তৃতীয় দিন
তৃতীয় দিন
প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়ে টুকির আর আমার,
ভাব হলো নতুন করে সাথে ঐ নীতার।
বন্ধুত্ব তিন জনের মধ্যেই খুব ভালো ছিলো,
কিন্তু টেঁকেনি, মোটেও বেশিদিন।
মাঝে মাঝেই কড়ে আঙুল জড়িয়ে হতো আড়ি,
কথা বন্ধ থাকতো নিদেনপক্ষে তিনদিন।
ছড়াটা বলতে বা শুনতে অবশ্য লাগতো বেশ___
নতুন শিখেছিলাম যে! হোকনা একটু বাড়াবাড়ি,
ইচ্ছে করেই আড়ি, জানি তো, ভাব হবেই শেষমেশ।
"আড়ি, আড়ি, আড়ি, কাল যাবো বাড়ি, পরশু
যাবো ঘর, হনুমানের লেজ ধরে টানাটানি কর্"
বাড়ি আর ঘরের মধ্যে কি যে তফাৎ!
তখনও পর্যন্ত আমি হনুমান দেখিনি,
বেচারার লেজ নিয়ে কেন যে করতে হবে টানাটানি !
যাকে কথাগুলো বলা হলো তার যে কেমন লাগতো ? কোনোদিন সে তো এব্যাপারে কিছু বলেনি।
আমাকে কেউ বললে বুঝতাম,
দুদিন ওর সাথে কথা বলা একদম বারণ, তা জানি।
দিন তিনেক পরে বুড়ো আঙুল ঠেকিয়ে হতো ভাব,
আবার সেই খুশি, আনন্দ, ছোটদের যেমন স্বভাব।
কিন্তু বড় হতে হতে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি,
সত্যিই তিনজনের বন্ধুত্ব ক্ষণস্হায়ী, খুব ভঙ্গুর ।
অথচ আমি তো ভাবি দুজনকেই সমান ভালোবাসি,
কেন তবে উধাও হয় একজনের মুখের হাসি ?
আমি-কুটি-বাবলি অথবা পার্থ-আমি-রবীন।
এমন বন্ধুত্ব ছিলো শুধুই হাতে গোনা কয়েকদিন।
দীলিপ-সুকুমার-আমি বা আমি-মিলন-কানাই,
একজন যেন শুধুই মনে মনে বলে, পালাই, পালাই।
ছবি-অন্জনা(২)-আমি অথবা আমি-জবা-মিতালী!
আমি-কেয়া-অপর্ণা অথবা অন্জনা-আমি-চৈতালী,
সবসময় প্রথম দিকে বন্ধুত্বটা গাঢ় থাকলেও,
কি করে যেন একজন ছিটকে গেছে দূরে কোথাও।
