স্নিগ্ধতা
স্নিগ্ধতা
কখনো ঝিরি ঝিরি
কখনো টুপ টাপ
কখনো বা মুষলধারে....
তোমার এই অবিরাম
স্নিগ্ধতায় মোড়া,
বারিধারার,
ঝড়ে পরা দেখতে
বড্ড, বড্ড ভালো লাগে।
আর সেই সঙ্গে
উপরি পাওনা হিসেবে
রয়েছে, মেঘের
গুরু গুরু গর্জন
আর ব্যাঙের ডাক।
পদ্ম বা কচু পাতার উপর
তোমার সেই
টলমলতা, কিংবা
জানলার রেলিং
ঘেঁষে, সাজানো
মুক্তার ন্যায়
তোমার উপস্থিতি,
যেন হাত নেড়ে
ডাকে আমায় ...
বলে আয়, আয় একটি বার
ছুঁয়ে দেখ আমায়....
তাই আমি ও
বাড়াই পা, তোমায়
ছুঁয়ে দেখার আকাঙ্খায়।
আসলে এ হাতছানি
উপেক্ষা করা, যে
সহজ কথা নয়....
ঠিক তখনই
ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে,
এক ঝাঁপটায়, যখন তুমি
স্পর্শ কর আমায়,
কেটে যায়
সকল ক্লান্তির রেশ,
মনে হয় যেন ---
মুক্ত আমি
এই তো আছি বেশ।
আমার মতোই
শ্রাবনের এই বারিধারায়,
সিক্ত হয়
বহু মন-প্রান,
সেরে ওঠে
সকল ক্ষতের চিহ্ন।
আর তোমার এই
স্নিগ্ধতার ছোঁয়ায়
আমি ও আজ পরিপূর্ণ।
তাই তো
আজ প্রকৃতি ও
নবযৌবনে প্লাবিতা কোন
ষোড়শী কন্যা।
বলা বাহুল্য,
তুমি নিজে তো অপরুপা ছিলেই
আর আজ তোমার ছোঁয়ায়,
প্রকৃতিও রূপবতী ও সম্পূর্ণা।।
