অমাবস্যা -এক, দুই, তিন, চার
অমাবস্যা -এক, দুই, তিন, চার
![](https://cdn.storymirror.com/static/1pximage.jpeg)
![](https://cdn.storymirror.com/static/1pximage.jpeg)
অমাবস্যা -এক
শোন বন্ধুরা তোমাদের আজ ছোট পরপর চারটি গল্প শুনাবো। যে গল্প গুলো মানব জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন। এ গল্প গুলো মানুষ তার নিজ নিজ জীবনে ধারণ করে তাহলে তার জীবনে অমাবস্যা নেমে আসবে না।
চলো তাহলে সত্য কেন জরুরি এবং প্রয়োজন তা শুনি।
সত্য বলার সাহস রাখি, সত্য কে ধারণ করার মানসিক শক্ত তৈরি করি।না হয় সব কর্মই যে বৃথা যাবে। শৈশব তারুণ্যে প্রশ্ন করাই না শিখি এবং প্রশ্ন না করি চরম সুন্দর শৈশব তারণ্য নষ্ট হবে।সত্যের বিপরীতে মিথ্যা শটতা শয়তানের কাছে হেরে যাবো । আমরাই যদি প্রশ্ন না করি আমাদের উত্তর প্রজন্মের কাছে অপরাধী হবো।
সবুজ সুন্দর প্রীতি প্রেম মমতায় ঘেরা প্রাকৃতিক বাংলাদেশ, সুন্দর পৃথিবীর জন্য সত্য ও বাস্তবতা কে এখনই নির্মাণের সুবর্ণ সময়।
এখনো আমরা আমাদের সমাজে, রাষ্ট্রে আমাদের সমাজপতি, নেতা, রাজনীতিক তাদের কায়েমি স্বার্থ হাসিলের জন্য, আমাদের অশিক্ষিত ধার্মিক চির সবুজ, সহজ সরল প্রাকৃতিক মানুষদের বিভিন্ন প্রকারে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে বিনয়ের সহিত প্রশ্ন করতে শিখি।বলি আপনি যা বলেছেন তা এভাবে বল্লে মানুষের মঙ্গল হয়,প্রকৃতির মঙ্গল হয়।
যখন সমাজে সত্য বলার মানুষ হারিয়ে যাবে তখন মানুষের জীবনে নেমে অমাবস্যার মতো ঘোর অন্ধকার। অমাবস্যার অন্ধকারে যেমন আমরা আলো ছাড়া দেখিনা, ঠিক সমাজে মানুষ যখন সত্য বলা ভুলে যাবে, কেউ আর মিথ্যা ছাড়া সত্য বলছে না, তখন রাষ্ট্র সমাজে অপরাধ প্রবনতা মহামারি রোগের মতো খুন,ধর্ষন, লুটতরাজ, মারামারি, হানাহানি চলমান থাকবে। তখন পিতার কাছে কন্যা অনিরাপদ, ভাইয়ের কাছে বোন অনিরাপদ। ভাইয়ের কাছে ভাই নিরাপদ থাকেনা।চাচার কাছে মা নিরাপদ থাকেনা।
চলো আমরা সমাজ কে যাতে অমাবস্যার অন্ধকার গ্রাস করতে না পারে নিজ নিজ অবস্থান সবাই সত্য বলবো।সত্যের মধ্য দিয়ে মিথ্যার অমাবস্যা দুরি ভূত করবো।
##
অমাবস্য-দুই
দাদু এবার তাহলে দ্বিতীয় গল্পটি শুনান।শুনাবো শুনাবো, তোমাদের গল্প না শোনালে কি বুড়োদের শুনাবো? বুড়োদের শুনিয়ে কোন লাভ নাই।
তরুণ -লাভ নাই কেন দাদু
লাভ নাই কেন,ধরো আমি আর ক'দিন বাঁচবো? বড়ো জোর পাঁচ বছর বা তারোধিক সাত বছর।
এখন আমি কি আর রাষ্ট্র সমাজের বড়ো বড়ো, কঠিন কায়িক, অফিস, আদালত, কৃষি কোন কিছুর যোগ্য?
