স্বাধীনতা
স্বাধীনতা


স্বাধীনতা
অনাদর নাকি মস্ত স্বাধীনতা।
একদিন ট্রেনে এক কাগজে পড়েছিলাম।
সেদিন মনের মধ্যে একটা গভীর প্রশ্ন ছিল,
এই স্বাধীনতার স্বাদ কেমন?
রজনীকান্তের কবিতার মত স্বধীনতার সুখ?
নাকি এ স্বাধীনতার স্বাদ দুঃখ পরীনিত?
দেখতে দেখতে একদিন এসে দাঁড়ালাম
আদরের পরাধীনতার দুয়ারে।
পরাধীন হলেও তাতে স্বধীনতার চেয়ে সুখ কিছু কম ছিল না।
ওই আদর কন্ঠের শাসনে যে মধুর স্বাদ ছিল!
তা বুঝি পৃথিবীর কোনো স্বাধীনতায় থাকে না।
সেই পরাধীনতার গন্ডি ঘিরে দিলো আশান্ত মেয়েটার জীবন।
নিজের প্রতি অবহেলিত সেই মেয়েটি হয়ে উঠল সচেতন।
ওই আদর কন্ঠময়ের কারনে ছেড়ে দিল নিজের সকল অভ্যেস।
একদিন হঠাৎ দমকা হাওয়া এল,
সেই আদর ঘেরা কন্ঠ হল কন্ঠরুদ্ধ।
সে অনেক চেষ্টা করল সেই নীরব কন্ঠে ভাষা দেওয়ার।
কিন্তু সেই কন্ঠ নীরবেই তার পরাধীনতার গন্ডি ভেঙে দিল।
এনে দিল স্বধীনতার স্বাদ।
মেয়েটিও তার বর্জিত অভ্যেসদের আবার বরন করল।
ভাঙা কন্ঠে সঙ্গীত তুললে তাকে কেও তো আর বাধা দেবে না।
তার হেলায় চলা শৃন্য ভেলায় আর তো কেও কান্ডারি হবে না।
তরী আজ থেকে স্রোতের তালে চলবে।
আর কাউকে উঠতেও দেবে না সে।
আজ বুঝেছি সেই কাগজে পরা লাইনের মানে।
ওই স্বাধীনতা কখনও হাসির তালে কাঁদায়
আবার কখনও কান্নার তালে হাসায়।
কখনও করে উদাসীন, আর কখনও গৃহবন্দী।
স্বাধীনতা মাঝেই পরাধীনতা, দুই পৃথক নয়।
স্বাধীন হয়তো হয় সেই কন্ঠের কাছে,
কিন্তু সারাজীবনের মতো পরাধীন হয়ে থেকে যায়
নিজের জীবনের কাছে।