সফর
সফর
দিবি বল আমার সাথে দূর কোথাও পাড়ি?
মানুষ ঘেরা দূনিয়াটার সঙ্গে হবে আড়ি।
দূর বেশি নয়, নিজের মাটির পরিসীমার কাছে
বিশ্বজগৎ সুপ্ত হয়ে চুপটি শুয়ে আছে।
নিবিড় কোনো জঙ্গল বা পাহাড় চূড়ার ধারে;
পাথর ভেঙে ভেঙে যেথা ঝর্ণা নেমে পরে।
খানিক আরো উঠলে পাবি বরফ মোড়া দেশ-
সূর্য গলায় পড়ায় মালা, শৃঙ্গে কনের বেশ।
কিংবা সাগর - ঝিনুক মোরা বালির ঝিকিরমিকির;
ঊর্মিমালার সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার ফিকির।
দেবো পাড়ি কেয়া পাতার নৌকো গড়ে দূরে।
হারিয়ে যাব মাঝ বরাবর সমুদ্রগহ্বরে।
নইলে যাব উষ্ণ-শিতল ধুধু বালির দেশ;
গঙ্গা যেথায় মুখ ফিরিয়ে যাত্রা করে শেষ।
মরুভূমির জাহাজ ক'রে বালির পাহাড় চ'ড়ে
খুঁজবো কোথায় মিছে 'কবির বাগান' আছে প'রে।
আবার যদি হারিয়ে যাই বনবনানির মাঝে
রবির কিরণ স্বল্প যেথায়, ক্ষীণ কলেবর সাজে।
সবুজ, শীতল, শ্যাওলা ঘেরা নীরব শ্রোতস্বিনী-
কুঞ্জ ছায়ায় বন্য মায়ায় ডাকছে কুহকিনী।
বা ধরে নে, সোনালি মাঠ, কাস্তে-আলের হিসেব
আঁশটে জাল আর সুনামি ভয়, নোনতা জলে মিশে
খনির ঘেমো, এবোর-খেবোর রাঙামাটির পথে;
সন্ধ্যে নামে অট্টালিকার 'গ্রান্ড ক্যানিয়ন' হতে।।