টিগোচর হয়। গল্পটি চমৎকার হয়েছে বলে, মাসিকপত্রের কাগজ হতে নাম্বারটি নিজের মোবাইলে তুলে, তার পর রশ্মিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। সেই দিন থেকেই রশ্মির সাথে সন্ধির পরিচয়, তার পর বন্ধুত্ব,অতঃপর ভালোবাসা।
সন্ধি হলো কলকাতা শহরের একজন ব্যবসায়ী শিল্পপতির ছেলে। রশ্মি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হলেও শরীরের গঠন,চেহারা দোহারা মোটামুটি স্মার্ট।
জ্ঞানের দিক থেকেও তার প্রতিবন্ধকতা নেই।কথা-বার্তা,চালচলন,সাহিত্যচর্চায় ছিল তার অসাধারণ গুণ।সেই গুনে মুগ্ধ হয়ে সন্ধিই প্রথম রশ্মিকে ভালোবাসার কথা শোনায়। জন্ম হওয়ার পর থেকে একমাত্র মা-বাবা ছাড়া সন্ধির কাছেই প্রথম ভালোবাসার কথা শুনল রশ্মি ।
সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত অবধি মেসেজে কথা বলেছিল তাঁরা।শুধু সেদিন নয়,পর দিন,তার পর দিন, তারপর দিন এবং তারও পরে অনেক দিন।এভাবে দিনের পর দিন তাদের ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরতর হয়।স্বপ্নের মত দিন গুলি কেটে যাচ্ছিল।
রশ্মি যে কারণে সন্ধিকে ভালোবেসেছিল - ও যখন সন্ধির পাশে বসে গল্প করত সন্ধি সেই সব গল্প হৃদয় দিয়ে অনুভব করত; রশ্মি তখন লক্ষ্য করে দেখত, তার দুঃখের কথা শুনে সন্ধির চোখ দু'টো জলে ভরে উঠত।আর মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠতো, কি অদ্ভুত! কিংবা, কি দুঃখের। আর বোলো না! গল্পের শেষে ধন্যবাদ দিতেও ভুলে যেত না সন্ধি ।সেই জন্য রশ্মি বুঝতে পারল যে সন্ধি সত্যিই মন থেকে ওকে ভালবাসে।
রশ্মির মনে গভীর ভালোবাসার বিশ্বাস জন্ম হলো।
সে ভাবলো নানা বিপদ-আপদকে অতিক্রম করে এসেছি বলে তাই বুঝি আমাকে ভালবাসে?
রশ্মি সন্ধির কাছে জানতে চেয়েছিল, 'কেন তুমি আমাকে মিথ্যে আশা দিচ্ছ?
আমাকে দেখলে তোমার ভালোবাসতে ইচ্ছে করবে না।কারণ,আমি দেখতে সুন্দর নই, তুমি শহরের একজন নামীদামি শিল্পপতির ঘরের ছেলে,তোমার কাছে এতটা ভালোবাসা পাবার যোগ্যতা কি আমার আছে?
তুমি কি আমাকে স্বপ্নের মানুষ হিসেবে তোমার বুকে স্হান দিতে পারবে?আমি কি চিরজীবন তোমার স্বপ্নের রাণী হয়ে থাকতে পারবো? পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখের জিনিস ভালোবাসা যদি মিথ্যে হয়ে যায়? তার উত্তরে সন্ধি বললো,শোন রশ্মি ,আমি শুধু সুন্দরীর পূজা নই।আমার কাছে তোমার মনটাই বড়। ভালোবাসার মাঝে ধনী-গরীবের পার্থক্য নেই।আর তুমি যদি অসুন্দর হয়েই থাকো তাই বলে কি ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে?
