নারী
নারী


নারী,
এই শব্দটা আমরা কি সহজে বলতে পারি।
সত্যি কি এতোই সহজ তাদের পথ চলা ?
সত্যি কি এতোই সহজ তাদের নিজের কথা বলা?
পাশের বাড়ির বৌদি ঘরে একলা বসে কাঁদে।
সেদিন দেখেছি খোলা জানলা দিয়ে ছোট্ট এক ফাঁকে।
তবু সবার সামনে হাসি তার, নেই কোনো কান্না।
রাতে স্বামীর অত্যাচার বলতে যে তার মানা।
তারপর ওই স্টেশনে, বনগাগামী লোকাল ট্রেন ঢুকলো সবে এসে
একটু খাবার দাও গো, বলে এক নারী দাড়ায় ছেঁড়া জীর্ন বেশে।
আমি বলি রাগের স্বরে, যুবতি তুমি, রোজগার করলেই হয়,
এভাবে দুহাত পেতে ভিক্ষে চাওয়া মোটেই ভালো নয়।
হেসে বলে, কে বা বলো রাখবে আমায় কাজে?
ভদ্রবাবুর প্রতারিত সব নষ্টা নারী এমন ভিক্ষা করেই বাঁচে।
তারপর যখন আসছি গাড়ি করে,
হঠাৎ দেখি রাস্তায় ওই ডাস্টবিনটায় লোক গিয়েছে ভরে।
নেমে দেখি একটা শিশু কন্যা, কেও গিয়েছে ফেলে।
হয়তো কোনো মায়ের থেকে নিয়েছে তারে কেড়ে।
প্রকৃতি নাকি স্বয়ং নারী পড়েছি কোনো কালে,
এখন দেখি, সেও লোকায় মুখ এইসময়ের জালে।
কিন্ত সেও শান্ত নয়,
তারও রুদ্ররুপে চারিদিক লন্ডভন্ড হয়।
সুর্য যখন তার ওপর গাঢ় দৃষ্টি দেয়,
প্রকৃতি তখন আকাশজুরে মেঘ সাজিয়ে নেয়।
সেও তখন ওঠে কিন্তু জেগে,
তার তেজ বুঝিয়ে দেয়, গর্জে ওঠা উত্তাল ওই মেঘে।
নারী তুমিও এবার জাগো,
এবার তো সব তুচ্ছ করে একটুখানি রাগো।
তোমার সব কথা এবার বলো গলা তুলে।
তোমার ওই ভিষন তেজে উঠুক পৃথিবী দুলে।
তোমার বুকে গর্জে উঠুক বিভৎস বিদ্যুৎ,
সব পাপ ধুয়ে যাক তোমার বর্ষাধারায়,
আর মুছে যাক ব্যাথায় ভরা দুঃখের চিরকুট।