শ্রাবণে 'রবি' স্মরনে
শ্রাবণে 'রবি' স্মরনে
আজ হল এক বিশেষ দিন,
আলোচনায় কেবলই 'রবি'।
পুষ্প মালায় বেশ সুসজ্জিত,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
১৯৪১ সালে প্রয়াণ দিবসে,
রবির বয়স হয়েছিল আশি।
পরম শ্রদ্ধেয় রবি ঠাকুরকে,
আমরা তো খুব ভালোবাসি।
কবিগুরু রহেন হৃদয় অন্তরে,
বাঙালী ব্যক্তিরা করে স্মরণ।
নাটক, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্যে
করি মোরা ওনার স্মৃতি চারণ।
জীবনে প্রেমে-আনন্দে-বিষাদে,
পাবে রবির নাটক,কবিতা,গান।
তাঁর কীর্তি সুখ্যাতিতে বেড়েছে,
বিশ্ব মাঝারে ভারতের সম্মান।
জালিয়ানওয়ালাবাগে হত্যার
প্রতিবাদে 'নাইট' উপাধি বর্জন।
রাখি বন্ধন উৎসবের উদ্যোগে
শুরু হয় ঐতিহাসিক মেলবন্ধন।
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচনা,
গাহিলেন বাংলার বিখ্যাত রবি।
'ঠাকুর' পরিবারের বিশেষ গর্ব,
খ্যাতনামা কবিগুরু বিশ্বকবি।
তাঁর বিশেষ রচনাবলীর মধ্যে
কাব্যগ্রন্থ-গীতিনাট্য-সহজ পাঠ।
ছিল দর্শনীয় চিত্রকলা কিন্তু ঐ
ব্রহ্ম উপাসক নেননি স্কুলে পাঠ।
বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে তো
'বিশ্ব ভারতী' করলেন স্থাপন।
জোড়াসাঁকো, শান্তিনিকেতন,
জন প্রসিদ্ধ ওনার বাস ভবন।
প্রিয় নিকট আত্মীয়দের তাঁর
কাছ হতে নিয়েছে কেড়ে যম।
তিনি নিজে হয়েও শোকস্তব্ধ,
থামেনি কখনও ওনার কলম।
১৯১৩- প্রাপ্তি নোবেল পুরস্কার,
তিনি লিখেছিলেন 'গীতাঞ্জলি'।
এই ২২শে শ্রাবণে তাঁর প্রয়াণে,
তাঁকে জানাই বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আজকের দিনেই রবি অস্তমিত,
গগন হতে অঝোরে অতি বর্ষন।
রবি ঠাকুরের বিদায়ী বেদনায়
সিক্ত ওনার ভক্তদের দুই নয়ন।
বাঙালির পরম প্রিয় রবীন্দ্রনাথ,
হলেন 'ঠাকুর' নন তিনি ঈশ্বর।
তিনি ভক্তদের অন্তরে জীবিত,
আজও রয়েছেন বিশ্বে অমর।
__________________________________________