তারপর সন্ধি রশ্মির কাছে দু'কপি রঙিন ছবি চাইলো। সন্ধি ছবি পাঠানোর পর রশ্মি ছবি দিল। দু'জন দু'জনার ছবি দেখে পছন্দ করলো।যাকে বলে প্রথম দর্শনেই প্রেম।
এর মধ্যে দু'জনের আন্তর্জালের সহায়তায় সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমেও কথা হয়।
অনেকবার দু'জনের দু'জনার বাসাতেও আসা যাওয়া হলো।এভাবে কেটে যায় একটি বছর। ভালোবাসার অতল সমুদ্রে হারিয়ে যায় দু'জন।
আজ ভালোবাসা বিশেষ একটি দিন বলে অবশেষে সিদ্ধান্ত হয় দু'জন দু'জনার সাথে দেখা করবে এবং সারাদিন যেখানে-সেখানে এক সঙ্গে বসে গল্প করবে।
নির্ধারিত স্থান হলো ডায়মন্ড হারবার সমুদ্র সৈকত।সন্ধি রাতেই ফোন করে জানিয়েছিল,
সকাল নয়টার মধ্যে ডায়মন্ড হারবার রেল স্টেশনের মেন গেটে দাড়িয়ে অপেক্ষা করবে হাতে থাকবে নানান রঙের ফুল।
সকাল ভোরে উঠে স্নান ,হালকা খানা-পিনা আগেই সেরে নিয়েছিল রশ্মি । ড্রেসিং রুমে ঢুকে সাজগোজ করে মন স্থির করতে পারল না, কি রঙের শাড়ি পড়বে? অবশেষে হলুদ-নীল মিক্সড করা শাড়ি পড়ে নিল। তার সাথে ম্যাচিং করে হলুদ চুড়ি,নীল টিপ পরে নিল।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আরেকবার দেখে নিল চমকপ্রদ সাজ সেজেছে।
মনে মনে ভাবলো,রশ্মি নয় সে যেন স্বর্গের উজ্জ্বল পরী।
ওপরের দেয়ালে চোখ রাখতেই চোখ বড়ো হয়ে উঠল। ঘরির কাঁটা তখন নয়টা বেজে ছুঁই ছুই। এক লাফে মায়ের ঘরে গিয়ে বলল,'মা, আজ আমি বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হবো।ফিরতে দেরি হলে কোনো চিন্তা করো না।ঘর থেকে বের হয়ে একটি app ক্যাব ডেকে নিল। সারাটা পথ চলতে হলো একা একা। গাড়ি থেকে নামা মাত্র একটা ফুলের দোকান থেকে এক গুচ্ছ রজনী গন্ধা আর লাল গোলাপ ফুল সন্ধির উপহারের জন্য কিনে নিল। ঘড়িতে দেখল ঠিক নয়টা তিরিশ মিনিটে পৌছে গিয়েছে নির্ধারিত জায়গায় বা মিটিং পয়েন্টে ।
সেখানে গিয়ে তার স্বপ্নের পুরুষটিকে তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর ও সন্ধ্যান মেলেনি সন্ধির ।দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পর বিরক্ত লাগলো। সন্ধির ফোন নাম্বারটা ও অফ।•••
সন্ধির ওপর ভীষণ অভিমান হলো তার।যখন শেষ পর্যন্ত মনে তীব্র অপমান বোধ নিয়ে ফিরে আসার জন্য পা বাড়ালো।পিছনের দিকে তাকাতেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো!
