নিবিষ্ট
নিবিষ্ট
একদিন বেঁচে যাওয়া অবশিষ্ট রঙ দিয়ে নাকি,
নিবিষ্ট মনে ঈশ্বর রাঙিয়ে ছিলেন মুনিয়া পাখি।
সাদা, কালো, লাল, গেরুয়া, রঙ নানা ছিটেফোঁটা,
পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে হলুদ,নীল,সবুজের ঘনঘটা!
আমাদের দেহের বাইরের এই চামড়ার আবরনটা,
কারো সাদা, কারো কালো, বা বাদামী গমের মত,
কারো চোখ ঘন নীল, কালো অথবা হয়তো কটা।
যত সুন্দর হোক না কেন বাইরের এই রূপটা,
অন্তঃসারশূণ্য যেন না হয় মানুষের অন্তরটা।
চুল রঙ করে কালো করতে কোনো আপত্তি নেই,
কেন মুশকিল কালো হলে মানুষের গায়ের চামড়াটা?
কিছুতেই বুঝে উঠতে পারিনা এর আসল কারণটা।
অথচ মানুষের আতুর ঘরের নাম নাকি আফ্রিকা!
সকলেরই আদি, এশিয়া, ইউরোপ বা আমেরিকা।
তার মানে আগে সকলেরই ছিলো মেলানিন ভরপুর,
অপরিমিত রোদ পেতো মানুষেরা তখন প্রচুর!
যুগে যুগে জীবিকার প্রয়োজনে গেছে শীতের দেশে,
হয়তো নতুন দেশে তারা থেকে গেছে ভালোবেসে।
পরিবেশের সাথে মানাতে গিয়ে হারিয়েছে মেলানিন,
ক্রমে ফর্সা রঙে লাল গালের শোভায় হয়েছে কুলীন !
যতই হোক বয়েস, মানুষ থাকতে ভালোবাসে রঙীন,
এ তো জানা কথা, সাদা - কালো মিলেই এই জীবন।
ন্যায়-অন্যায় , সত্য-মিথ্যা, ভালো-খারাপ সব আছে,
বুঝে শুনে ঠিক পথ না বাছলে জীবনটাই তো মিছে।
আনন্দে বেঁচে, ভালোবেসে, মনের কাছাকাছি এসে,
রূপে-অরূপে, নিজেকে উজার করে দিতে পারলে,
সাদা কালোয় কি আর সত্যিই কিছু যায় আসে !
নানা রকম বুলিতে যদিও ভরা আজ মানুষের গাল,
নখ আছে বলেই, হৃদয় চিরে দেখার নেই দরকার,
মুনিয়ার মতো মানুষের রক্তের রঙও তো লাল।