প্রতীক্ষা
প্রতীক্ষা


প্রতীক্ষা শব্দটা এমনি যতটা শান্ত,
কর্মে ততগুনেই চঞ্চল।
শুনলে যতটা শান্তি লাগে,
করতে গেলে মনে হয় যেন
এক পৃথিবী অশান্তি মনে বাসা বেঁধেছে।
এতে একটা অদ্ভুদ অনিচ্ছা আছে,
যা ইচ্ছার প্রতিষ্ঠাতা।
কেও একে জীবনে স্থান দিতে চায়না,
আবার একে ছাড়া জীবন নিজেই স্থান পায় না।
ছাদে দাঁড়িয়েছিলাম একা,
তখন রাত্রি যেন
দিনের মোহানায় মিশবে বলে
নতুন করে সেজে উঠছে।
অবশেষে মিলন হল,
সন্ধি হল আলো-আঁধারের।
হঠাৎ চোখ পরল
পাশের সদ্য ফোটা শিউলির দিকে।
যখন রাত্রি তার কালো রুপে যাবার
প্রতীক্ষায়,
ফুলটি যেন ছোট্ট চোখে আলোর প্রতীক্ষায়,
আর ভুমি যেন তার উদার বক্ষে ফুলের প্রতীক্ষায়।
তাদের প্রতীক্ষা দেখে মনটা বড় ব্যাকুল হল।
মনে হল যেন দিন-রাত্রি, জন্ম-মৃত্যুর মতোই
এও এক জাগতিক নিয়ম।
যা দুর থেকে রুঢ় আর কাছে গেলে সহজ।
আমাদের জীবনও এই ফুলের মতো প্রতীক্ষায় বাঁধা।
যার না আছে আদি, না আছে অন্ত।
কেবল যা আছে তা নতুন কিছু সৃষ্টি করে।
তাই বোধহয় আজও এই শব্দটা এতোটাই সুন্দর।
প্রতীক্ষা এনে দেয় নতুনকে,
আবার নতুনের হাত ধরেই আসে প্রতীক্ষা।
তবে না হয় তাই হোক চির বরণীয়।