আমার জীবনের এক গল্প। আমার বাসরঘর
আমার জীবনের এক গল্প। আমার বাসরঘর


আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় হয়ে আছে আমার বিয়ের দিন। যেদিন অপরিচিত একটি ছেলে র ঘরে বৌও হয়ে বসে আছি।বসে আছি আর ভাবছি যাকে চিনি না জানি না,যার সাথে একদিনো কথা হয়নি আজকে আমি তার বাসরঘরে বসে আছি। আমার বয়স যখন সতের তখন আমার বিয়ে হয়েছে।আর আমাদের সময় এতো সুযোগ ছিলনা নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছে বলার।বাবা মা যেইটা মানতো আর ঠিক করতো সেটাই ফাইনাল।তখন মেয়েদের বয়স পনেরো বছর মানে অনেক বেশি বয়স।
এগুলো ভাবতেই ঘরে আসলো সে। বাবার মুখে শুনেছি ছেলেটা ঢাকায় বেশ ভালো বেতনের চাকরি করেন।আর দেখতেও বেশ লম্বা চওড়া আর সুন্দর।আমাকে যেদিন দেখতে আসে সেদিন আমি তাকিয়ে দেখি নি। সোফায় বসে ছিল আমার সামনে কিন্তু আমার মাথা নিচু ছিল ।
ঘরে ঢুকেই দরজাটা বন্ধ করে আমার কাছে আসতে লাগলো আর এসে আমার পাশে বসলো। আমার কেনো জানি খুব ভয় হচ্ছিল।সে এসে আমার পাশে বসে আমাকে চুপ করে দেখতে লাগলো। তার পর বললো:আমি তোমার গালে একটা চুমু খেতে পারি? তুমি তো আমার লাল টূক টুক একটি মাত্র বউ।বলে আবার একটু তাকিয়ে হাসতে লাগলো আর বললো ভয় পেয়ে না আমি এমন কিছু করবো না।এতো খারাপ আমি নয়। আমি এতো খন ভয়ে ঘেমে গোসল।এখন একটু ভয় কাটলো।সে বললো: আচ্ছা বলতো আমাকে তুমি কবুল বলে বিয়ে করেছো তো? সত্যি কবুল বলেছিলা?আমি আস্তে করে বললাম: এমনটা কেনো বলছেন? সে বললো:এইযে একটা কথাও বলছো না। আমাকে কি তোমার পছন্দ হয়েছে? তখন একবার চোখ তুলে তাকে বললাম হিমম। তখন সে বললো একটু তোমার কোলে মাথা রাখতে পারি?আমি একটু লজ্জা পেলাম। কিছু না বলতেই সে আমার কোলে শুয়ে আমাকে দেখছে আর বলছে। আমার বন্ধু রা বিয়ের রাতে কতো কি করেছে কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে না তুমি প্রস্তুত আছো ওগুলোর জন্য। আচ্ছা তুমি আমাকে নিয়ে কিছু ভাবোনি?জানো না এই রাতে কি করতে হয়?
আমি বললাম আস্তে করে : একটু জানি।
ও হেসে ওঠে বলে। কিভাবে?
আমি বলি: ভাবি বলেছিল আর আমার বান্ধবী ও ।
ও আবার হেসে বলে:আমাকে এত কেনো ভয় পাচ্ছো ? আমি বাঘ নয় । তোমার বর। বলে আমার কোলে থেকে উঠে আমাকে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু খেয়ে বললো। আমি তোমাকে ভালো রাখবো ।অনেক আদরে রাখবো ভয় পাবার কিছু নেই।