এই তো সন্ধি ! সাথে একটি মেয়ে! কে সেই মেয়েটি? সন্ধি যখন মেয়েটির পাশে বসে হাতে-হাত রেখে কথা বলতে লাগলো,রশ্মির খুব জোরে একটা ধাক্কা লাগলো বুকে। এই প্রথম জয়ের আনন্দটা বিস্বাদ লাগলো। এসব দেখে রশ্মি বুঝতে পারল,
তবে এটাই সন্ধির আসল রূপ! তার শরীর ঘামতে শুরু করলো।তীব্র কষ্টে-অপমানে রশ্মির চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। সব দেখে শুনেও অসহায় নির্বাক হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। তার মধ্যে চেতনা বোধ নেই। যেন সে এক প্রাণহীন পুতুল! যখন তার ঘোর কাটল, সে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না। এই মূহুর্তে সমস্ত পৃথিবীটা ওর কাছে বিষাক্ত বোতল মনে হল ।
আজ রশ্মি এসেছিল হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা সন্ধিকে উপহার দেবে বলে। ভালোবাসার প্রতিদানে ও জীবনের সেরা উপহারটি পেল আজ।কিন্তু রশ্মির জীবনের যে সমস্ত সুখ-দুঃখ আশা-সব মরীচিকা হয়ে গেল, তার এতো বড় সর্বনাশ হলো সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারলনা।ঈশ্বরের পৃথিবীতে মানব জাতির শ্রেষ্ঠ অবদান সেই হলো তার ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাকে চির সত্য জেনে রশ্মি সন্ধিকে অন্ধ বিশ্বাসের মতো, স্বর্গের আলোর মতো ভালোবেসে এসেছিল।
কেন কিছু মানুষ অপূর্ণতার ঝুলি নিয়ে কাঁধে করে পৃথিবীতে আসে? কেন কেউ ভালবাসা পেয়ে ও পায়ে ঠেলে দেয় আর কেউবা সেই ভালবাসা পেতে তীর্থের মতন অপেক্ষা করে?
কেন এত অদ্ভুত মানবজীবন(???)
ভালোবাসা মানেই যদি বেদনা,কষ্ট পাওয়া! তাহলে কেনই বা মানুষের জীবনে প্রেম আসে?
কে-ন-ই-বা প্রয়োজন হয় এই অনর্থক "অর্থহীন ভালোবাসার!"
রশ্মি আর একটি মূহূর্তে ও এখানে দাঁড়ালো না।
হন হন করে সেখান থেকে চলে আসলো।তার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। এতটা পথ কী করে ডিঙিয়ে বাসায় এল বুঝতে পারল না।বাসায় ফিরে এসে অবুঝ শিশুর মতো বিছানার বালিশে মুখ ডুবিয়ে ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো হেলেনা।
নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়ে সারাক্ষণ কাঁদতে লাগলো।মা,বাবা তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে বললো আমার কিছু হয়নি,শরীর খারাপ••••।
এভাবে একমাস কেটে যাওয়ার পরও রশ্মি স্বাভাবিক হতে পারলো না। দিনের পর দিন শরীর ভেঙে পড়েছে।বাবা,মা মেয়ের এমন পরিনতি দেখে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করলো। ডাক্তারবাবু সব পরীক্ষা করে বললেন,
ওর রোগ নেই।মেয়েটির বড় ধরনের একটা মানসিক আঘাত পেয়ে এমন হয়েছে। যার জন্য এমন করছে তার ভালোবাসার সেই প্রিয় মানুষটিকে এখানে ডেকে আনুন। সেই ছেলেটি যদি আগের মতো স্বাভাবিক আচরণ করে তাহলে আপনার মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব।
বাবা,মা যখন রশ্মিকে জিজ্ঞাসা করল রশ্মি সন্ধির সাথে যা যা হয়েছে সব খুলে বললো।
রশ্মির কাছ থেকে নাম ঠিকানা নিয়ে সন্ধিদের বাসায় রওনা হলো রশ্মির বাড়ীর লোকেরা ।
আর এ দিকে সন্ধি রশ্মিকে ছেড়ে যে মেয়েটির সঙ্গে ওর সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল,সেই মেয়েটির সম্পর্কে খবর নিয়ে জানতে পারল সে একটি নষ্ট চরিত্রের মেয়ে।
