শান্তি
শান্তি
মানুষ খোঁজে আকাশ পাতাল, ঈশ্বরের কাছে কয়,
‘কোথায় পাবো দু-দণ্ড শান্তি, কি বা তার পরিচয়?
পড়িমরি ছুটি দিন থেকে রাত, নেই ভাবার অবকাশ,
জাঁতাকলের দৌড়ে যাচ্ছি কোথায়, মেটাতে কোন মরীচিকায় আশ!
দু-মুঠো অন্ন-বস্ত্র খোঁজে আজ মনের আজব ক্লেশ,
দিচ্ছে পীড়া দেখে চারদিকে মনুষ্যত্ববোধের শেষ।
হাজার হাজার বছর আগেও মানুষ এমনিই তো ছিলো বেশ,
সারল্যে আর শান্তিতে ছিল না তো এমন জটিলতার রেশ।
তবে আজ কি হলো? কেন পারি না সেই সুখে হতে নিমজ্জিত?
কোথায় গিয়ে থামব শেষে, হলাম কেমন তরো জৈবিক যন্ত্র!’
বলেন ঈশ্বর ‘আয় কাছে বস্ দু দণ্ড পাশে, নে প্রাণ খুলে মুক্তস্বাস,
কে বা বলেছে দৌড়াতে কবে, কিসের পিছে তোদের এই প্রয়াস?
ক্লান্ত শ্রান্ত মন-মন্দিরের আজ দেখছি ভগ্নাবশেষ,
মতি ফিরবে কবে তোদের, আঁখিতে আসবে কবে বৃহত্তর উন্মেষ?
শান্তির আশায় শ্রান্তিময় তোরা, মেঘাচ্ছন ক্ষীণদৃষ্টি,
প্রতি অমোঘ সৃষ্টির অন্তরালেই আছে চির-আকাঙ্খিত শান্তি।
রঙ্গীন কৃত্রিমতায় আসবে না সে করেও শতাধিক অন্বেষণ,
পথে থেমে দেখ্ নিজের চোখে, পাবি সার্বিক বিশ্লেষণ।’
হাসে মানব, ভাবে এতই সহজ? সে অধরা নিজ মনেই আছে সুপ্ত?
হাসেন ঈশ্বর, হাসে মধুর বাতাস, অবশেষে হয় মায়াবী শান্তি পরিব্যাপ্ত।।
