অস্মিনার শরীর নিবেদন
অস্মিনার শরীর নিবেদন
অণুপ্রেমের গল্পে অস্মিনার শরীর নিবেদন
জীবনের মধ্যে জীবন যদি গড়ে ওঠে , বেদনার কথা কি বলবো।
স্হান :বাংলাদেশ, খুলনা।
দুপুর ১২টা। আজানের ধ্বনি মিশে যাচ্ছে রবনের কাছে। ঈশ্বর তো পবিত্রতম অনুভূতি। তিনি আছেন চেতনে ও প্রজ্ঞায়। পাগলের তো আর ঈশ্বর নেই। সৃজনশক্তি মৃত।
বর্ষা শেষের পর বর্ষার শুরু। এটাই আমার বাংলাদেশ। অস্মিনা এসেছে নুরুলের বাড়িতে। নুরুল ইসলাম গবেষণা করে , কোর্স ওয়ার্কে একবার দেখা হয়েছিল।
বেড়াতে আসবার ধরণ এটা কী হয়ে থাকে। নুরুলের সঙ্গে গল্প কি যেন কথা। আপনার নামে কত কি শুনি। তা তোমার সখীদের এতো মাথা কিসের।ওরা কি শুতে চায়। আমি সক্ষমের পরীক্ষাটা হাতে হাতে হয়ে যাবে।
গালটিপে ধরে অস্মিনার।অস্মিনা,তুমি পুতুল পুতুল দেখতে।
হুম।তাই নাকি। ভালো লাগে আমাকে। সে তো লাগে।
বিয়ে করবে আমাকে। কি যে বলেন। যুগ বদলেগেছে।নুরুল ইসলাম ধর্মের বেড়াজালে কবে আগুন লাগিয়েছে।মানুষ অনেক বড়ো।
হাত দিয়ে ঠোঁট আলতো করে ছুঁয়ে , ঠোঁট দুটো এগিয়ে দেয়।সূর্যের তাপে ঘুমন্ত পদ্ম পাঁপড়ি মেলে দেয়।বুকের মধ্যে মধু জাগে,পাখি,ভ্রমর কত পতঙ্গের খেলা চলে।
খসে পড়ে তার আবরণ। কোমরে ঘুনসি বা তাগা।তাতে আবার তাবিজ।জড়িয়ে ধরে ও ধাক্কা। বুঝলেন বাবু সাহেব। কন্ডোম ছাড়া ওটা কিন্তু হবে না।
না, আনতে হবে। যাবো বাইরে।
দরকার নেই মশায়। আমার ব্যাগেই আছে।
আটকে যাচ্ছে সব। প্রথম হলে কী হয় না তেমন।
শরীরের মধ্যে মিশে গিয়েও নুরুল বোঝে ঘেমো গন্ধের মধ্যে কি আছে। শিমূল ফুলের মতো এ শরীর, সঙ্গমেও আনন্দ নেই।
বুকের ওপর নুরুল। মাথার চুলে বিলি কাটতে কাটতে , কি এরকম থাকবেন।
তোমার প্রথম না!কী যে বলেন। কেন?
বিয়ে করবে আমায়। অবশ্য ভালোবাসতে হবে।
সময় ২ঘণ্টা হয়েগেছে। অস্মিনাকে দেখা করতে হবে ওর সাথে। ও হল ওর পুলিশে চাকরী করা প্রেমিক।যার বিয়ে হয়েছে জমিরার সাথে। তবুও উন্মাদনায় ,ফেলতে পারে না। অস্মিনার বুকের মধ্যে জ্বলে আগুণ। উন্মাদনা কমেছে যদিও প্রশান্তি নষ্ট হয়েগেছে।
পেছন থেকে হাত টেনে ধরতে ঘুরে দাঁড়ায় । বিয়ে করবে।ভাল্লোবাসবে। আমিই প্রথম।
জানি না। কবে আসবো ,আর আসবো কিনা। জড়ালেই কষ্ট। ভালো থাকুন।এই তো এলাম।যেমন এসেছি চলেও যাবো।
আগে যদি আমি না করতাম একদিনে শরীরের সাথে শরীর নিয়ে এই চিত্রতা কী করে সম্ভব।
আপনি বলেছিলেন। আসবো কথা দিয়েছিলাম।
তারপর যদি বলেন ,বলবো আর এর বেশী জানি না।
আমি দীর্ঘকাল মেন্টাল এসাইলামে ছিলাম অনেকদিন।বাড়িতে বিয়ের কথা চলছে।কতদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারবো জানি না।
নীরব নুরুল।দুএকটি কথা বলতে গিয়ে বলতে পারছে না। হুম বা হ্যাঁ।তার বুকের মধ্যে একটা ব্যথা ঠেলে উঠছে।
বিস্মিত,সমাপ্তি। স্বপ্নগুলো এমন। সঙ্গমেই জীবন নয়, বারবার ভেবেছে ,বাস্তবের শুরু সুমুদ্রের গভীর মাটিতে।এগিয়ে দেয়।গাড়িতে তুলে দেয়।চাপা কষ্ট আর দীর্ঘশ্বাস। সব মরীচিকা। যারা আগে বিয়ের নাম করে ফাঁসিয়ে টাকা নিয়েগেছে ও বদনাম হয়েছে নুরুলের। তারা আর অস্মিনা। ভালোবাসতে পারবে না কাউকেই। কিন্তু শ্রদ্ধা থাকবে অস্মিনার জন্য।।
২৭/৯/২০১৯