কিশোর -কেন অযোগ্য
শোনো আমি এখন চলাফেরা করি তোমাদের সাহায্যে। খাওয়াদাওয়া সব তোমাদের সাহায্যে। প্রায় অসুস্থ থাকি, বয়স বেড়েছে। তো এসব কারনে বুড়োদের গল্প শুনিয়ে লাভ নাই।
তোমরা শুনবে বুড়োদের ভালো ভালো জীবন জয়ের গল্প।অভিজ্ঞতার গল্প।যা তোমাদের আগামী জীবন গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
তরুণী -কথা না বাড়িয়ে চলো আজকের বাকি গল্প গুলো শুনে নি।পরে সময় পাবো, আবার সেই আগামী সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে গল্প বলার আসরে।
শুনো তাহলে, সবাই রেডি তো
হ্যা হ্যা
আজকে আমরা কেন ন্যায় পরায়ণ হবো তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত করে বলি। কারণ আজ আমরা সময় বেশি নিয়ে নিয়ছি।
এখন আসি ন্যায় কি।ন্যায় মুলত একটি ছোট শব্দ। কিন্তু এর ব্যাপকতা খুব বড়ো এবং বিশাল।
একটা দেশে যদি ন্যায় না থাকে তাহলে সমাজে অন্যায় বেড়ে যায়।অন্যায় বেড়ে গেলে কি হয়
যারা সমাজের দুর্বল শ্রেণীর মানুষ তারা নিয়মিত শোষিত লাঞ্চিত হতে থাকবে। ফলে কি হবে শোষিত লোকের উপর জুলুম বেড়ে যাবে।
যেমন ধরো সমুদ্র বহুপ্রকার মাছ আছে। সামুদ্রিক অন্যান্য প্রাণী আছে।এর মধ্যে ছোট বড়ো মধ্যম কতো রকম।তো ওখানে কি হয় বড়ো মাছ ছোট মাছ কে গিলে খায়।এটা মাছেদের জীবন চক্র।
কিন্তু আমরা কি মানুষ। মানুষের কি আছে জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক, ন্যায়পরায়ণতা। এ কারণে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও ভিন্ন।
মানুষ কি মাছের মতো ক্ষুধা পেলে বড়ো মাছ ছোট মাছ কে কি গিলে খায়?
এক কথায় তোমরা সবাই বলবে না, মানুষ মানুষ কে খাদ্য হিসেবে খায়না।
তো আমাদের খাদ্যাভ্যাস কি কি,সেটা নিশ্চয়ই আমরা সবাই জানি।এখানে ও আবার দেশ কাল পরিবেশ প্রকৃতি সমাজ সংসস্কৃতি ভেদে খাদ্যাভাসের ও ভিন্নতা আছে। যা মাছেদের নেই।
কিন্তু এসবের পরও মানুষ মানুষের উপর কি করছে অত্যাচার নির্যাতন করছে। খুন করছে পরস্পর কে।মারামারি হানাহানি করছে।
কেন এসব অমাবস্যার অনাচার হয় তোমরা বলতে পারবে কেউ?
