অপূর্ণতার প্রাপ্তি
অপূর্ণতার প্রাপ্তি
তোর আমার বন্ধুত্বটা অনেক দিনের। ঠিক যেন জীবনানন্দের 'হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি' কবিতাটির মতো। হৃদয়ের গভীরে কখন যে তোকে নিভৃতে ভালোবেসে ছিলাম বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ একদিন তোকে চমকে দেবো বলে তোকে না বলেই তোর বাড়িতে চলে এলাম। এসে দেখি কাকিমা অর্থাৎ আমার আরেক মা আমাকে দেখে ভীষণ খুশি। আমার কপালে চুম্বন এঁকে বলল 'মা' ভালো আছিস তো? ওঃ সে যে কি তৃপ্তি তা বোঝানোর নয়। মায়েরা এমনই হয়। আমি বললাম তোমার হৃদস্পন্দন কোথায়? কাকিমা বলল ও ঘুমোচ্ছে তুই বসতো আমার পাশে, বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল জানিস আমার কোন মেয়ে নেই তুই কি আমার মেয়ে হবি। লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে গেল, দৌড়ে চলে গেলাম সেখান থেকে তন্ময়ের ঘরে। গিয়ে দেখি শিশুর মতো মায়া জড়ানো মুখটাই রোদ এসে পড়েছে, আমি চুলের আড়ালে তাকে ঢেকে দিলাম। তখন যেন বলতে ইচ্ছে করছিল 'ভালোবাসি, ভালোবাসি, বড্ড বেশি ভালোবাসি'।তোর বইগুলো নাড়তে গিয়ে দেখি একটা চিঠি থমকে গেলাম আমি পড়ে দেখলাম তোর অন্তরে অন্য কারো স্থান। চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ার আগে নিজেকে সামাল দিয়ে বললাম তাতেই বা কি? সব প্রেমের কি পূর্ণতা চাই !নাই বা পেলাম তোর ভালোবাসা কিন্তু তবুও তো আমি তোকে ভালবাসি, ভালবাসবো। আমার প্রেমটা না হয় গোপনেই থাক। তোর সুখেই আমার সুখ।রইল বাকি তোর মা তাকে না হয় কাকিমা বলেই ডাকবো ওই ডাকেও তো 'মা' শব্দটি থাকে। আমি না হয় তা দিয়েই আমার অপূর্ণতার সাধ মেটাবো।