Ahmed Hriddo

Thriller Others Children

3  

Ahmed Hriddo

Thriller Others Children

আমার গল্প

আমার গল্প

5 mins
155



শুরুটা সেই ছোট থেকে ক্লাস ৫ এ পড়ি। তখন থেকে আমি মোবাইল, কম্পিউটার এর প্রতি নেশা ছিলো। নোকিয়া ব্রান্ডের একটা ফোন ছিলো আরে আমার নাহ বাবা - মাকে কিনে দিয়েছিলো। আর আমি ওটা নিয়ে সারাদিন ঘাটা ঘাটি করতাম তখন ফেইসবুক প্রায় নতুন বলতে গেলে আমি বুজতাম ও নাহ।যা কিছু শিখতাম সবি পাশের বাসার চাচ্চুর কাছে থেকে শিখতাম আমার বয়স তখন তখন বেশি নাহ ওই ৮ বছর ছিলো। আমি খুব অল্প বয়সে স্কুলে ভর্তি হই। মানুষ বলতো আমার ব্রেন্ড নাকি অনেক ভালো আমি বলতাম কোই পরিক্ষায় তো ভালো রেজাল্ট করি নাহ।তখন তারা বলতো তুই তো সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকিস বই তো মনোযোগ দিয়ে পড়োস নাহ।তখন আমি বলতাম তা বলছো ঠিকি। তো আমার কথা তো বললাম যে ছোটো থেকেই মোবাইল, কম্পিউটার এর প্রতি বেশি ধ্যান থাকতো আর সাথে তো গেমের নেশা ডুকেই পরেছে।তো প্রতিদিন চাচ্চুর কাছে যেতাম আর আর নতুন নতুন গেম এনে দিতে বলতাম তো এমন করে করে আমার দিন চলে যাচ্ছে।


ও হ্যা এখোনো আমার পরিচয় দেয়া হইনি আমার নাম আব্দুল্লাহ আল মাসুম সবাই মাসুম বলেই ডাকে তবে আরেকটি নামও আছে সেটা নাহয় পরেই বলবো তো আপাতত মাসুম নামেই চিনে রাখুন আমার নাম টা তো আপনারা জানলেন ধিরে ধিরে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। তো আমি তখন ছোট হলেও অনেক বুদ্ধিমান শুধু অংকতে অনেক কাঁচা ছিলাম আর অংক বই সামনে আসলে পাঠখরি খুজতে শুরু করতাম বিষয়টা কেমন জানি কাকতালিও মনে হচ্ছে নাহ। হ্যাঁ হবারই কথা আচ্ছা খুলে বলি আমি অংক পারতাম না তেমন মা অনেক শিক্ষক দিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করতো কিন্ত কোনো কাজে না আসলে আবার শিক্ষক পরিবর্তন করতেন হ্যাঁ আমি অনেক কাচাঁ ছিলাম অংকতে তারপর আমার মা একটা শিক্ষক খুজে পেল যে কিনা আমাকে অনেক সুন্দর করে অংক পড়াতো। শিক্ষক আমাকে ওই পাঠখড়ির সাহায্যে ছোট ছোট টুকরো করে গুনন শিক্ষ্যা দিতেন।কি ভাবছেন গল্পটায় আমি ছোটো বেলার কথাই কেন বলতেছি ভাই আমি এখনো ছোট বললাম তো ক্লাস ৫ এ পড়ি। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগতাছে তবে জানি সামনের দিনগুলির কথা শুনলে আপনাদের ঠিক অন্য রকম চিন্তা - ভাবনা চলে আসবে তাই পড়তে থাকুন সামনে আরো মজাদার আনেক কথা আছে।মায়ের অনেক টাকা নষ্ট করেছি শুধু এমবি না কিনে নেট চালানো আমি হা হা হা আসলে বুজতাম নাহ অনেক কিছুই আমি। এমবি কি করে কিনতে হয় সেটাও জানতাম নাহ তো এভাবেই চললো আমার নেট চালানোর সময় গুলো..


এভবেই মোবাইল গেমিং আর নেট চালিয়ে মোবাইলে ১২ টাহ বাজিয়ে দিচ্ছি যাই হোক এভবে আমার দের বছর পেরিয়ে গেলো।দের বছর পর আমি ফেইজবুক কি সেটা জানার জন্য ফেইজবুক খুলতে শুরু করলাম। তো অনেক ঘাটা ঘাটি করে খুলে ফেললাম ফেইজবুক আইডি তখন ফেইজবুকে শুধু লাইক আর কমেন্ট করা যেতো। এভাবে কিছুদিন যেতেই চলে আসলো চ্যাট করার অফশন তো আমি তখন ও ঠিকভাবে বুঝতে পারতাম নাহ কিভাবে ফেইজবুক চালাতে হয় শুধু ছবি দেখতাম আর লাইক দিতাম।এভাবে গেম, ফেইজবুক আর নেট চালিয়ে চলে গেলো আরো ২ বছর ৭ মাস।তারপর বুঝতে শিখলাম ফেইজবুক মেসেজিং বা চ্যাটিং করা।আমি স্কুলে যেতাম তখন অনেকে ফেইজবুক সম্পর্কে জানতো নাহ আমার কাছে থেকে অনেকে ফেইজবুক সম্পর্কে জানে এবং খুলে। এরপর আমরা ক্লাসের বন্ধু-বান্ধবেরা ফেইজবুকে যোগাযোগ শুরু করলাম। তখন আমাদের বয়স প্রায় টিনেজ। এই বয়সের ছেলে-মেয়ে উভয় দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়।তো সবাই স্কুলের আশে পাশে প্রেম করতো ফেইজবুকে তখন প্রেম নামের আবির্ভাব কম বললেই চলে এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতেই বাজারে চলে আসলো নোকিয়া মাইক্রোসফ্ট এর টার্চ ফোন গুলো। এসময় আমার বোন জন্ম হয়ে প্রায় ৫ বছর পেরিয়ে গেছে।