তরুণ -আপনি বলেন আমরা মন দিয়ে শুনি।
শোনো -মানব জাতি যখন আদিম সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে বর্তমান বিজ্ঞান ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ সমাজ ব্যবস্থায় উপনিত হলাম। এ অবস্থায় মানুষ আসতে কতো লড়াই সংগ্রাম যুদ্ধ বিগ্রহ, দখল বেদখল, উপনিবেশ থেকে সমাজবাদী সমাজব্যবস্থা ও পুজিবাদী সমাজব্যবস্থায় আমরা অবস্থান করছি।
তো এতো কিছু হওয়ার পেছনে মানুষের দুটি প্রবৃত্তি কাজ করে। একটি হচ্ছে মানবিক আর মানবিক এর বিপরীতে পাশবিক।
একটা সমাজ রাষ্ট্রের জনগণের ভেতর যখন মানুষের ন্যায়পরায়ণতা হারিয়ে যাবে, মানুষের ভেতর পশু ও মাছেদের মতো যাকে মেরে যাকে খাওয়া যায় দখলে রাখা যায় প্রকৃতির লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে তখন ন্যায় বিচার হারিয়ে যাবে। তখন সমাজ বিভিন্ন রকমের অনাচার বেড়ে যাবে তখন সেই সমাজ রাষ্ট্র কে বলে অমাবস্যার অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ রাষ্ট্র।
সমাজে যখন অমাবস্যার অন্ধকার নেমে আসে তখন এই অন্ধকার তাড়াতে তোমাদের মতো তরুণ তরুণীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যানের প্রয়োজনে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এগিয়ে আসে।এই ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে শিক্ষা, চরিত্র, সুস্থ দেহ ও ঐক্যের প্রয়োজন। যখন সব মিলে এক যোগে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার আওয়াজ তুলবে তখন সমাজ রাষ্ট্র থেকে অমাবস্যার অন্ধকার দুরিভূত হয়ে পূর্ণিমার আলোয় তোমরা আলোকিত হবে।
##
অমাবস্যা -তিন
শুভ বিকেল দাদু, আজ কি গল্প শোনাবে?
শুনাবো শুনাবো,তার আগে বলো গত সপ্তাহের গল্প কেমন লেগেছে তোমাদের।
খুব ভালো খুব ভালো।
দাদু-গল্প গুলো কি তোমরা তোমাদের ঘরে মা বাবা ভাই বোন ও ক্লাসের বন্ধু দের শুনিয়ে ছো?
হ্যা সমস্বরে
শোনো তাহলে
আজকের গল্প শিক্ষিত মা
বিখ্যাত সমরবিদ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী নেপোলিয়ন বেনাপোর্ট তাঁর একটি বিখ্যাত কথা আছে
"তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিবো"।
আজকের আসরে কেন এই কথা বল্লাম?
কিশোরী কেন দাদু -
শোনো তাহলে
যে সমাজ যতো বেশি শিক্ষিত সে সমাজে ততো
বেশি উদার মানবিক ন্যায়পরায়ণ। তখন ঐ সমাজে কোন প্রকার অমাবস্যার অন্ধকার গ্রাস করতে পারবে না।
তাহলে অমাবস্যার অন্ধকার তাড়াতে কে বেশি সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে?
তরুণ -কে
তিনি হলেন একমাত্র শিক্ষিত মা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা কি?