মিথ্যে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের অভিনয় করে ছেলেদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে নেওয়াই মেয়েটির নিত্য দিনের কাছ।
সন্ধি ওর ভুল বুঝতে পারলো। রশ্মিই ছিল তার ভালোবাসার যোগ্য নারী।
সিদ্ধান্ত নিল রশ্মির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবে। রশ্মির ফোন নাম্বারটা অফ।•••।
ইতিমধ্যে রশ্মির বাবা,মা সন্ধির কাছে গিয়ে সব খুলে বলল,
- বাবা আমার মেয়েকে তুমি বাঁচাও,••••••••।
যখন জানতে পারল রশ্মি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে! সন্ধি তখন এক চিৎকার দিয়ে উঠেছে -
না•••••••••না•••••এ হতে পারে না।আমার রশ্মি আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না•••••এই মূহূর্তে সন্ধিও গভীর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
তারপর রশ্মির বাবা,মা কে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে সোজা হাসপাতালে আসে এবং হাসপাতালের সিঁড়ি বেয়ে রশ্মির কাছে গিয়ে বসল সন্ধি ।
রশ্মির পাশে তখন সন্ধি ছাড়া অন্য কেউ নেই।
সন্ধি রশ্মির কাছে বসে মাথায় হাত রেখে বলতে লাগলো-
রশ্মি , কথা বলো••••দেখো তোমার ভালোবাসার প্রিয় মানুষটি আবার তোমার কাছে ফিরে এসেছে।
আমাকে ক্ষমা করে দাও।•••••••।
তোমায় অনেক কষ্ট দিয়েছি!•••••••••! আমার দিকে তাকাও•••••। বলতে ভীষণ কান্নায় ভেঙে পড়ে সন্ধি ।
রশ্মি ততক্ষণে চেতনা থাকলেও মুখ দিয়ে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল।
কিন্তু সন্ধির কান্নার আর্তনাদ শুনছিল তখন।
খানিকক্ষণ পর সন্ধির মুখের দিকে তাকালো।
মূহূর্তে দু'জনার চার চোখে মিলন হলো।
দুজনেরই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।ততক্ষণে রশ্মি সন্ধির হাত শক্ত করে ধরে ফেলে। কান্না জড়িত গলায় বলল,
কেন আমাকে তুমি এত কষ্ট দিয়েছিলে•••?
সন্ধিও ভাঙা ভাঙা গলায় বলল, আমি তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত রশ্মি •••,আজ বুঝতে শিখেছি কারো মন ভেঙে দিয়ে কেউ সুখী হতে পারে না। তোমার ভালোবাসা যে কতটা মহৎ তাও অনুভব করেছি। আমার জন্য যদি তোমার অন্তরে প্রেম না থাকতো তাহলে আজ মৃত্যুপথযাত্রী হতে পারতে না।
আমি তোমার ভালোবাসার গভীরতা না বুঝে তোমায় এত কষ্ট দিয়েছি•••আমায় ক্ষমা করে দাও।•••।
রশ্মি এখন স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারছে। হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠে বসল।সন্ধির বুকে মাথা রেখে বলল,পাগলামি করো না সন্ধি । ক্ষমা চেয়ে আমায় আর ছোট করোনা।মরণ যদি হয় তোমার বুকে মাথা রেখে যেন মরতে পারি বিধাতার কাছে শুধু এটাই চাওয়া।
দু'জন দু'জনকে গভীর ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে রইল।
হয়তো এ বন্ধন চিরকালের।
রশ্মি পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠলে ওর মা বাবা সন্ধির বিষয়টা সন্ধির পরিবারকে জানায় ও এই প্রসঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়।
ছেলের সুখের কথা ভেবে সন্ধির বাবা - মা রাজী হয়ে যান।
ওরা দুজন, ওদের বাবা,মা সবাই খুশি। অবশেষে
এক নির্ধারিত তারিখে দু'জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ।
বিরহের আগুনে পুড়ে ওদের ভিতরকার সঞ্চিত ভালোবাসাটা আরো অনেক অনেক খাঁটি হয়ে গেল ওদের আগামী জীবনের পথ চলার জন্য •••।

