বেশি বিশ্বাস ভয়ঙ্করী
বেশি বিশ্বাস ভয়ঙ্করী


তখন বাজে রাত সাড়ে ১০:৩০ তা বাজতে ২০ মিন বাকি. শৈলেশ শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন এ দৌড়াতে দৌড়াতে ঢোকে.১টা লোক কে জিগ্যেস করে দাদা লাস্ট মেট্রো চলে গেছে কি?? উনি বলে না আর ১টা বাকি আছে?? শুনে শৈলেশ খুব খুশি হয় যে যাকঃ এই যাত্রায় বেছে গেলো সে. স্টেশন এ নেমেই দেখে তললীগঞ্জ জাবার লাস্ট মেট্রো ১০ তা ২৪ এ. যে লোক তা বলেছিলো যে লাস্ট মেট্রো বাকি আছে সে হটাৎ ই স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেলো. সেই দেখে শৈলেশ র সনদেও হয় যে লাস্ট মেট্রো চলে গেলো নাতো. তাই সে ১ পুলিশ ক ওখানে জিগ্যেস করে. সে বলে হ্যা তললীগঞ্জ যাবার মেট্রো আর নেই আজ. আবার কাল. কি করবে ভাবতে ভাবতে হটাৎ দেখে দমদম যাবার মেট্রো আসে. পুলিশ বলে এটা দমদম যাবার লাস্ট মেট্রো. শৈলেশ কিছু না ভেবে তাড়াতাড়ি উঠে পরে. উঠে সিট্ এ বসে ভাবে বেলঘরিয়া ই চলে যাই ক্যানো তার ওখানে মামাবাড়ি. দমদম এ গেলে কাছে হতো ক্যানো সেখানে তার মাসির বাড়ি কিন্তু কদিন আগে ই ১টা সমস্যা করে ফেলেছে যার জন্য যেতে পারতো না সে. দমদম এ নামে যখন তখন ১০ তা ৩৫ .
টিকেট কেটে উপরের ট্রেন সঙ্গে সঙ্গে ই পেয়ে যায়. স্টেশন র সামনেই তার মামাবাড়ি ছিল তো তাই বেশি অসুবিধা হয়নি পৌঁছাতে তার. মেট্রো তে যতখুন ছিল সে তার ১ক COLLEQUE ছিল যে ভালো বন্ধু হয়ে যায় দুবাই তে অফার পায় তাই সে চলে যায়. তাকে হোয়াটস্যাপ করে বলে ভাই বিপদে পড়েছি কল কর. এছাড়া ও সে তার বেস্ট ফ্রেন্ড কে মেসেজ করে রাখে এবং ১ক তা স্কুল র বান্দবি যেও তার বেস্ট ফ্রেন্ড এর থেকে কিছু কম না তাকে ও মেসেজে সব জানায়. বেলগারিয়া তে মামা বাড়ি ঢোকার গেট এর মুখে ই তার দুবাই র বন্দু তীর কল আসে.সে বলে কি হয়েছে তোরা ২জন তো ভালো বন্ধু ছিলি তাহলে কি করে এমন হয়. তুই কাঁদছিস ক্যানো তুই কি ওই মেয়ে তাকে বিয়ে করবি, তোর কি ওকে পছন্দ. শৈলেশ কেঁদে কেঁদে বলে না আর সত্যি ও মেয়ে তাকে ১জন ভালো বন্দু বোন এর মতো ভালোবাসতো যেহেতু অফিস র অনেক পলিটিক্স থেকে শৈলেশ কে বাঁচিয়ে ছিল. শৈলেশ অবাক ই হয় কারণ এই সেই মেয়ে যে এতদিন হেল্প করে এসেছে সে কি করে তার ক্ষতি করতে পারলো. দুবাই র বন্দু তা সান্তনা দেয় আর বোঝাই যে ১দিন তুই এসব নিয়ে হাসবি . ফন কেটে যায় কিছুক্ষুণ পরে নেটওয়ার্ক র অসুবিধার জন্য. তো শৈলেশ গেট এ দাঁড়িয়ে মামা কে কল করে.ফন নম্বর ডিলিট করে দেবা সত্ত্বেও ওর ব্যাক up ছিল হোয়াটস্যাপ এ তাই মামা মামী র নম্বর তা খুঁজতে বেশি খুন লাগেনি তার. মামা দরজা খোলে. শৈলেশ তখন ভয় এ কিছু বলতে পারছে না বলে শুধু বলে মামা কান্ড হয়েছে আজ থাকতে দেবে. ওদিকে ভয় এ বাড়ি থেকে মা বাবা ফন করছে শৈলেশ তোলেনি. মামী মা ক ফন করে বলে আমাদের বাড়ি আছে সব ঠিক আছে. চোখ লাল হয়ে যায়.ভয় এ থর থর করে খাপটে থাকে . মামী বলে স্নান করে আয় . স্নান সেরে খেতে দেই রাত ১১:৩০ নাগাদ .কিন্তু বেচারা খেতে পারেনা. শুধু মাথায় ঘুরছে কি করে করলো সে.মানুষ এত ভয়ানক হতে পারে. বিশ্বাস ঘাতক এত হতে পারে.কি ক্ষতি করেছিল তার যে সে এমন করলো. কাদ্দে কাদ্দে তারপর ঘুমিয়ে পরে সে.