ভরা যৌবনের কাছে
ভরা যৌবনের কাছে
ভরা যৌবনের কাছে
ডা: সত্যব্রত মজুমদার
তারিখ ২৪/০২/২০২৩
-----------------------
অঘোর সারাদিন "নানটি "দিদির কথা চিন্তা করতো, দিদিকে প্রথম দেখাতেই খুব ভালো লেগে গিয়েছিল, ছিপছিপে, হাসিখুশি, জৌলুস পূর্ণ, আকর্ষণীয়, খোলামেলা পোশাকে দারুন লাগতো ক্লাস নাইনে পড়া অঘোরের চোখে।" নানটি" দিদির ছোট ভাই রুদ্র একই ক্লাসের সহপাঠী, প্রথম তাদের বাড়িতে গিয়ে নানটি দিদির মোহগ্রস্ত হয়ে পড়ল, অঘোর ভেবেই পায়না দিদিকে কেন তাঁর এত ভালো লাগে, চলাফেরা, কথা বলা, চোখমুখের চাওনি, উঠতি বয়সে কল্পনার চোখে ভাসিয়ে নিয়ে যেতো, সুযোগ পেলেই আকর্ষণীয় নানটি দিদির ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত, মনের আকুল আকাঙ্ক্ষা ছিল, সুন্দরী দিদি যেন মন থেকে তাঁকে ভালোবাসে, কাছে ডেকে আদর করে, এই ভাবনায় মোহিত হয়ে থাকতে সারাদিন।
কিন্তু নানটি দিদি কি ছেলেমানুষ অঘোরের তাঁর প্রতি মনের উগ্র বাসনা, আকাঙ্ক্ষা, বেদনা অনুভব করতে পারত না? আড়াল থেকে একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকতো অঘোর, কলেজে পাঠরত দিদির মতো ভালোবাসার সঙ্গিনী যদি পেত, তাহলে বাকি জীবনটা মনে হয় ধন্য হয়ে যেত, এই কামনা, বাসনা অঘোরকে মাঝে মাঝে অস্থির করে তুলতো, পরক্ষণে নিজেকে বাস্তবতার জগতে নিয়ে আসার চেষ্টা করত, ভেবে নি তো, এইরকম বুঝি এই বয়সে অনেকের জীবনে ঘটে থাকে, যা কখনোই ব্যক্ত করা যায় না, মনের গোপন ঘরে চিরজীবনের মতো বন্দী করে রাখতে হয়, স্মৃতির মালা হিসেবে, ভবিষ্যতের জন্য।

