পার্থক্য
পার্থক্য
সময় তো থেমে থাকেনি,
পিছনের সেই বছরগুলো সত্যিই মনে পড়েনি আর!
দিনের শেষে দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ,
পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে আজীবন সাহসী
সেই মেয়েটা।
সাংসারিক বুদ্ধি জন্মানোর আগেই,
নিজের সংসার গোছানোর তাড়াহুড়ো পড়েছিল।
বাবার সেই আদুরে মেয়ে ছলছলে চোখে কখন যেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বামীর সুখের ব্যবস্হা করতে।
দিন যেতে না যেতেই একটা পার্থক্য চোখের সামনে গড়ে ওঠে,
বাবা আর শ্বশুরের পার্থক্য।
সকাল বিকেল শাশুড়ির গরম জল করতে করতে,
অভ্যেস হয়ে যায় নিজের চো
খের জলের।
যে রান্না খেয়ে ভাই আহল্লাদে দিদিকে নিয়ে গর্ব করতো,
সেই একই রাঁধুনি স্বামীর ক্ষেত্রে কেমন যেন অপটু হয়ে ধরা পড়ে।
কনকাঞ্জলির সময় মা বলেছিল আজ থেকে শাশুড়িই তোমার মা, ওনার যত্ন কোরো, ভুল কোরো না,
মায়ের সেই লক্ষ্মী মেয়ে হাজার চেষ্টাতেও শাশুড়ির কাছে অলক্ষী।
জানে, সব মেয়ে জানে,
পার্থক্য শুধু বইয়ের পাতা কিংবা কবিতার লাইনে নয়,
তা, টিকে আছে প্রতিটা মেয়ের জীবনে।
বাবার বাড়ি আর শশুরবাড়ি।
দূরত্ব শুধু মাইলে নয়,
দূরত্বটা একটা দীর্ঘ জীবনের।