মানুষ প্রাকৃতিক ভাবে ছোট থেকে বড়ো হতে কিছু শিক্ষা প্রকৃতি পরিবেশ থেকেই নিজের প্রয়োজনে আপনি আপনি শিখে নেয়।এটা কে বলে প্রাকৃতিক শিক্ষা। এই প্রাকৃতিক শিক্ষা পৃথিবীর সকল প্রাণীইর বৈশিষ্ট্য।
এখন আমরা যে শিক্ষার বিষয়ে গল্প করবো তাহলো মানুষের মৌলিক মানবিক কারিগরি শিক্ষা।
এ শিক্ষা যদি একটি সমাজে কারোই না থাকে তাহলে আমি সেই সমাজের মানুষ কে আমি বলবো অমাবস্যার অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজের মানুষ। তাদের সাথে অন্যান্য প্রাণীর কিছু বৈশিষ্ট্য ও কাটামোগত অমিল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।এরা প্রাণী মানুষ বা বন মানুষ বা আদিম মানুষ।
এই অন্ধকারাচ্ছন্ন মানব সমাজ কে মানবিক মানুষে ফেরাতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
সে জাতি যতো বেশি শিক্ষিত সেই সমাজ ও রাষ্ট্র ততোধিক উন্নত ও প্রগতিশীল।
এই উন্নত জাতি রাষ্ট্র গঠন করতে হলে এক মাত্র শিক্ষিত মা'ই ভুমিকা রাখতে পারে সর্বাগ্রে।
তা কি করে সম্ভব
বলো তুমি বলো
তোমরা কয় ভাই কয় বোন
কিশোরী -দাদু আমরা পাঁচ ভাই দুই বোন
তাহলে মোট সাত জন ভাইবোন, বাবা মা, ঠাম্মা, ঠাকুর দা মিলে মোট এগারো জন তোমাদের পরিবারের সদস্য।
এই এগারো জনের মধ্যে ধরো তোমার ঠাম্মা ও ঠাকুর দা অবসর কিছুই করেনা। তোমাদের সাথে সময় কাটায়।
বাকি নয় জনের মধ্যে তোমার বাবা কি করেন
কৃষি কাজ করেন, আর মা গৃহিণী। তোমার বাবা মা স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন।
এখন কথা হচ্ছে তোমার মা যদি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতো, কৃষি শিক্ষাই যদি নিতো তাহলে তোমার মা তোমার বাবা কে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করতে পারতো। চাষাবাদ আরো অধিক উন্নত ও অধিক ফলন হতো।এবং তোমাদের সব ভাই বোন কে লেখাপড়া করাতো। বড় ভাইয়েরা শিক্ষিত হয়ে বাবার কাজে উন্নত প্রযুক্তি ও নিজেই অন্য কাজে অংশ নিত।ফলে তোমাদের দারিদ্রতা থাকতো না।
আর প্রাকৃতিক ভাবে প্রতিটি শিশু মা'কেই বেশি অনুসরণ করে।কারণ তারা শৈশব থেকেই বেশি সময় মায়ের সাথে কাটায় ও অধিক সময় কাছে পায়।ফলে সে মায়ের আদেশ নিষেধ ও মা'র আদর্শে অনুপ্রানিত হয়।
এভাবেই যদি প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিটি মা যদি শিক্ষিত প্রগতিশীল আদর্শে দীক্ষিত হয় তাহলে একটি সমাজে কখনো অমাবস্যার অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রাস করতে পারবে না।
তোমরা কি বলো, তোমরা কি আমার কথায় একমত আছো।
অ হ্যা আরো একটি কথা শুধু শিক্ষিত মা হলে চলবে না যতদূর সম্ভব পরিবার সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাবা মা উভয়ই শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে পরিবারের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।
যদি বাবা মা দুজনেই অশিক্ষিত হয় সে পরিবারে কোন না কোন ভাবে অমাবস্যার অন্ধকার গ্রাস করবে। সে ক্ষেত্রে পরিবারের শিক্ষিত সন্তানদের অগ্রণী ভুমিকা অতিব প্রয়োজন।
কি বলো। হ্যা সমস্বরে।
##
অমাবস্যা -চার
প্রিয় তরুণ বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো।
ভালো -সমস্বরে
দাদু আজ কে কি গল্প শুনবো আমরা।
আজ আমি তোমাদের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে কিছু গল্প বলবো।
একটি পরিবার সমাজে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি হীন হলে কি হয় তা তোমাদের চোখে নিয়মিত দেখো
কিন্তু অসচেতনতার কারণে বুঝতে পারো না।
আমি তোমাদের কয়টি শব্দ উচ্চারণ করেছি।
তিনটি -সবাই সমস্বরে
কেউ কি বলবে কি কি
কিশোরী -শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি
বাহ বাহ তোমরা দেখি খুব মনোযোগী শ্রোতা। তোমাদের জন্য একটা তালি হয়ে যাক।
তালি
আসলে শব্দ তিনটির বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে একটা ছাড়া অন্য দুটি অচল। অনেক টা তিন চাকার গাড়ির মতো।একটা যদি অচল হয় অন্য দুটি সচল হলেও গাড়ি কিন্তু চলবে না।
ধরো তোমাদের একটা তিন চাকার টেক্সি আছে। কিন্তু কি নাই চাকা নাই। তাহলে গাড়িটির কোন কাজ দিবে তোমাদের?