আমার বোনের ছোটো থেকে একটা প্রবলেম হয় তবে এটা জন্মগত কারনে নাহ ডাক্তার এর ভুলের কারনে হয়।

ছোটো বেলায় আমার বোন জখন জন্ম হয় তখন ও কান্না করে না তাই ডাক্তার ওকে একের পর এক সুই দিতে থাকে আমি তো বুঝতাম নাহ কি সুই দিতো এর ওভার ডোজ এর কারনে ওর আঘাত পায়।


এর কারনেই সমস্যায় পড়ে ওর কথা বলতে বাধ আর হাঠতে একটু অসুবিধা হয়।যাই হোক ওর নামটা বাসার সবাই মিলে দিয়া ঠিক করি।তো বাসার সবাই দিয়াকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকে আর আমি মোবাইল নিয়ে।তাই বাবা রাগ করে মোবাইল টা বিক্রি করে দেয়। কিন্তু আমি মোবাইল চালানো বন্ধ করি নাই বলতে গেলে আমি মোবাইলের প্রতি বেশিই আসক্ত হয়ে পরি।এভাবে আরও দুটি বছর চলে গেলো। সে সময় আমার ছোটো ভাই আম্মুর গর্ভে ছিলো আমি দিয়াকে লালন পালন করি।এই সময়টায় আমার ফ্যামিলিতে নতুন একটি মোড় নেয় বাবা তো বাস চালক ছিলো বাবার সাথে গাড়িতে যাতায়াতের সময় এক মডেল মেয়ের সাথে পরিচয় হয় এবং তারা সম্পর্ক করে আমার মা প্রথমে বুঝতে পারে নাই।তো বাসায় তখন প্রাই অশান্তি লাগতো বাসায় বাজার দিতো নাহ ঠিক করে বাসায় আসতো লেট করে


আমি ছোট ততো বুঝতাম নাহ কিছু। আমাদের সাথে আমার দাদুও থাকতো।দাদুর অনেক বয়স হয়েছে কিন্তু তার ছেলে কে বকলে উনিও আম্মুকে বকতো তখন বাসায় ঝড় আসার মত আবস্থা হয়ে যায়। হঠাত করে আম্মু জানতে পারে যে আব্বুর অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে। আর এটা জানার পরে বাসায় আরও অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং আম্মু ঠিক করে তার গর্ভের সন্তান কে নষ্ট করে ফেলবে।কিন্তু বাসার পাশের প্রতিবেশিদের জন্য ও মায়া করে সে করে নাই। আম্মু রাগ করে বোনকে নিয়ে সে চলে যায় তার বাপের বাসায়। আর এদিকে বাসায় আমি আর দাদু থাকতাম আমার ছোটো থেকে অনেক সাহস তাই ছোটো বেলায় একা থাকতে ভয় পেতাম না।এছাড়া আমার পড়াশুনা নষ্ট হবার আরেকটি কারন ঠিক এমনি। আরও ছোটো ছিলাম তখন আমি ক্লাস ৩ য় শ্রেণিতে পড়ি ৪ মাস এর মত সেখানে ছিলাম আমার পড়াশুনা সেখান থেকেই নষ্ট হতে থাকে। বাট মায়ের শাশনে বড় হইছি তাই পড়া লেখা নষ্ট হলেও ভদ্রতা কিন্তু নষ্ট হয়নি সেটা আগের মতই আছে। তো আমার পড়া লেখা ওখান থেকে নষ্ট হতে থাকে। বাবা - মায়ের ঝড়গা দেখে নিজেকে খুব অসহায় মনে হতো।তো নানু বাসায় ৪ মাস থাকার পর বাবা আসে মাকে নিতে তখন আমার নানা জীবিত ছিলো। সে তো আম্মুকে বাবার সাথে যেতে দিবে নাহ পরে আব্বু ক্ষমা চেয়ে নিয়ে আসে। তার কিছুদিন পরই আমার ভাইয়ের জন্ম হয়। কিছুদিন যেতেই আবার তাদের ঝগড়া হয় পরে আম্মু সয্য না করতে পেরে আমাকে, বোনকে, আর ছোট ভাইকে রেখে চলে। আমার ছোট ভায়ের নাম ছিলো আমার আর আম্মু নাম এর অক্ষর এর সাথে মিল রেখে মাহিম।


Rate this content
Log in

More bengali story from Ahmed Hriddo

Similar bengali story from Thriller