না দিবে না।
ঠিক একি ভাবে আমাদের একটি পরিবার সমাজ যতই অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হোক না কেন, যদি ঐ সমাজ পরিবারে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা না থাকে তাহলে এটাও অমাবস্যা আক্রান্ত সমাজ পরিবার।
এখন তোমরা প্রশ্ন করতে পারো কিভাবে?
ধরো আমাদের পাড়ায় অনেক পরিবার আছে না অনেক পয়সাওয়ালা কিন্তু তাদের কি নাই ঘরে একটা লাইব্রেরি নাই,কেউ গল্প কবিতা পড়েনা,কেউ ছবি আঁকে না,গান নাটক করেনা দেখেনা।
দেখবে ঐ ঘরে সবসময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। তাদের ছেলে মেয়েরা তেমন লেখা পড়া করে না।অনেকেই পাড়ায় গুন্ডামী মাস্তানি করে।অনেকেই আবার মাদকাসক্ত। আবার দেখবে ওখানে নারীও নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন অপরাধের কারণে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায়।জেল খাটে বের হয়। বলতে গেলে এক প্রকার টাকাওয়ালা অমাবস্যার অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘৃণিত পরিবার। সবসময় অশান্তি লেগেই থাকে। এদের এসব আচরণের কারনে সমাজের অন্য অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েরা ও নষ্ট হয়ে অমাবস্যার করাল গ্রাসে পতিত হয়।
তাহলে এসব থেকে মুক্তির উপায় কি হতে পারে
এই অন্ধকারাচ্ছন্ন অমাবস্যার করাল গ্রাস থেকে একমাত্র মুক্তির উপায় হলো সাহিত্য চর্চা ও বই পড়ার জন্য পাড়ায় পাড়ায় গণ পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। সবাই বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করবে।
সেই জ্ঞানই তোমাদের বলবে দেহ মনের শান্তি প্রফুল্লতার জন্য সঙ্গীত চর্চা করবে।সেই শিল্পীরা দেশ সমাজের সুনামও বয়ে আনবে।
আর কেউ কেউ চারুকলা শিখবে। মকবুল ফিদা হুসেনের মতো চিত্র শিল্পী হয়ে দেশের সুনাম কুড়াবে।
পড়ার কমিউনিটি সেন্টারের হল ঘরে নাটক চর্চা করবে। পরে বার্ষিক ও বিভিন্ন সামাজিক ধর্মীয় উৎসবে নাটক প্রদর্শন করবে।
মাধ্যমিক স্কুলের মাঠ কে খেলাধুলার উপযোগী করে বিভিন্ন প্রকার ক্রীড়ায় অংশ নিবে।ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এসবে নারী পুরুষ সবার যোগ্যতা অনুযায়ী সমান অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এসব শুধু সময় ব্যায় ও অর্থ ব্যায় নয়, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়াতে ও ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের মতো আয় করা যায়।চাকুরিজীবীর অধিক আয় করা।
শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া সবার প্রয়োজন।
কারণ শিল্প সাহিত্য চর্চা না থাকলে মানুষে মানুষে সাম্য মৈত্রী উন্নয়ন অগ্রগতি হয়না। ব্যাঘাত ঘটে উন্নয়ন ও শান্তি শৃঙ্খলায়।
সমাজ যদি অশান্তি চলতে থাকা কে চাঁদের অমাবস্যা বলে।
তাহলে আমরা অমাবস্যা দুরিভূত করতে হলে এ গুল্প থেকে যা জেনেছি তা নিজেই চর্চা করবো।